মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

গৃহবধূ নির্যাতন ! হাতের মেহেদীর রঙ মুছতে না মুছতেই লাশ হতে হলো শান্তকে

ইনসানা আক্তার শান্ত
প্রতিনিধি,আলফাডাঙ্গা  ঃ সবে মাত্র কলেজের প্রথম ধাপ পাড় করলো ইনসানা আক্তার শান্ত। কলেজ পড়–য়া শান্ত (১৯)  কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছে। মেহেদীর রঙ মুছতে না মুছতেই লাশ হতে হলো তাকে। নিষ্ঠুর স্বামীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার থেকে রেহাই পেলনা শান্ত। স্বামী জয়নুলের বহু বিবাহের কথা জানতে পেরে ও তার পিতা দাউদ খানের অবৈধ সর্ম্পকের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেষ পযর্ন্ত লম্পট শশুড়, শাশুড়ি ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিত ভাবে শান্তকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিল। আজ মঙ্গলবার (১৪-২-১৭) সন্ধায় শান্তর লাশ তার শশুড় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। নববধু শান্তর মৃত্যুর খবর শুনে তার পিতার বাড়ি বান্দু গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। কলেজের  সহপাটি ও আত্বীয় সজনদের কান্নায় বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শান্তর পিতা ওয়াদুদ মোল্লা সাংবাদিকদের দেখে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে ওরা মেরে ঘরের বারান্দায় সিলিং ফেনের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাস লাগাইয়া ঝুলাই রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নে জয়দেপুর গ্রামের লম্পট দাউদ খানের পুত্র জয়নুল খানের সাথে পারিবারিক ভাবে গত ৩১ জানুয়ারী ১৭ ইং তারিখে বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে বান্দু গ্রামের ওয়াদুদ মোল্যার মেয়ে শান্তর বিবাহ হয়। বিবাহের পর শান্ত জানতে পারে তার শশুড়ের তিন বিবাহ এবং স্বামী জয়নালের পঞ্চম বিবাহ নববধু সে। চাকুরির সুবাধে বিবাহের ২ দিন পর স্বামী শান্তকে জয়দেবপুর নিজ বাড়িতে রেখে চলে যান ঢাকায় কর্মস্থলে। জয়নুল বাড়িতে এলেও পিতার বাড়িতে মেলানী করা হলো না তার। বিবাহের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় স্বামীর বাড়িতে লাশ হতে হয় শান্তকে। অন্য দিকে শান্তর শশুর দাউদ খান বলেন, তার নবগৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য ফরিদপুরে প্ররণ করেছে ।
এ বিষয় শান্তর পিতা মো.ওয়াদুদ মোল্লা বাদী হয়ে মো. দাউদ খান (৫৫), পারভিন বেগম (৪০), জয়নুল খান (৩২), ফয়সাল খান (২৭) ও সিদ্দিকুর রহমান (৪০) এর নামে আলফাডাঙ্গা থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন।
চানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট আসলে হত্যা মামলা হলে হত্যা মামলা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন