বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় অভিযুক্ত কমিটি দিয়ে চলছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের কাজ। ডাকযোগে ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে প্রকৃত চারশত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে কে বা কারা তিনটি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর । বাদীর উপস্থিতি ছাড়া উক্ত অভিযোগ গুলো আমলে এনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইউএনও অফিস সুত্রে জানা যায়, এস.এম মুজিবুর রহমান সভাপতি,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদস্য সচিব, ফরিদপুর জেলা ইউনিট কমান্ড সদস্য আবুল হোসেন ও আমিনুর রহমান ফরিদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়(মুবিম) প্রতিনিধি সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সেলের প্রতিনিধি সদস্য আবু হোসেন তালুকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল(জামুকা) প্রতিনিধি সদস্য মোঃ গোলাম সফি-কে আলফাডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি নিযুক্ত করা হয়েছে।
সারা দেশের ন্যায় আলফাডাঙ্গায় গত ২৮ জানুয়ারী শনিবার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। যাদের নাম শুধুমাত্র গেজেটে তালিকা ভুক্ত ও সাময়িক সনদ আছে এবং যারা নতুন তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে ও সরাসরি আবেদন করেছেন তাদেরকে বেশ কিছুদিন যাবৎ উপজেলা হল রুমে ৬টি ইউনিয়ন পর্যায় ক্রমে যাচাই বাছাই এর কাজ শেষ পর্যায়। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহলে শুরু হয়েছে লেনদেন সহ নানা বিধি দৌড় ঝাপ। যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রথমে ৭ জন থাকলেও পরে আরও একজনকে অন্তভুক্ত করেন জামুকা। যাচাই বাছাই কমিটির ৮জনের মধ্যে এস.এম আকরাম হোসেন, আবু হোসেন তালুকদার, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ গোলাম সফি সংশ্লিষ্ট উপজেলার চার জনের নামে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্তেও দেখা যায় ,যাদের নাম লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নাম মাত্র ভিত্তিহীন অভিযোগ আমলে এনে যাচাই-বাছাই এর অন্তভুক্ত করে একাধীক তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত নোর্টিশ এর মাধ্যমে ডেকে উপজেলা হলরুমে গণশুনানী করেছেন। যাচাই বাছাই কমিটি উক্ত গণশুনানী করেও ক্ষান্তহননী বরং একই অভিযোগের ভিত্তিতেই উক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের অনলাইনের আবেদন ফরম সহ তিনটি ফরম নতুন করে পূরণ করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে উপজেলার শতশত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বার বার হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা চত্ত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা উক্ত যাচাই বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে নানা বিধ অভিযোগ ও অনিয়মের কথা সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধের তোপের মুখে পরেন যাচাই বাছাই কমিটি। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এম জালাল উদ্দিন ,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুকিবুল হাসান পুটু মিয়া সহ কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি হিসাবে যাচাই বাছাই কমিটির সঙ্গে এক জররী সভায় মতবিনিময় করেন।
কমিটিতে অভিযুক্ত চার সদস্যকে দিয়ে চলছে যাচাই বাছাই এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম মজিবার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গণশুনানী দিয়ে অভিযোগকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কলক্ষমুক্ত করা হলো। অভিযুক্তদের বিষয় আমাকে সদস্য সচিব যাচাই বাছাই শুরু হওয়ার পরে জানিয়েছেন। আগে জানতে পারলে তাদের নিয়ে যাচাই বাছাই করতাম না। তবে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নোর্টিশ করে ডেকে এনে আনুষ্ঠানিক শোনানিতে সংঙ্কচ বোধ করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুকিবুল হাসান পুটু মিয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকে অযথা হয়রানী করছেন। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার শামিল। তিনি যাচাই বাছাই কমিটির প্রতি আহবান জানান যেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আর কোন হয়রানীর শিক্রা না হন।
সমাবেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন বালা সহ একাধীক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ এনেছে তারা কেউ হাজির নেই, এমনকি অভিযোগ কারিরা বিষয়টি জানেন না, কে বা কাহারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অভিযোগ দিয়েছেন তাদেরও কোন সন্ধান নেই। আমাদের নামের সাথে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির চার জনের নামে অভিযোগ থাকা সত্তেও তারা যাচাই-বাছাই কমিটিতে রয়েছে কিভাবে ? উক্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) রওশন আরা পলি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের যাচাই বাছাই করা হবে এবং কমিটিতে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত কারীদের বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইউএনও অফিস সুত্রে জানা যায়, এস.এম মুজিবুর রহমান সভাপতি,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদস্য সচিব, ফরিদপুর জেলা ইউনিট কমান্ড সদস্য আবুল হোসেন ও আমিনুর রহমান ফরিদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়(মুবিম) প্রতিনিধি সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সেলের প্রতিনিধি সদস্য আবু হোসেন তালুকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল(জামুকা) প্রতিনিধি সদস্য মোঃ গোলাম সফি-কে আলফাডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি নিযুক্ত করা হয়েছে।
সারা দেশের ন্যায় আলফাডাঙ্গায় গত ২৮ জানুয়ারী শনিবার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। যাদের নাম শুধুমাত্র গেজেটে তালিকা ভুক্ত ও সাময়িক সনদ আছে এবং যারা নতুন তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে ও সরাসরি আবেদন করেছেন তাদেরকে বেশ কিছুদিন যাবৎ উপজেলা হল রুমে ৬টি ইউনিয়ন পর্যায় ক্রমে যাচাই বাছাই এর কাজ শেষ পর্যায়। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহলে শুরু হয়েছে লেনদেন সহ নানা বিধি দৌড় ঝাপ। যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রথমে ৭ জন থাকলেও পরে আরও একজনকে অন্তভুক্ত করেন জামুকা। যাচাই বাছাই কমিটির ৮জনের মধ্যে এস.এম আকরাম হোসেন, আবু হোসেন তালুকদার, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ গোলাম সফি সংশ্লিষ্ট উপজেলার চার জনের নামে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্তেও দেখা যায় ,যাদের নাম লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নাম মাত্র ভিত্তিহীন অভিযোগ আমলে এনে যাচাই-বাছাই এর অন্তভুক্ত করে একাধীক তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত নোর্টিশ এর মাধ্যমে ডেকে উপজেলা হলরুমে গণশুনানী করেছেন। যাচাই বাছাই কমিটি উক্ত গণশুনানী করেও ক্ষান্তহননী বরং একই অভিযোগের ভিত্তিতেই উক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের অনলাইনের আবেদন ফরম সহ তিনটি ফরম নতুন করে পূরণ করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে উপজেলার শতশত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বার বার হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা চত্ত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা উক্ত যাচাই বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে নানা বিধ অভিযোগ ও অনিয়মের কথা সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধের তোপের মুখে পরেন যাচাই বাছাই কমিটি। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এম জালাল উদ্দিন ,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুকিবুল হাসান পুটু মিয়া সহ কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি হিসাবে যাচাই বাছাই কমিটির সঙ্গে এক জররী সভায় মতবিনিময় করেন।
কমিটিতে অভিযুক্ত চার সদস্যকে দিয়ে চলছে যাচাই বাছাই এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম মজিবার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গণশুনানী দিয়ে অভিযোগকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কলক্ষমুক্ত করা হলো। অভিযুক্তদের বিষয় আমাকে সদস্য সচিব যাচাই বাছাই শুরু হওয়ার পরে জানিয়েছেন। আগে জানতে পারলে তাদের নিয়ে যাচাই বাছাই করতাম না। তবে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নোর্টিশ করে ডেকে এনে আনুষ্ঠানিক শোনানিতে সংঙ্কচ বোধ করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুকিবুল হাসান পুটু মিয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকে অযথা হয়রানী করছেন। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার শামিল। তিনি যাচাই বাছাই কমিটির প্রতি আহবান জানান যেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আর কোন হয়রানীর শিক্রা না হন।
সমাবেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন বালা সহ একাধীক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ এনেছে তারা কেউ হাজির নেই, এমনকি অভিযোগ কারিরা বিষয়টি জানেন না, কে বা কাহারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অভিযোগ দিয়েছেন তাদেরও কোন সন্ধান নেই। আমাদের নামের সাথে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির চার জনের নামে অভিযোগ থাকা সত্তেও তারা যাচাই-বাছাই কমিটিতে রয়েছে কিভাবে ? উক্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) রওশন আরা পলি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের যাচাই বাছাই করা হবে এবং কমিটিতে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত কারীদের বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন