বিশেষ প্রতিনিধি ঃ জমে উঠেছে আসন্ন ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ বারই
প্রথম বারের মতো হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। শুধু মাত্র ক্ষমতাসীন
আওয়ামীলীগ একক ভাবে নির্বাচন করছে, যার ফলে লড়াই হচ্ছে নিজেদের সঙ্গে
নিজেদের। নির্বাচনে সদস্য পদে তিন জন প্রার্থী জয়ের লক্ষে প্রচার প্রচারনা
চালিয়ে যাচ্ছে। প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধিদের সাথে কুশল বিনিময়, দোয়া ও সমর্থন
কামনা করেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ আ.লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের
নেতাকর্মীরা যার যার প্রার্থীর পক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড
সদস্য ও মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্যবৃন্দদের নিকট ভোট প্রার্থনা করছেন। এ
নির্বাচনে সদস্য পদে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রার্থীদের (২২ ডিসেম্বর পযর্ন্ত)
জরিপ অনুযায়ী ত্রিমূখী লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। ফরিদপুর
জেলার ৮নং ওয়ার্ড নির্বাচনী এলাকা হচ্ছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ,
গোপালপুর, আলফাডাঙ্গা, টগরবন্ধ, বানা, পাচুড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত একটি
ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন
সম্পাদক মো. নুরুল বাসার মিয়া(তালা), উপজেলা যুবলীগের সদস্য যুবনেতা
এ.কে.এম জাহিদুল হাচান জাহিদ(টিউবওয়েল), সাবেক ছাত্রনেতা কাঞ্চন মুন্সী
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ(হাতি) এবং মহিলা
সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদে(৭.৮.৯নংওয়ার্ড) আলফাডাঙ্গা থেকে নির্বাচন করছেন
একজন মোসা. বিউটি বেগম(টেবিল ঘড়ি)। উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোট সংখ্যা
৮০জন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত বিরতীহীন ভাবে
আলফাডাঙ্গা এ.জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শান্তিপুর্ন ভাবে ভোট গ্রহন
অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের
বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পূর্ন হবে এ উপলক্ষে সব ধরনের
প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬
মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬
কাশিয়ানীতে ৩০ ভরি স্বর্ণসহ এক ব্যবসায়ী আটক
স্টাফ রিপোর্টারঃ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে ২৯ ভরি ৯আনা স্বর্ণসহ আলফাডাঙ্গার সদর বাজার ব্যবসায়ী রঘুনাথ বিশ্বাস(৩৫) নামে এক স্বর্ণ চোরাকারবারীকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেছে কাশিয়ানী থানা পুলিশ। গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চোরাচালান বিষয়ে ১৯৭৩ সনের বিশেষ আইনে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। রঘুনাথ বিশ্বাস ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী লক্ষী নারায়ন জুয়েলার্স এর মালিক। তিনি সদরের মালোপাড়ার বাসিন্দা মোরারী মোহন বিশ্বাসের পুত্র। থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর সোমবার দিনগত রাতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর বাসষ্টান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়ানী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রঘুনাথ বিশ্বাসকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে মোট ২৯ ভরি ৯আনা স্বর্ণ (আড়াইটি স্বর্ণের বিস্কুট, দশটি স্বর্ণের চেন, দশটি আংটি, পাঁচটি রকেট) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমনিক মূল্যে-১২লক্ষ টাকা। আটক করে ঐদিন রাতেই কাশিয়ানী থানা পুলিশ বাদী হয়ে রঘুনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সনের বিশেষ আইনে চোরাচালান বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৫, ১৯/১২/১৬ইং। পুলিশ ধারনা করছে এই চুরা কারবারীর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলিনুর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এস আই ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে উক্ত আসামীকে চোরাই স্বর্ণসহ আটক করা হয়।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলিনুর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এস আই ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে উক্ত আসামীকে চোরাই স্বর্ণসহ আটক করা হয়।
শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬
বাংলাদেশ আজ বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করলো বীর শহীদদের
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ আজ বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করলো বীর শহীদদের। ডিসেম্বর মাস বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠতম মাস। এ বিজয় বাঙালী জাতির জন্য পরম গেীরবের,আনন্দের এবং বেদনারও। এ বিজয় অর্জনে অকাতরে প্রান দিয়ে ছিল ৩০ লক্ষ মানুষ। আমরা সেই বীর শহীদদের আজিবন স্মরণ রাখবো। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলফাডাঙ্গা উপজেলাধীন বাজড়া সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে শুক্রবার সন্ধা ৭টায় শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের প্রফেসর সৈয়দ আনসার আলীর ব্যক্তি উদ্যেগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভার সভাপতি প্রফেসর সৈয়দ আনসার আলী তার বক্তব্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ৯ মাসের রক্ত ক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে এ দেশের বীর যোদ্ধারা এই দিনে সাধীনতার বিজয় লাভ করে। ১৫ আগষ্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জর¥ না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে ২৬মাস বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পড়ের বীর সেনারা। এ দেশ স্বাধীনে যারা শহীদ হয়েছেন বাঙ্গালী জাতি তাদের চিরদিন স্মরণ করবে। এ সময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হাচান চুন্নু, গোপালপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল ইসলাম,গোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রুমানুজ্জামান রুমান প্রমূখ। সভা শেষে শহীদদের প্রতি আত্রাার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের প্রফেসর সৈয়দ আনসার আলীর ব্যক্তি উদ্যেগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভার সভাপতি প্রফেসর সৈয়দ আনসার আলী তার বক্তব্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ৯ মাসের রক্ত ক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে এ দেশের বীর যোদ্ধারা এই দিনে সাধীনতার বিজয় লাভ করে। ১৫ আগষ্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জর¥ না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে ২৬মাস বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পড়ের বীর সেনারা। এ দেশ স্বাধীনে যারা শহীদ হয়েছেন বাঙ্গালী জাতি তাদের চিরদিন স্মরণ করবে। এ সময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হাচান চুন্নু, গোপালপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল ইসলাম,গোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রুমানুজ্জামান রুমান প্রমূখ। সভা শেষে শহীদদের প্রতি আত্রাার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলফাডাঙ্গায় যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ-১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালী জাতির ৪৫তম বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় আলফাডাঙ্গা প্রসাশন ও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে। ১৮ দলীয় টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ,শুক্রবার সূযোদয়ের পূর্বে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করে সকল প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন, উপজেলা শহীদ মিনারে মাল্যদান, এ.জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন, ড্রিসপ্লে এবং বিজয় মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস প্রদান করা হয়। বিকালে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ,ভলিবল ,হাডুডু এবং মহিলা ও শিশুদের ক্রীয়া অনুষ্ঠান শেষে সন্ধায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের। বিশেষ অতিথি ছিলেন,থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করীম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান,সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাচান আহাদ। এ ছাড়া শহীদ জাফর স্বরনে জাগরনী ক্লাব সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬
র্যাবের হাতে ইয়াবা সহ বাকাইলের মাদক ব্যবসায়ী মোমিন আটক
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকা বাকাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোমীন খা (২৮)কে আটক করেছে ফরিদপুর র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ । এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মাদক মামলা হওয়ার পর কোর্টে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩-১২-১৬) সকাল ১০টার দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এবং টেবিল ৯(খ) ধারায় তাকে ফরিদপুর কোর্টে প্রেরণ করে। মোমীন খা পৌর এলাকার বাকাইল গ্রামের সাঈদ খার পুত্র।
জানা যায়, র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর এলাকার বাকাইল গ্রামে সৈয়দ আলীর বাড়ির পাশে এক মেহগনির বাগানে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোমীন খা (২৮)কে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঐ দিন রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় মোমীনকে সোপর্দ করে র্যাবের ডিএডি ফারাজুল বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। যার নং-৫,তাং-১২-১২-১৬ই্ং।
অপর দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধার পরে উপজেলার জয়দেবপুর বাজারে আকরামের চা এর দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী রাজিব মোল্যা(৩২)কে আটক করে এস আই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এবং টেবিল ৯(ক) ধারায় কোর্টে প্রেরণ করে। রাজিব মোল্যা উপজেলার জুগিবরাট গ্রামের মৃত সায়েন উদ্দিন এর ছেলে।
মঙ্গলবার (১৩-১২-১৬) সকাল ১০টার দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এবং টেবিল ৯(খ) ধারায় তাকে ফরিদপুর কোর্টে প্রেরণ করে। মোমীন খা পৌর এলাকার বাকাইল গ্রামের সাঈদ খার পুত্র।
জানা যায়, র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর এলাকার বাকাইল গ্রামে সৈয়দ আলীর বাড়ির পাশে এক মেহগনির বাগানে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোমীন খা (২৮)কে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঐ দিন রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় মোমীনকে সোপর্দ করে র্যাবের ডিএডি ফারাজুল বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। যার নং-৫,তাং-১২-১২-১৬ই্ং।
অপর দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধার পরে উপজেলার জয়দেবপুর বাজারে আকরামের চা এর দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী রাজিব মোল্যা(৩২)কে আটক করে এস আই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এবং টেবিল ৯(ক) ধারায় কোর্টে প্রেরণ করে। রাজিব মোল্যা উপজেলার জুগিবরাট গ্রামের মৃত সায়েন উদ্দিন এর ছেলে।
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬
দেশকে মাদক মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই--নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের
বিষেশ প্রতিনিধি ঃ ‘দেশকে মাদক মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের। গত সোমবার(১২-১২-১৬) সকাল ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের আয়োজনে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকে মাদক মুক্ত করার লক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষার্থীরা মাদক সেবন করে বিপথগামী হয়ে পড়ছে। মাদকের ছোবল থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে হলে প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী কমিটি করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। তাহলেই এ দেশ হবে মাদক মুক্ত। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে দেশ ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। আমাদের সন্তানদের মাদকের সবল থেকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের আশে পাশে যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদের লিস্ট করে প্রশাসনকে জানাবেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের অফিসার ইনচার্জ মো. মোশাররফ হেসেন এর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক প্রবীর কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সাহেব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার ফজলার রহমান বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার, কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ সারেকুল হাসান নয়ন, কলেজের প্রভাষক মো. মাহিদুল হক, সাংবাদিক মো. শাহারিয়ার হোসেন। এ সময় আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬
মানুষ মানুষের জন্য, ও পজেটিভ কিটনি প্রয়োজন
আলফাডাঙ্গা উপজেলার শুকুরহাটা সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ,কামারগ্রামের নিবাসী মোঃ রবিউল মাস্টার (৫০) দির্ঘ্য দিন যাবত কিটনি রোগে ভুগছেন। রবিউল মাষ্টারের দুইটি কিটনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তার একটি ও পজেটিভ কিটনি জররী প্রয়োজন। যদি কোন সদয় মহান ব্যক্তি তার জন্য কিটনি দিতে চান তাহলে এই (০১৭১৯৫৮৭২৬২) মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কিটনি দানকারীকে আলোচনা সাপেক্ষে অর্থ প্রদান করা হবে। বিজ্ঞতি
কাজী সিরাজকে এমপি হিসাবে দেখতে চাই
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলামকে ফরিদপুর -১ আসনের এমপি হিসাবে দেখতে চায় (আলফাডাঙ্গা,বোয়ালমারী,মধুখালী) এলাকার সাধারন মানুষ। গত সোমবার সন্ধায় কাজী সিরাজের পক্ষে তার নিজ উপজেলার বানা ইউনিয়নে শিরগ্রাম বাজারে এক বিশাল মিছিল হয়। মিছিল শেষে বক্তারা বলেন,আমরা কাজী সিরাজকে আবার ফরিদপুর -১ আসনের এম পি হিসাবে দেখতে চাই।বক্তব্য শেষে সবার মাঝে মিষ্টি বিতারন করা হয়। মিছিলটি আয়োজন করে গরানিয়া ফ্রেন্ডস ক্লাব ও শিরগ্রাম গরানিয়া যুব সমাজ। সৈাজন্যঃ কাজী নুর জাহান রিনা।
মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় রুপালী ব্যাংকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সিসি লোনের মাধ্যমে অর্থ লুটের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ রুপালী ব্যাংক ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা শাখায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সিসি লোন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ২০১১ সালে কর্মরত উক্ত ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি ঢাকা রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ.জি.এম হিসাবে কর্মরত আছেন।।
জানা যায়, রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পযর্ন্ত শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. রেজাউল ইসলাম। তিনি কর্মরত থাকা কালিন সময় অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজেস্ব আত্বীয় সজনদের গ্রাহক সাজিয়ে বিভিন্ন নামে ভুয়া পর্চা, কাগজপত্র, ব্যবসা বিহীন প্রতিষ্ঠান, বন্ধকী দলিলে ব্যাংকের প্যানেল উকিলের স্বাক্ষর জাল ও জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে সিসি লোনের মাধ্যমে লুটে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে সিসি-১১১নং লোন গ্রহীতার মেয়ে সাবিনা সুলতানা রুপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে ম্যানেজার মো. রেজাউল ইসলামের নিজ বাড়ি হওয়ার সুবাদে উপজেলাধীন বানা ইউনিয়নের পন্ডিত বানা গ্রামের সাবিনা সুলতানার পিতা মো. সরোয়ার বিশ্বাসের সঙ্গে সু-সম্পর্ক হয়। সুম্পর্কের জের ধরে দরিদ্র সরোয়ারকে অর্থের লোভ দেখিয়ে বেড়ির হাট বাজারে মেসার্স বিশ্বাস এন্টার প্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে রেজাউল ভুয়া পর্চা, কাগজপত্র তৈরি করে, বন্ধকী দলিলে ব্যাংকের প্যানেল উকিলের স্বাক্ষর জাল ও জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে আলফাডাঙ্গা শাখা হইতে সিসি(হাইপোঃ) লোন নং-১১১নম্বরে ২৮/৭/২০১১ ইং তারিখে দরিদ্র সরোয়ারকে ৬ (ছয়) লক্ষ টাকা লোন প্রদান করেন। কিন্তু সে লোনের টাকা সরোয়ারকে না দিয়ে রেজাউল নিজেই আত্মসাত করেন। যা বর্তমানে সুদ-আসলে প্রায় ১২লক্ষ টাকা হয়েছে।
লোন গ্রহীতা সরোয়ার বিশ্বাসের ঋন খেলাপী হওয়ায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শাখা ব্যাবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. আমিরুল ইসলাম প্রধান জামিনদার শরিফ হারুন অর রশিদ অভিযুক্ত ব্যাবস্থাপক রেজাউল ইসলামের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় তাকে বাদ রেখে সরোয়ারের আপন দুই ভাই হতদরিদ্র সহজ সরল কৃষক মো. আবজাল বিশ্বাস(৬০) ও মো. মোসলেম বিশ্বাস(৭০) এবং সরোয়ার বিশ্বাসের স্ত্রী গৃহিনী তহমিনা বেগম(৪৫) জামীনদার হিসাবে শনাক্ত থাকার দায়ে আদালতে মামলা করলে বর্তমানে তারা ছয় মাসের জন্য জেল হাজতে রয়েছেন।
সরোয়ার বিশ্বাস টাকা উত্তোলন না করেও লোনের দায়ে মামলা হওয়ায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকায় লোন গ্রহীতা সরোয়ার বিশ্বাস মুঠোফোনে ঢাকাটাইমকে অভিযোগ করে বলেন, রেজাউল (শাখা ব্যবস্থাপক) আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর কৃত বিলাঙ্ক চেক রেখে দিয়ে আমাকে বলেন, তুমি বাড়ি চলে যাও, লোনের টাকা পাশ হলে তোমাকে খবর দিব, তখন টাকা নিয়ে যেও। কিন্তু আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে রেজাউল উক্ত চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আমাকে না দিয়ে সে নিজেই আত্মসাত করে। তিনি আরও বলেন, রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পিএস মো. হাসান মিয়া রেজাউলের পাশের গ্রাম ও আত্মীয় হওয়ায় এই অপরাধ থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আলফাডাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উক্ত ব্যাংকের প্রধান সিসি লোন গ্রহীতা আলহাজ্ব মো. মাইনউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, এ ছাড়াও মেসার্স সামস্ ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানের নামে মারজান মিয়াকে সিসি লোন-১১২ ও মেসার্স কনজ এন্টার প্রাইজ এর কনজের নামে সিসি লোন-১০৩ নম্বরে ভুয়া কাগজপত্র এবং জালজালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত ম্যানেজার জোগসাজোগে একাধিক সিসি লোনের নাম করে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালিন শাখা ব্যবস্থাপক মো. আমিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি উক্ত লোনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে মামলায় বিবাদী করেছি।
এ ব্যাপারে রুপালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার প্যানেল এডভোকেট মোঃ আব্দুল হান্নান কর্তৃক ২৫/৫/২০১৫ ইং তারিখে রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় দেওয়া একটি প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ করেন, আমার বর্ণিত বন্ধকী দলিল ও আম-মোক্তার নামায় স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল ইসলাম ৩১টি সিসি লোনে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা ।
জানতে চাইলে রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এ.জি.এম অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমাকে কিছুদিন সময় দেন, আমি বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, রেজাউল ইসলাম সাহেব ম্যানেজার থাকা কালিন প্রদত্ত ঋনের মধ্যে বেশকিছু ঋনের কাগজপত্রে ত্রুটি রয়েছে, যা ব্যাংকের ঋনের বিধি বিধান বহির্ভুত বলে প্রতিয়মান হয়। যার কারনে ব্যাংক বেশ কিছু ঋন খেলাপী হয়ে পড়েছে। সরোয়ার বিশ্বাসের ঋনটির বিপক্ষে দ্বায়ের কৃত মামলায় বর্তমানে বিবাদীগন জেল হাজতে রয়েছেন। ইতি পূর্বে একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্ত হয়ে বরখাস্তও হয়েছিলেন।
জানতে চাইলে রুপালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ওবায়দুল হক ঢাকাটাইমসকে মুঠোফোনে (০১৭৩১৯৩১৮৭৮) বলেন, আমি অভিযোগের অনুলিপি কপি হাতে পেয়েছি, অভিযোগের তদন্তভার আমার কাছে আসলে আমি অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, রেজাউল ম্যানেজার থাকাকালিন ৩১টা সিসি লোনের তদন্ত করে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে তার মধ্যে হেড অফিস রেজাইলকে ২টি সিসি লোনের টাকা পরিশোদের দায়িত্বভার দিয়েছেন।
জানা যায়, রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পযর্ন্ত শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. রেজাউল ইসলাম। তিনি কর্মরত থাকা কালিন সময় অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজেস্ব আত্বীয় সজনদের গ্রাহক সাজিয়ে বিভিন্ন নামে ভুয়া পর্চা, কাগজপত্র, ব্যবসা বিহীন প্রতিষ্ঠান, বন্ধকী দলিলে ব্যাংকের প্যানেল উকিলের স্বাক্ষর জাল ও জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে সিসি লোনের মাধ্যমে লুটে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে সিসি-১১১নং লোন গ্রহীতার মেয়ে সাবিনা সুলতানা রুপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে ম্যানেজার মো. রেজাউল ইসলামের নিজ বাড়ি হওয়ার সুবাদে উপজেলাধীন বানা ইউনিয়নের পন্ডিত বানা গ্রামের সাবিনা সুলতানার পিতা মো. সরোয়ার বিশ্বাসের সঙ্গে সু-সম্পর্ক হয়। সুম্পর্কের জের ধরে দরিদ্র সরোয়ারকে অর্থের লোভ দেখিয়ে বেড়ির হাট বাজারে মেসার্স বিশ্বাস এন্টার প্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে রেজাউল ভুয়া পর্চা, কাগজপত্র তৈরি করে, বন্ধকী দলিলে ব্যাংকের প্যানেল উকিলের স্বাক্ষর জাল ও জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে আলফাডাঙ্গা শাখা হইতে সিসি(হাইপোঃ) লোন নং-১১১নম্বরে ২৮/৭/২০১১ ইং তারিখে দরিদ্র সরোয়ারকে ৬ (ছয়) লক্ষ টাকা লোন প্রদান করেন। কিন্তু সে লোনের টাকা সরোয়ারকে না দিয়ে রেজাউল নিজেই আত্মসাত করেন। যা বর্তমানে সুদ-আসলে প্রায় ১২লক্ষ টাকা হয়েছে।
লোন গ্রহীতা সরোয়ার বিশ্বাসের ঋন খেলাপী হওয়ায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শাখা ব্যাবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. আমিরুল ইসলাম প্রধান জামিনদার শরিফ হারুন অর রশিদ অভিযুক্ত ব্যাবস্থাপক রেজাউল ইসলামের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় তাকে বাদ রেখে সরোয়ারের আপন দুই ভাই হতদরিদ্র সহজ সরল কৃষক মো. আবজাল বিশ্বাস(৬০) ও মো. মোসলেম বিশ্বাস(৭০) এবং সরোয়ার বিশ্বাসের স্ত্রী গৃহিনী তহমিনা বেগম(৪৫) জামীনদার হিসাবে শনাক্ত থাকার দায়ে আদালতে মামলা করলে বর্তমানে তারা ছয় মাসের জন্য জেল হাজতে রয়েছেন।
সরোয়ার বিশ্বাস টাকা উত্তোলন না করেও লোনের দায়ে মামলা হওয়ায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকায় লোন গ্রহীতা সরোয়ার বিশ্বাস মুঠোফোনে ঢাকাটাইমকে অভিযোগ করে বলেন, রেজাউল (শাখা ব্যবস্থাপক) আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর কৃত বিলাঙ্ক চেক রেখে দিয়ে আমাকে বলেন, তুমি বাড়ি চলে যাও, লোনের টাকা পাশ হলে তোমাকে খবর দিব, তখন টাকা নিয়ে যেও। কিন্তু আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে রেজাউল উক্ত চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আমাকে না দিয়ে সে নিজেই আত্মসাত করে। তিনি আরও বলেন, রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পিএস মো. হাসান মিয়া রেজাউলের পাশের গ্রাম ও আত্মীয় হওয়ায় এই অপরাধ থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আলফাডাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উক্ত ব্যাংকের প্রধান সিসি লোন গ্রহীতা আলহাজ্ব মো. মাইনউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, এ ছাড়াও মেসার্স সামস্ ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানের নামে মারজান মিয়াকে সিসি লোন-১১২ ও মেসার্স কনজ এন্টার প্রাইজ এর কনজের নামে সিসি লোন-১০৩ নম্বরে ভুয়া কাগজপত্র এবং জালজালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত ম্যানেজার জোগসাজোগে একাধিক সিসি লোনের নাম করে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালিন শাখা ব্যবস্থাপক মো. আমিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি উক্ত লোনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে মামলায় বিবাদী করেছি।
এ ব্যাপারে রুপালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার প্যানেল এডভোকেট মোঃ আব্দুল হান্নান কর্তৃক ২৫/৫/২০১৫ ইং তারিখে রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় দেওয়া একটি প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ করেন, আমার বর্ণিত বন্ধকী দলিল ও আম-মোক্তার নামায় স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল ইসলাম ৩১টি সিসি লোনে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা ।
জানতে চাইলে রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এ.জি.এম অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমাকে কিছুদিন সময় দেন, আমি বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, রেজাউল ইসলাম সাহেব ম্যানেজার থাকা কালিন প্রদত্ত ঋনের মধ্যে বেশকিছু ঋনের কাগজপত্রে ত্রুটি রয়েছে, যা ব্যাংকের ঋনের বিধি বিধান বহির্ভুত বলে প্রতিয়মান হয়। যার কারনে ব্যাংক বেশ কিছু ঋন খেলাপী হয়ে পড়েছে। সরোয়ার বিশ্বাসের ঋনটির বিপক্ষে দ্বায়ের কৃত মামলায় বর্তমানে বিবাদীগন জেল হাজতে রয়েছেন। ইতি পূর্বে একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্ত হয়ে বরখাস্তও হয়েছিলেন।
জানতে চাইলে রুপালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ওবায়দুল হক ঢাকাটাইমসকে মুঠোফোনে (০১৭৩১৯৩১৮৭৮) বলেন, আমি অভিযোগের অনুলিপি কপি হাতে পেয়েছি, অভিযোগের তদন্তভার আমার কাছে আসলে আমি অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, রেজাউল ম্যানেজার থাকাকালিন ৩১টা সিসি লোনের তদন্ত করে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে তার মধ্যে হেড অফিস রেজাইলকে ২টি সিসি লোনের টাকা পরিশোদের দায়িত্বভার দিয়েছেন।
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
ভ্রাম্যমান আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং এর ভবন নির্মানের শ্রমিক মো. রকিব মিয়াকে আহত করার অপরাধে ফয়সাল মিয়া(৩০) নামে এক বখাটে যুবককে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গত রবিবার (৪.১২.১৬) সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ৩৫৩ ধারায় এ আদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল খায়ের। ফয়সাল উপজেলাধীন টিটা গ্রামের হাজী মিজান মিয়ার ছেলে।
শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬
মানব পাচার মামলার মূল আসামীর নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মানব পাচার মামলার মূল আসামীর নাম বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
শনিবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী মোসা. নবেলা বেগম (৫০)। তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহেব আলী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এজাহারভূক্ত ২ নং আসামী আল-আমিনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে এসআই সাহেব আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাদীর নিজ বাড়ি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রাম হতে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধি কন্যা সাবিনা খানমকে (৩০) ভিক্ষা বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে আসামীগণ ভারতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। পরে আসামীগণ সাবিনাকে ফেরত না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইবুনালে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলী গ্রামের মতিয়ার রহমান শেখের ছেলে মো. আল-আমিন (২৭), আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের ওলফাত শেখের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫) ও কাছেদ শেখের ছেলে আশরাফ হোসেনের (২৬) নামে মামলা দায়ের করেন মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী মোসা. নবেলা বেগম। পরে আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারী ০৭৫৫-নং স্বারক নম্বরে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলফাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দেন। পরে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৩/৮/১০ ধারায় মামলাটি রুজু করেন। মামলা নং-১০,তাং-২৯/০২/১৬ খ্রী.।
সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বিধবা মহিলা নবেলা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাহেব আলী আমার কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে আসছিলেন। আমি দরিদ্র হওয়ায় তা দিতে না পারায় মামলার সঠিক তদন্ত ও সাক্ষীদের সাথে কোন কথা না বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনার প্রধান আসামী আল-আমিন এর নাম বাদ দিয়ে গত ৩১/১০/১৬ইং তারিখে চার্জসীট দিয়েছে আদালতে।
তিনি আরও বলেন, আলফাডাঙ্গা থানায় গিয়ে ২নং বিবাদীর নাম বাদ দেয়ার কথা জানতে চাইলে এসআই সাহেব আলী আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দিয়ে বলেন আমার কলমে অনেক ধার, কলমে যা পেয়েছে তাই করেছি।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সাহেব আলী জানান, তিনি সবার সাথে কথা বলে মামলা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এদিকে মামলার সাক্ষী আলীম খান, সিদ্দিক মোল্যা, লুৎফর মোল্যা জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলার ব্যাপারে তাদের সাথে কোন কথা বলেন নাই।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল করিম বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলা তদন্ত করে চার্জসীট দিয়েছে। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে বাদী আদালতে নারাজী দিতে পারবেন।
শনিবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী মোসা. নবেলা বেগম (৫০)। তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহেব আলী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এজাহারভূক্ত ২ নং আসামী আল-আমিনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে এসআই সাহেব আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাদীর নিজ বাড়ি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রাম হতে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধি কন্যা সাবিনা খানমকে (৩০) ভিক্ষা বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে আসামীগণ ভারতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। পরে আসামীগণ সাবিনাকে ফেরত না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইবুনালে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলী গ্রামের মতিয়ার রহমান শেখের ছেলে মো. আল-আমিন (২৭), আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের ওলফাত শেখের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫) ও কাছেদ শেখের ছেলে আশরাফ হোসেনের (২৬) নামে মামলা দায়ের করেন মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী মোসা. নবেলা বেগম। পরে আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারী ০৭৫৫-নং স্বারক নম্বরে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলফাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দেন। পরে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৩/৮/১০ ধারায় মামলাটি রুজু করেন। মামলা নং-১০,তাং-২৯/০২/১৬ খ্রী.।
সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বিধবা মহিলা নবেলা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাহেব আলী আমার কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে আসছিলেন। আমি দরিদ্র হওয়ায় তা দিতে না পারায় মামলার সঠিক তদন্ত ও সাক্ষীদের সাথে কোন কথা না বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনার প্রধান আসামী আল-আমিন এর নাম বাদ দিয়ে গত ৩১/১০/১৬ইং তারিখে চার্জসীট দিয়েছে আদালতে।
তিনি আরও বলেন, আলফাডাঙ্গা থানায় গিয়ে ২নং বিবাদীর নাম বাদ দেয়ার কথা জানতে চাইলে এসআই সাহেব আলী আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দিয়ে বলেন আমার কলমে অনেক ধার, কলমে যা পেয়েছে তাই করেছি।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সাহেব আলী জানান, তিনি সবার সাথে কথা বলে মামলা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এদিকে মামলার সাক্ষী আলীম খান, সিদ্দিক মোল্যা, লুৎফর মোল্যা জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলার ব্যাপারে তাদের সাথে কোন কথা বলেন নাই।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল করিম বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলা তদন্ত করে চার্জসীট দিয়েছে। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে বাদী আদালতে নারাজী দিতে পারবেন।
বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলফাডাঙ্গায় কৃষকলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা
স্টাফ রিপোর্টারঃ মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উদ্যাপন উপলক্ষে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা কৃষকলীগের আয়োজনে থানায় সামনে অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা হয়।
উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোকলেচুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক হাজী গফফার মিয়া,যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. হিমায়েত হোসেন,সদস্য সাহাদত হোসেন বালা,আছাদ মিয়া প্রমূখ। এ সময় উপজেলা কৃষকলীগের ছয় ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক ও সদস্য বৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬
শিক্ষক ও প্রতিবন্ধীর উপর সন্ত্রাসী হামলা
আহত লিটন বিশ্বাস |
বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬
স্ত্রী আটক- বোয়ালমারীতে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সংবাদদাতা,বোয়লমারী ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার কুশাডাঙ্গা গ্রামের মনিরউদ্দিন দেওয়ানের ছেলে কৃষক শাহাদত দেওয়ানকে (৪৭) তার স্ত্রী শাহিদা বেগম কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (২৯.১১.১৬) দিনগত রাতে ঘুমের মধ্যে নিজ ঘরে যে কোন সময় তাকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে নিহতের পরিবার সূত্রে যানা গেছে। ঘটনার পরে তার স্ত্রী পালিয়ে যায়। শাহিদা উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের আক্তার মোল্যার মেয়ে। এক বছর আগে শাহাদত দেওয়ান শাহিদা বেগম কে বিয়ে করে । এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। সকাল সাড়ে নয়টায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের চাচা মোফাজ্জেল দেওয়ান বলেন, শাহাদতের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের আকতার মোল্যার মেয়ে শাহিদা বেগমকে (২৩) বিয়ে করে। শাহিদার আগে বিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। ঘটনার দিন সকালে শাহাদতকে তার চাচাতো বোন টবু ঘুম থেকে ডেকে তুলতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার খাটের ওপরে মৃত দেখতে পায় । এদিকে থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিতার বাজার সাহিদা বেগমের ভগ্নিপতি মফিজের বাড়ি থেকে শাহিদা বেগম ও তার ভগ্নিপতি মফিজকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে । থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিদা একাই তার স্বামীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না এখনও স্পস্ট না। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত লোহার শাবল শাহাদতের ঘরের মধ্য থেকে উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
পাট চাষীদের মাঝে সার বিতরন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ উচ্চ ফলনশীল পাট ও পাট জীব উৎপাদন এবং পাট পচন প্রকল্পের আওতায় নাবি পাট বীজ উৎপাদনকারী ২৫০ জন পাট চাষির মধ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আজ বুধবার ৩০ নভেম্বর উপজেলা হলরুমে প্রত্যেককে ২০ কেজি রাসায়নিক সার ও কিটনাশক বিতরন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের, বানা ইউপি চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ন কবীর বাবু,উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন,উপজেলা পাট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম,প্রেসক্লাবে যুগ্ন আহবায়ক মো. আলমগীর কবীর প্রমূখ।
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের চেক বিতরন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ফরিদপুর জেলার আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে আলফাডাঙ্গা উপজেলার দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত বানা ইউনিয়নের সুপারভাইজার ও এলসিএস কর্মীদের মাসিক বেতন থেকে কর্তন করা সঞ্চয়ের চেক আজ বুধবার ৩০ নভেম্বর উপজেলা হলরুমে বিতরন করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলির বাস্তবায়নে গত ছয় বছর যাবত এই প্রকল্প চালু থাকায় ১৬ জনকে তাদের বেতন থেকে ৪০% কর্তন কৃত টাকার চেক ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের, বানা ইউপি চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ন কবীর বাবু, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম, প্রেসক্লাবে যুগ্ন আহবায়ক মো. আলমগীর কবীর প্রমূখ।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬
ফলোআপ - সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বয়স্ক ভাতা পেলেন রিজিয়া বেগম
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘কত বয়াস হলে বয়স্ক ভাতা পাবেন রিজিয়া’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ৭২ ঘন্টার মধ্যে বয়াস্ক ভাতা পেলেন রিজিয়া বেগম। সংবাদটি প্রশাসনের নজরে আসলে গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃদ্ধা নুরজাহান ওরফে রিজিয়া বেগমকে ডেকে তার কার্যলায়ে হাজির করে বয়স্ক ভাতার কার্ড (বই নং-৬৬৯/১) তার হাতে তুলে দেন । এ সময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রকাশ কুমার বিশ্বাস সহ সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ সন্তানের জননী বিধবা এই নারী রিজিয়া অভাবের সংসারে মধুমতি নদীর চরে টিনের ছাপড়া করে বসবাস করে। গত ২৭ নভেম্বর অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলে প্রশাসনের নজরে আসার পর অসহয় বৃদ্ধা রিজিয়ার ভাতার কার্ডটি প্রদান করা হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভোরের পাতাকে বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ঐ বৃদ্ধার কথা জানতে পারি। পরে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বৃদ্ধা রিজিয়াকে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদান করার সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভোরের পাতাকে বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ঐ বৃদ্ধার কথা জানতে পারি। পরে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বৃদ্ধা রিজিয়াকে বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদান করার সিদ্ধান্ত হয়।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান নওশের আলীর আজ ৭তম মৃত্যু বার্ষিকী
মরহুম খান নওশের আলী |
শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬
কত বয়াস হলে বয়স্ক ভাতা পাবেন রিজিয়া বেগম?
রিজিয়া বেগম |
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রিজিয়া। বিধবা এই নারী পাঁচ সন্তানের জননী । দুটি ছেলে ও তিন মেয়ে তার। অভাবের সংসারে ছেলেরা দিনমজুরের কাজ করে যা রোজগার করে তা দিয়ে তাদের পরিবার নিয়েই হিমশিম খেতে হয়। মেয়েরা স্বামীর সংসারে ব্যস্ত। মধুমতি নদীর ভাঙনে ভিটে মাঁটি হারিয়েছে রিজিয়া। এখন মধুমতির চরে পাটকাঠি দিয়ে ঘেরা টিনের ছাপড়া ঘরে দরিদ্র সন্তানদের সঙ্গে থাকছেন। বৃহস্পতিবার রিজিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার বয়স্ক ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমারে ভাতা তাতা দিবি কিডারে মনা ? ভাতার কাট কত্তিতো চাইর হাজার টাহা লাগে, আমি টাহা কহানে পাব ? টাহা দিতি পারিনে, তাই ভাতা অয়না’। তবে কে টাকা চায় সেটা স্পষ্ট করে না বললেও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকেই দুষলেন তিনি। এই বৃদ্ধা আরও বলেন, ‘আল্লা কোনো রহম বাচায় রাহিছে, তাই বাইচে আছি, ঠান্ডায় মেলা কষ্ট অয়, ওষুধ নাই, ভালো কিছু খাইবের পারিনে’।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খান নজরুল ইসলাম বলেন, বয়ষ্ক ভাতা কার্ড করতে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয় না। তাহলে বৃদ্ধা রিজিয়ার কাছ থেকে কে টাকা চেয়েছে-সে প্রশ্নের জবাবে নীরব থাকেন এই জনপ্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ওহাব পান্নু মিয়া বলেন, আমার কাছে তার কোনো তালিকা আসে নাই। আসলে আমি তার ভাতার ব্য্পাারে সুপারিশ করবো।’
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার কুন্ডুু বলেন, ‘চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এ কার্ড গুলোর তালিকা করে থাকেন। তারা কেনও এত বয়স্ক একটি মানুষকে কার্ডের অন্তর্ভুক্ত করেনি তা খতিয়ে দেখতে হবে। পরবর্তীতে সুযোগ হলে বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতা দেয়া হবে।’
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা
চেয়ারম্যান মো. ইমাম হাচান |
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সদ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মো. ইমাম হাচান শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্য এবং জন সাধারনের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন। ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্র এসে জন সাধারন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০১৫ সালে অর্থ বছরে মৌলিক থোক বরাদ্দ(কাবিখা) দ্বিতীয় কিস্তির ৮ লাখ ৮৬ হাজার ২শ’ ৮৩ টাকা আত্মসাতের লক্ষে নির্বাচন পরবর্তি প্রথম মিটিংয়ে কিছু না লেখা সাদা রেজুলেশন খাতায় সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে তিনি নিজে টাকা উত্তোলন করেন। তিনি সদস্যদের নিকট থেকে কোন প্রকল্প নেন না। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা একই ভাবে উত্তোলন করেছেন । এ ছাড়া হালে বরাদ্দ পাওয়া ৪২৪ খানা ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম করছেন। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা বই বিতরণের সময় চেয়ারম্যান তার নিজস্ব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জন প্রতি ১০০০ হাজার টাকা নিয়েকার্ড বিতরন করেন। এ ব্যাপারে ৩ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাকি পারভিন বলেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য। আমরা ৯ সদস্য ইউএনও ও ডিসি সারের নিকট অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভুয়া ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সেটা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের। তখন আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল খায়ের জানান, লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন অনেক সময় ব্যাক্তি স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে এ ধরনের অভিযোগ এনে থাকে। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার দুই পক্ষকে অফিসে ডেকে ছিলাম । এক পক্ষ হাজির না হওয়ায় কোন সমাধান হয়নি। আগামি দু-একদিনের ভিতরে দুই পক্ষকে ডেকে অভিযোগের সত্য ও মিথ্যা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রস্তুতিমূলক সভা ও বেলা ৩টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের এর সভাপতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, আলফাডঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাশার মিয়া, আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ কামাল আতাউর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সাইফার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম শেখ সহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারি, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক বৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রস্তুতিমূলক সভা ও বেলা ৩টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের এর সভাপতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, আলফাডঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাশার মিয়া, আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ কামাল আতাউর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সাইফার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম শেখ সহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারি, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক বৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬
পুলিশ বটে ! বারইপাড়ায় হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভেঙ্গে গুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
ভেঙ্গে ফেলা ঘর |
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মানাধীন সাদবিহীন একতলা ভবন ভেঙ্গে গুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় কর্মরত মহিলা কনস্টেবল রওশন আরা খানমের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের মো. সোহরাব মোল্যার বসতবাড়িতে ১৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ৬টার দিকে মহিলা কনস্টেবল রওশন আরা খানমের নেতৃত্বে চাইনিস কোরাল, রামদা, হাতুরি, লোহার রড, ড্রিল মেশিন, বড় হ্যামার, ও ওয়ালকাটা মেশিনসহ শতাধীক বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অস্ত্রেরমুখে বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে নির্মানাধীন সাদবিহীন একতলা ভবন ভেঙ্গেচুড়ে গুড়িয়ে দেয়। আলফাডাঙ্গা থানায় এ ব্যাপারে ১৮ নভেম্বর শক্রবার মহিলা কনস্টেবল রওশন আরা খানম(২৯), তার পিতা মোখলেচুর রহমান(৭০), ভাই ফরিদ মোল্যা(২৫), ফয়সাল মোল্যা(২০), ফোরাদ মোল্যা(২৭) ও বড় বোন রেহেনা বেগম(৩৫) এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী সোহরাব মোল্যা।
ভূক্তভোগী সোহরাব মোল্যা বলেন, একই গ্রামে অবস্থিত আমার প্রতিবেশী মোখলেচুর রহমানের মেয়ে পার্শ¦বর্তি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় মহিলা কনস্টেবল পদে পুলিশের চাকুরি করার সূবাদে প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে আমাদেরকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে আমার একতলা ভবনটি ভেঙ্গে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে এবং আমাকে ও আমার পরিবারকে তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানতে চাইলে মহিলা কনস্টেবল রওশন আরা খানম মুঠোফোনে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারি আলফাডাঙ্গা থানার এস আই মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রওশন আরা খানম ঘটনাস্থলে ছিলেন। ঘটনাস্থলেই তার সাথে আমার কথা হয়েছে।
এ ব্যপারে কাশিয়ানী থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আলীনুর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, এটা খুবই দুঃখজনক। তবে বিষয়টি মিমাংশার কথা চলছে।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬
বোয়ালমারীতে ধর্ষণের শিকার আদিবাসি শিশুকে ইউএনও’র অনুদান
সংবাদদাতা,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার মধ্যকামারগ্রামে ধর্ষণের শিকার আদিবাসি সেই শিশুর চিকিৎসার জন্য দশ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আরা পলি। বৃহস্পতিবার ১৭নভেম্বর সন্ধ্যায় ইউএন’র কার্যালয়ে ওই শিশুর মায়ের নিকট তিনি অনুদানের টাকার চেক প্রদান করেন। এ সময় ইউএনও ওই শিশুটির চিকিৎসার খোজ খবর নেন এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আশ্বাস দেন। ওই শিশু বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অনুদান দেওয়ার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান। উল্লেখ্য গত সোমবার (১৪নভেম্বর) প্রতিবেশি লিয়াকত বিশ্বাসের ছেলে ওহিদ বিশ্বাস (২৮) ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। শিশুর মা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর কুলখানী অনুষ্ঠিত
আমিরুল ইসলাম চৌধরী |
গত শুক্রবার ১৮ নভেম্বর জুম্মা বাদ বোয়ালমারী পৌর-সভার ছোলনা গ্রামের তার নিজ বাসভবনে দোয়া মাহফিল এর মাধ্যমে এ কুলখানী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. শাহাজাহান মৃধা পিকুল, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক গুনবাহা ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম, বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক বৃন্দ সহ শত শত মুসল্লী কুলখানীতে অংশ গ্রহন করেন।
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬
সাংবাদিক আমিরুল চৌধুরী চলে গেলেন না ফেরার দেশে
প্রতিনিধি, আলফাডাঙ্গা/ফরিদপুরঃ বহুল প্রচারিত দৈনিক ভোরের পাতার বোয়ালমারী প্রতিনিধি, বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি, আল-হাসান মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী (৫৬) চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
গতকাল বুধবার ভোর রাতে পৌরসভার ছোলনা গ্রামের নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি........রাজিউন)। তিনি দির্ঘদিন ধরে লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তার মরাদেহ বোয়ালমারী প্রেসক্লাবে রাখা হয়। পরে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোযার হোসেন, আল-হেলাল পত্রিকার সম্পাদক মো. রেজাউল হক, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম এর বক্তব্য শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর ছোলনা সালামিয়া ফাযিল মাদ্রসা প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এসময় বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নান্নু মিয়া, পৌর মেয়র মোজাফ্ফর হোসেন বাবলু মিয়া, গুনবাহা ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম, সহ শত শত মুসল্লী জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
তার মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাংসদ কাজী সিরাজুল ইসলাম সহ রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক, সুশিলসমাজ, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
গতকাল বুধবার ভোর রাতে পৌরসভার ছোলনা গ্রামের নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি........রাজিউন)। তিনি দির্ঘদিন ধরে লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তার মরাদেহ বোয়ালমারী প্রেসক্লাবে রাখা হয়। পরে বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোযার হোসেন, আল-হেলাল পত্রিকার সম্পাদক মো. রেজাউল হক, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম এর বক্তব্য শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর ছোলনা সালামিয়া ফাযিল মাদ্রসা প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এসময় বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নান্নু মিয়া, পৌর মেয়র মোজাফ্ফর হোসেন বাবলু মিয়া, গুনবাহা ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম, সহ শত শত মুসল্লী জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
তার মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাংসদ কাজী সিরাজুল ইসলাম সহ রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক, সুশিলসমাজ, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে আলফাডাঙ্গায় মতবিনিময় সভা
মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, প্রতিমা ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের
ঘটনায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মতবিনিময় সভা হয়েছে। এমন ঘটনা যেন ফরিদপুরে না
ঘটে মতবিনিময় সভায় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা হয়।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের-এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল করিম, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো, আব্দুল কুদ্দুস খান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা ছালাম, উপজেলা কৃষি অফিসার আফতাব উদ্দিন মাহমুদ, মৎস্য অফিসার তপন মজুমদার, আলফাডাঙ্গার দুই কলেজের অধ্যক্ষ, উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
প্রতিনিধি, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে উপজেলা যুবলীগ। গতকাল শুক্রবার (১১-১১-১৬) বিকাল ৪টার দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এসে কেক কাটার মাধ্যমে শেষ হয়। পরে আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আহসান উদ্দৌলা (রানা)’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সাইফার এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাশার মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও বেগম শাহানারা একাডেমির সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সম্পাদক এ কে এম আহাদুল হাসান আহাদ, বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক হিটান্ত কুমার ঘোষ, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসান, উপজেলা যুবলীগ নেতা হাসমত হোসেন তপন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন, বানা ইউপি যুবলীগের সভাপতি মো. আলমগীর কবির, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌকির আহম্মেদ ডালিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, বুড়াইছ ইউপি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের সভাপতি, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি ও কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ‘ঢাকাটাইমস’ ও ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।
বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় “সেবার মান বৃদ্ধি করি, সবার প্রত্যাশা পূরণ করি” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ১২ থেকে ১৭ নভেম্বর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ সভা হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফরোজ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফায়েকুজ্জান এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন মাহমুদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান টুনু, মো. শাহারিয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের মহিলা সম্পাদিকা সৈয়দা নাজনীন, মাঠকর্মী পারভীন বেগম।
এসময় বিশেষ অতিথি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা ছালাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম এইচ এ কে এম রওনক আরা বেগমসহ উপজেলার ছয় ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬
‘সবার আগে দরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন’
মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ সবার আগে শিক্ষার মানোন্নয়ন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের
আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের নবনির্বাচিত সভাপতি, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি ও
কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ‘ঢাকাটাইমস’ ও ‘এই সময়’ সম্পাদক
আরিফুর রহমান দোলন।
শনিবার দুপুরে
আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের এক পরিচিতিমূলক সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের
অধ্যক্ষ মো. মোরশেদুর রহমান। অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
নব-নির্বাচিত সভাপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর উন্নয়ন দরকার, শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন দরকার, কিন্তু সবার আগে দরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন।’
কলেজের উন্নয়ন সম্পর্কে নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, ‘আমি উন্নয়নের বিরোধী নই, আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমি কথা দিচ্ছি প্রতিষ্ঠানের শুধু অবকাঠামোই নয় যত ধরনের উন্নয়ন প্রয়োজন আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে করার।’
ঢাকাটাইমস সম্পাদক শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোমাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা নিলেই হবে না, নৈতিক শিক্ষায়ও শিক্ষিত হতে হবে। তোমরা এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে তোমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি বা মান ক্ষুণ্ন হয়।’
কলেজের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আরিফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকরা নিশ্চয়ই নৈতিক শিক্ষা দেন। কিন্তু মাদকের ছোবল সারাদেশে, তাই আমাদের সন্তানদের যাতে এই মাদক আচ্ছন্ন না করে সে ব্যাপারে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
সহকারী অধ্যাপক এ কে এম আরিফুজ্জামানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, উপাধ্যক্ষ কামাল আতাউর রহমান, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও বেগম শাহানারা একাডেমির সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মো. নূরুল ইসলাম লিটন, শেখ শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসান, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এস এম নজরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক নীল রতন বিশ্বাস, এ ইউ হায়দার চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক আবুল কাশেম, নিখিল কুমার কুন্ডু প্রমুখ।
এসময় কলেজের শিক্ষক/শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকার সুধীজন, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর উন্নয়ন দরকার, শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন দরকার, কিন্তু সবার আগে দরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন।’
কলেজের উন্নয়ন সম্পর্কে নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, ‘আমি উন্নয়নের বিরোধী নই, আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমি কথা দিচ্ছি প্রতিষ্ঠানের শুধু অবকাঠামোই নয় যত ধরনের উন্নয়ন প্রয়োজন আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে করার।’
ঢাকাটাইমস সম্পাদক শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোমাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা নিলেই হবে না, নৈতিক শিক্ষায়ও শিক্ষিত হতে হবে। তোমরা এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে তোমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি বা মান ক্ষুণ্ন হয়।’
কলেজের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আরিফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকরা নিশ্চয়ই নৈতিক শিক্ষা দেন। কিন্তু মাদকের ছোবল সারাদেশে, তাই আমাদের সন্তানদের যাতে এই মাদক আচ্ছন্ন না করে সে ব্যাপারে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
সহকারী অধ্যাপক এ কে এম আরিফুজ্জামানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, উপাধ্যক্ষ কামাল আতাউর রহমান, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ও বেগম শাহানারা একাডেমির সভাপতি শেখ শহীদুল ইসলাম, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মো. নূরুল ইসলাম লিটন, শেখ শরিফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসান, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এস এম নজরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক নীল রতন বিশ্বাস, এ ইউ হায়দার চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক আবুল কাশেম, নিখিল কুমার কুন্ডু প্রমুখ।
এসময় কলেজের শিক্ষক/শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকার সুধীজন, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় ওয়াবদা জায়গা রক্ষা করলেন ইউএনও
প্রতিনিধি,আলফাডাঙ্গা ঃ বারাশিয়া চন্দনা নদী করার সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর) বেড়িবাদ নির্মাণ এর জন্য মালিনা জমি একর করে। অনেক বেড়িবাধ হয়েছে হালোট ও সরকারী রা¯তা নির্মাণ। রাস্তার পাশ দিয়ে সরকারের পড়ে থাকা অনেক জমি বেদখল হয়ে গেছে। তেমনি একটি ওয়াবদার জমি বেদখল হওয়ার সময় রক্ষা করলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আজ শুক্রবার উপজেলাধীন পৌর-এলাকায় নোকাল বাসস্থান এর পূর্ব পাশে সরকারী রাস্তার পাশে ওয়াবদার পড়ে থাকা দশ শতাংশ জমি ভুমি হীন অসহয় গরীব আমেনা নামে এক মহিলা তার পরিবার নিয়ে ১৫/১৬ বছর বসবাস করতেছিল। আমেনা অসুস্থ থাকার সুবাধে পার্শ¦বর্তী বোয়ালমারী উপজেলা শেখর ইউনিয়ানে ছত্রকান্দা গ্রামের আবুল কালাম এর পুত্র আর্মি অবসর প্রাপ্ত সৈনিক মোঃ আলমগীর হোসেন জিন্নাহ বেআইনি ভাবে বসতভিটায় প্রবেশ করে জোর পূর্বক বাশ,খুটি,টিনের চাল দিয়ে ঘর নিমার্ন করতে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলফাডাঙ্গা উপ-সহকারী ভুমি অধির কুমার সাহা ও থানার এস আই মো. সিরাজকে পাঠিয়ে ঘর নিমার্নের কাজ বন্ধ করে দেন এবং জমিতে থাকা বাশ,খুটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আমেনা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান,আমার থাকার কোন জায়গা নেই। ওয়াবদার জায়গায় বসবাস করি,আমাকে জোর করে নামিয়ে দিয়ে জিন্নাহ বাড়ি করছে।
এ ব্যাপারে বাপাউবো আলফাডাঙ্গা পওর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী উত্তম কুমার পোদ্দার সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাদী হয়ে থানায় জিন্নাহ বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
মো. আলমগীর হোনে জিন্নাহ বলেন, আমি আমার জায়গায় ঘর তোলতে গিয়েছি,এটা আমেনার জায়গা না।
এ বিষয় থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, আমেনা অভিযোগ করলে আমি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করবে বলি এবং তার কাগজ পত্র দেখতে চাই কিন্তু জিন্না অন্য উপজেলা থেকে এসে কাগজ পত্র না দেখিয়ে আবার ঘর তোলার কাজ শুরু করে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘরের কাজ বন্ধ করে দেই এবং জমিতে থাকা বাশ,খুটি ও সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আজ শুক্রবার উপজেলাধীন পৌর-এলাকায় নোকাল বাসস্থান এর পূর্ব পাশে সরকারী রাস্তার পাশে ওয়াবদার পড়ে থাকা দশ শতাংশ জমি ভুমি হীন অসহয় গরীব আমেনা নামে এক মহিলা তার পরিবার নিয়ে ১৫/১৬ বছর বসবাস করতেছিল। আমেনা অসুস্থ থাকার সুবাধে পার্শ¦বর্তী বোয়ালমারী উপজেলা শেখর ইউনিয়ানে ছত্রকান্দা গ্রামের আবুল কালাম এর পুত্র আর্মি অবসর প্রাপ্ত সৈনিক মোঃ আলমগীর হোসেন জিন্নাহ বেআইনি ভাবে বসতভিটায় প্রবেশ করে জোর পূর্বক বাশ,খুটি,টিনের চাল দিয়ে ঘর নিমার্ন করতে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলফাডাঙ্গা উপ-সহকারী ভুমি অধির কুমার সাহা ও থানার এস আই মো. সিরাজকে পাঠিয়ে ঘর নিমার্নের কাজ বন্ধ করে দেন এবং জমিতে থাকা বাশ,খুটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আমেনা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান,আমার থাকার কোন জায়গা নেই। ওয়াবদার জায়গায় বসবাস করি,আমাকে জোর করে নামিয়ে দিয়ে জিন্নাহ বাড়ি করছে।
এ ব্যাপারে বাপাউবো আলফাডাঙ্গা পওর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী উত্তম কুমার পোদ্দার সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাদী হয়ে থানায় জিন্নাহ বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
মো. আলমগীর হোনে জিন্নাহ বলেন, আমি আমার জায়গায় ঘর তোলতে গিয়েছি,এটা আমেনার জায়গা না।
এ বিষয় থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, আমেনা অভিযোগ করলে আমি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করবে বলি এবং তার কাগজ পত্র দেখতে চাই কিন্তু জিন্না অন্য উপজেলা থেকে এসে কাগজ পত্র না দেখিয়ে আবার ঘর তোলার কাজ শুরু করে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘরের কাজ বন্ধ করে দেই এবং জমিতে থাকা বাশ,খুটি ও সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬
আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী সিরাজ ! শিরগ্রাম বাজারে আনন্দ মিছিল
ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম বাজারে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে ইউনিয়ন এর নেতাকর্মীরা।
রবিবার ৩০ অক্টোবার বিকালে আছর নামাজের পর উপজেলা কৃষক লীগের নেতা কাজী আব্দুলাহর ও শিরগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর মোল্ল্যার উদ্দ্যেগে এ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি বানা ইউনিয়ন কৃষক লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্কুল মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যেমে শেষ হয়।
রবিবার ৩০ অক্টোবার বিকালে আছর নামাজের পর উপজেলা কৃষক লীগের নেতা কাজী আব্দুলাহর ও শিরগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর মোল্ল্যার উদ্দ্যেগে এ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি বানা ইউনিয়ন কৃষক লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্কুল মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যেমে শেষ হয়।
সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬
বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে থাকতো তাহলে এ দেশ ভিক্ষুকের দেশে পরিণত হত .... উপজেলা চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন আহম্মেদ
ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে থাকতো তাহলে এ দেশ ভিক্ষুকের দেশে পরিণত হত বলে মন্তব্য করেছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ।
আজ সোমবার (৩১.১০.১৬) সকাল ১০টায় ফরিদপুর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে আমি সৌদি আরবে হজ্ব করতে গিয়েছিলাম সেখানে দেখলাম পাকিস্তানের মেয়েরা ভিক্ষাবৃত্তি করছে কিন্তু বাংলাদেশের কাউকে সেখানে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখি নাই। তাই বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে থাকতো তাহলে এ দেশ এতদিনে ভিক্ষুকের দেশেই পরিণত হত।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি এ দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাই সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। তাহলে এ দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।
আলোচনা সভায় সরকারের সাফল্য অর্জন ও বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আরও বক্তব্য দেন, ফরিদপুর জেলা সিনিয়র অফিসার মো. মশিইর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাশার মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক আলমগীর কবির প্রমুখ।
আজ সোমবার (৩১.১০.১৬) সকাল ১০টায় ফরিদপুর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, কিছুদিন আগে আমি সৌদি আরবে হজ্ব করতে গিয়েছিলাম সেখানে দেখলাম পাকিস্তানের মেয়েরা ভিক্ষাবৃত্তি করছে কিন্তু বাংলাদেশের কাউকে সেখানে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখি নাই। তাই বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে থাকতো তাহলে এ দেশ এতদিনে ভিক্ষুকের দেশেই পরিণত হত।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি এ দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাই সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। তাহলে এ দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।
আলোচনা সভায় সরকারের সাফল্য অর্জন ও বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আরও বক্তব্য দেন, ফরিদপুর জেলা সিনিয়র অফিসার মো. মশিইর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাশার মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক আলমগীর কবির প্রমুখ।
রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় জেলা তথ্য অফিসের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিত ও সম্পৃক্তকরণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফরিদপুর জেলা তথ্য অফিস।
রবিবার বিকাল ৪টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের, জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মশিউর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলমসহ স্থানীয় সকল সাংবাদিক বৃন্দ।
রবিবার বিকাল ৪টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের, জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মশিউর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলমসহ স্থানীয় সকল সাংবাদিক বৃন্দ।
শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬
কাজী সিরাজ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হওয়ায় আলফাডাঙ্গায় মিষ্টি বিতরন ও আনন্দ মিছিল
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ায়
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলার নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৯.১০.১৬) বিকালে আছর নামাজের পর উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন- আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হেসেন ও বেজিডাঙ্গা কাজী আমেনা ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদুর রহমান এর উদ্দ্যেগে এ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
মিছিলটি উপজেলা কৃষক লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কৃষক লীগের কার্যালয়ে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলার নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৯.১০.১৬) বিকালে আছর নামাজের পর উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন- আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হেসেন ও বেজিডাঙ্গা কাজী আমেনা ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদুর রহমান এর উদ্দ্যেগে এ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
মিছিলটি উপজেলা কৃষক লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কৃষক লীগের কার্যালয়ে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬
নওয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্য বিবাহ ও মাদক বিরোধী সভা
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নওয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এক সচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নওয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ সভা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ তালুকদার এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিধি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোসা. মাহাফুজা বেগম।
সভায় অতিথিরা মাদক ও বাল্যবিবাহের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাদক ব্যবহার ও বাল্য বিবাহ না করার জন্য শপথ পাঠ করান।
এসময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ, শিক্ষক/শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যধার অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘর লুট ও ভাংচুর
প্রতিনিধি,আলফাডাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিদ্যধার গ্রামে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে ৫ টি ঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ঘরে থাকা আসবাবপত্র তছনছ করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়ন রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার(২৭-১০-১৬) তারিখে সকাল ৯টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যধার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে গ্রামের চার পাশে টহল দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আহাদুল হাচান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আঃ রাজ্জাক এর দুইটি গ্রুপের মধ্যে দন্ড থাকায় রাজ্জাক গ্রুপের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে সাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে একই গ্রামের নাগর, চঞ্চল, মান্নান, রিপন ও ইকবলের বাড়িতে আকর্ষিক ভাবে হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে দ্রুত আইন গত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার(২৭-১০-১৬) তারিখে সকাল ৯টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যধার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে গ্রামের চার পাশে টহল দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আহাদুল হাচান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আঃ রাজ্জাক এর দুইটি গ্রুপের মধ্যে দন্ড থাকায় রাজ্জাক গ্রুপের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে সাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে একই গ্রামের নাগর, চঞ্চল, মান্নান, রিপন ও ইকবলের বাড়িতে আকর্ষিক ভাবে হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে দ্রুত আইন গত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ধলাইচর প্রতিপক্ষের হামলায় গ্রাম পুলিশ গুরুত্বর আহত
প্রতিনিধি,আলফাডাঙ্গা ঃ জমি-জমার বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলাইচর ওয়ার্ড এর গ্রাম পুলিশ রফিক হোসেন (৬০) গুরুত্বর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার রফিকের ছেলের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে পান্নু (৪০), চুন্নু (৩০),সজিব(১৮),মনিরা(৩৫) কোহিনুর(২৫),লেকজান(৬৫)এর নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২৬-১০-১৬) ইং তারিখে বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নে ধলাইচর গ্রামে গ্রাম পুলিশ রফিক বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে পান্নু সিকদার লোকজন নিয়ে আতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় রফিকের মাথা ফেটে রক্ত খনন হয় এবং তার ডান হাতের কোটি সরে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মোঃ ইমরান হোসেন রোগির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩য় তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইন গত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২৬-১০-১৬) ইং তারিখে বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নে ধলাইচর গ্রামে গ্রাম পুলিশ রফিক বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে পান্নু সিকদার লোকজন নিয়ে আতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় রফিকের মাথা ফেটে রক্ত খনন হয় এবং তার ডান হাতের কোটি সরে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মোঃ ইমরান হোসেন রোগির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩য় তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইন গত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান আহাদের মাতার ইন্তেকাল
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আলফাডাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সম্পাদক, উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা আহাদুল হাসান আহাদের মাতা মোসা. ছবুরন নেছা (১০০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিলাহি........রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (২৭.১০.১৬) সকাল ৮টায় উপজেলার শুকুরহাটা গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে, ৭ মেয়ে আত্রীয়সজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দিনগত বিকাল সাড়ে ৪ টায় আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে মরহুমার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মরহুমাকে শুকুরহাটা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হয়। মরহুমার স্বামী মরহুম আবু বক্কার মিয়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে ৪ বার তথা ২১বছর সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। মোসা. ছবুরন নেছার মৃত্যুতে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম,ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ এর সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা আ.লীগ সহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬
মাদকমুক্ত আলফাডাঙ্গা গড়তে সহযোগিতা চাইলেন ডিসি
মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলাকে মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন মিলনায়তনে এক
মতবিনিময় সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ
আবুল খায়ের সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মাদক একটি ভয়ানক ব্যধি। এটি যুবসমাজকে মারাত্মক
ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই আমি আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আলফাডাঙ্গাকে
মাদকমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়তে তুলতে চাই।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ‘আমার কোন
কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম করেন- তাহলে আমাকে জানাবেন।
আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আলফাডাঙ্গার উন্নয়নকে
আরও তরান্বিত করতে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যহত থাকবে বলে
আশ্বাস দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক।
মতবিনিময় সভায় ডিডিএলজি উপ-পরিচালক ড. আবু নঈম মোহাম্মদ আবদুছ ছবুর,
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দীন আহম্মেদ, উপজেলা আ.লীগের
সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর
রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা সালাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডার আবু হোসেন তালুকদার, আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
মো. মোশাররফ হোসেন, আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোরশেদুর রহমান
তাজ, আলফাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান আহাদ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেনসহ ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
সভা পরিচালনা করেন আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক সারেকুল হাসান নয়ন ও গোপালপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অধির কুমার গুহ।
মতবিনিময় সভা শেষে তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভূমি অফিসসহ একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬
ইয়াবা সেবনের দায়ে একজনের কারাদন্ড
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ইয়াবা সেবনের দায়ে আলম মোল্যা (৪৫) নামের একজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ দন্ডাদেশ দেন। আলম মোল্যা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. রইজ উদ্দিন আহমেদ এর ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, শনিবার রাতে স্থানীয় জনগণ কৃষ্ণপুর থেকে ৪ পিছ ইয়াবাসহ ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় আলম মোল্যাকে আটক করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আলম মোল্যাকে সোপর্দ করা হলে রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়ে তাকে এ দন্ডাদেশ দেন।
শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান আহাদের জনসভা
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ আলফাডাঙ্গায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা জোড়ালো করতে
নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক জনসভা করেছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আহাদুল
হাসান আহাদ।
আলফাডাঙ্গাকে পৌরসভা ঘোষণা করায় গত ইউপি নির্বাচনের সময় ফরিদপুরের গোপালপুর, আলফাডাঙ্গা ও বুড়াইছ ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় জাটীগ্রাম মমতাজউদ্দিন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ জনসভা হয়।
দুপুর দুইটা হতেই ইউনিয়নের শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থক জড়ো হতে থাকেন
জনসভাস্থলে। বিকাল ৩টায় সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে
চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম আহাদুল হাসান আহাদ গাড়িবহর নিয়ে শোডাউনের
মাধ্যমে সভাস্থলে পৌঁছান।
এসময় নেতাকর্মীরা “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আহাদ ভাই তুমি এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’’- স্লোগানে সভাস্থল মূখরিত করে তোলেন।
জনসভায় মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাজাহান কবীর দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান
বক্তা ছিলেন উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা, সদর
ইউপি চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম
আহাদুল হাসান আহাদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এ কে এম
জাহিদুল হাসান জাহিদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবু বক্কার সিদ্দীক,
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, ইমারত হোসেন, রফিকুল ইসলাম মোল্যা,
শরফুদ্দিন ও মো. উজ্জল প্রমুখ।
প্রধান বক্তা আহাদুল হাসান তার বক্তব্যে বিগত দিনে ইউনিয়নে তার সময়ের
বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র তুলে ধরেন ও আগামীতে এ উন্নয়নের ধারা
অব্যহত রাখতে সকল ভেদাভেদ ভুলে তার পক্ষে কাজ করার জন্য ইউনিয়ন বাসীর প্রতি
আহবান জানান।
অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে আগামী ইউপি নির্বাচনে যোগ্যনেতা হিসাবে
আহাদুল হাসান আহাদকে বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত
করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
জনসভায় ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থক স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)