শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬

আলফাডাঙ্গায় ওয়াবদা জায়গা রক্ষা করলেন ইউএনও

প্রতিনিধি,আলফাডাঙ্গা ঃ বারাশিয়া চন্দনা নদী করার সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর) বেড়িবাদ নির্মাণ এর জন্য মালিনা জমি একর করে। অনেক বেড়িবাধ হয়েছে হালোট ও সরকারী রা¯তা নির্মাণ। রাস্তার পাশ দিয়ে সরকারের পড়ে থাকা অনেক জমি বেদখল হয়ে গেছে। তেমনি একটি ওয়াবদার জমি বেদখল হওয়ার সময় রক্ষা করলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আজ শুক্রবার উপজেলাধীন পৌর-এলাকায় নোকাল বাসস্থান এর পূর্ব পাশে সরকারী রাস্তার পাশে ওয়াবদার পড়ে থাকা দশ শতাংশ জমি ভুমি হীন অসহয় গরীব আমেনা নামে এক মহিলা তার পরিবার নিয়ে ১৫/১৬ বছর বসবাস করতেছিল। আমেনা অসুস্থ থাকার সুবাধে পার্শ¦বর্তী বোয়ালমারী উপজেলা শেখর ইউনিয়ানে ছত্রকান্দা গ্রামের আবুল কালাম এর পুত্র আর্মি অবসর প্রাপ্ত সৈনিক মোঃ আলমগীর হোসেন জিন্নাহ বেআইনি ভাবে বসতভিটায় প্রবেশ করে জোর পূর্বক বাশ,খুটি,টিনের চাল দিয়ে ঘর নিমার্ন করতে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলফাডাঙ্গা উপ-সহকারী ভুমি অধির কুমার সাহা ও থানার এস আই মো. সিরাজকে পাঠিয়ে ঘর নিমার্নের কাজ বন্ধ করে দেন এবং জমিতে থাকা বাশ,খুটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। আমেনা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান,আমার থাকার কোন জায়গা নেই। ওয়াবদার জায়গায় বসবাস করি,আমাকে জোর করে নামিয়ে দিয়ে জিন্নাহ বাড়ি করছে। 
এ ব্যাপারে বাপাউবো আলফাডাঙ্গা পওর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী উত্তম কুমার পোদ্দার সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাদী হয়ে থানায় জিন্নাহ বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
মো. আলমগীর হোনে জিন্নাহ বলেন, আমি আমার জায়গায় ঘর তোলতে গিয়েছি,এটা আমেনার জায়গা না।
এ বিষয় থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, আমেনা অভিযোগ করলে আমি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করবে বলি এবং তার কাগজ পত্র দেখতে চাই কিন্তু জিন্না অন্য উপজেলা থেকে এসে কাগজ পত্র না দেখিয়ে আবার ঘর তোলার কাজ শুরু করে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘরের কাজ বন্ধ করে দেই এবং জমিতে থাকা বাশ,খুটি ও সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন