রিজিয়া বেগম |
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রিজিয়া। বিধবা এই নারী পাঁচ সন্তানের জননী । দুটি ছেলে ও তিন মেয়ে তার। অভাবের সংসারে ছেলেরা দিনমজুরের কাজ করে যা রোজগার করে তা দিয়ে তাদের পরিবার নিয়েই হিমশিম খেতে হয়। মেয়েরা স্বামীর সংসারে ব্যস্ত। মধুমতি নদীর ভাঙনে ভিটে মাঁটি হারিয়েছে রিজিয়া। এখন মধুমতির চরে পাটকাঠি দিয়ে ঘেরা টিনের ছাপড়া ঘরে দরিদ্র সন্তানদের সঙ্গে থাকছেন। বৃহস্পতিবার রিজিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার বয়স্ক ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমারে ভাতা তাতা দিবি কিডারে মনা ? ভাতার কাট কত্তিতো চাইর হাজার টাহা লাগে, আমি টাহা কহানে পাব ? টাহা দিতি পারিনে, তাই ভাতা অয়না’। তবে কে টাকা চায় সেটা স্পষ্ট করে না বললেও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকেই দুষলেন তিনি। এই বৃদ্ধা আরও বলেন, ‘আল্লা কোনো রহম বাচায় রাহিছে, তাই বাইচে আছি, ঠান্ডায় মেলা কষ্ট অয়, ওষুধ নাই, ভালো কিছু খাইবের পারিনে’।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খান নজরুল ইসলাম বলেন, বয়ষ্ক ভাতা কার্ড করতে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয় না। তাহলে বৃদ্ধা রিজিয়ার কাছ থেকে কে টাকা চেয়েছে-সে প্রশ্নের জবাবে নীরব থাকেন এই জনপ্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ওহাব পান্নু মিয়া বলেন, আমার কাছে তার কোনো তালিকা আসে নাই। আসলে আমি তার ভাতার ব্য্পাারে সুপারিশ করবো।’
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার কুন্ডুু বলেন, ‘চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এ কার্ড গুলোর তালিকা করে থাকেন। তারা কেনও এত বয়স্ক একটি মানুষকে কার্ডের অন্তর্ভুক্ত করেনি তা খতিয়ে দেখতে হবে। পরবর্তীতে সুযোগ হলে বৃদ্ধাকে বয়স্ক ভাতা দেয়া হবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন