চেয়ারম্যান মো. ইমাম হাচান |
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সদ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মো. ইমাম হাচান শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্য এবং জন সাধারনের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন। ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্র এসে জন সাধারন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০১৫ সালে অর্থ বছরে মৌলিক থোক বরাদ্দ(কাবিখা) দ্বিতীয় কিস্তির ৮ লাখ ৮৬ হাজার ২শ’ ৮৩ টাকা আত্মসাতের লক্ষে নির্বাচন পরবর্তি প্রথম মিটিংয়ে কিছু না লেখা সাদা রেজুলেশন খাতায় সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে তিনি নিজে টাকা উত্তোলন করেন। তিনি সদস্যদের নিকট থেকে কোন প্রকল্প নেন না। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা একই ভাবে উত্তোলন করেছেন । এ ছাড়া হালে বরাদ্দ পাওয়া ৪২৪ খানা ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম করছেন। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা বই বিতরণের সময় চেয়ারম্যান তার নিজস্ব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জন প্রতি ১০০০ হাজার টাকা নিয়েকার্ড বিতরন করেন। এ ব্যাপারে ৩ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাকি পারভিন বলেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য। আমরা ৯ সদস্য ইউএনও ও ডিসি সারের নিকট অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভুয়া ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সেটা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের। তখন আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল খায়ের জানান, লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন অনেক সময় ব্যাক্তি স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে এ ধরনের অভিযোগ এনে থাকে। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার দুই পক্ষকে অফিসে ডেকে ছিলাম । এক পক্ষ হাজির না হওয়ায় কোন সমাধান হয়নি। আগামি দু-একদিনের ভিতরে দুই পক্ষকে ডেকে অভিযোগের সত্য ও মিথ্যা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন