শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫

ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে পদপ্রত্যাশী নেতাদের লবিং গ্রুপিং

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ দেশব্যাপী বিএনপি’র পূর্নগঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র নিয়ন্ত্রনাধীন ১৪টি ইউনিট কমিটি গঠনের হাওয়া লেগেছে উপজেলা গুলোতে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ শে সেপ্টেম্বর চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে জাকজমকপুর্ন সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি ঘোষনা করে।
ইতিমধ্যে ১৪ টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে ৯ ইউনিটের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
আগামী জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে সামনে রেখে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের মধ্যে চলছে লবিং গ্রুপিং।
ফরিদপুরে জেলায় বিএনপি’র গ্রুপিং দীর্ঘ দিনের। বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ আলাদা  আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করতেন ।
তারই ধারাবাহিকতা এখনো বিদ্যমান গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বর্তমান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা চোধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ এবং ওবায়েদ কন্যা শামা ওবায়েদ রিংকু ।
জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে সামনে রেখে পুরানো গ্রুপিং মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
তবে বিএনপি ভাবাপন্ন সুশীল সমাজ মনে সাবেক ছাত্রনেতা ও নবীন প্রবীনদের সমন্বয়ে যদি জেলা বিএনপি’র কমিটি গঠন করা হয় তাহলে ফরিদপুরে বিএনপি আবার  শক্তিশালী ঘাাঁটিতে পরিনত হবে।
দলের সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীরা তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রে।সম্মেলনের ঘোষনা আসার পর নড়ে চড়ে বসেছেন পদ-প্রত্যাশী নেতারা। ত্যাগী এবং বিগত আন্দোলনে রাজপথে ছিল এমন নেতাদের দিয়ে কমিটি চান তৃনমূল।
দলের বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন এবার সম্মেলনে মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে। যারা বিগত দিনে বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন কিন্তু বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কোন পদক্ষেপ নেননি তাদেরকে উপদেষ্ঠা পরিষদে রেখে কমিটি করার কথা বলেন।
জেলা বিএনপি’র বেশির ভাগ নেতারা ছিলেন নিস্ক্রিয়, নিস্ক্রিয় নেতাদের নতুন কমিটিতে না রাখার পক্ষেই মত কাউন্সিলরদের। ফলে নতুন কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রধান থাকবে এটা নিশ্চিত।
আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি শাহাজাদা মিয়া, বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক এড.মোদাররেস আলী ইছা, কেন্দ্রীয় যুবনেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু।
তবে ফরিদপুরে বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা জানান ফরিদপুর-১ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সাংসদ শাহ মোঃ আবু জাফরকে জেলা বিএনপির সভাপতি করা হলে ফরিদপুরে বিএনপি আরো বেশি শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত হবে।
সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া জানান, নেতা নির্বাচন করার সর্বসময় ক্ষমতা ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিটের কাউন্সিলরদে, আগামী ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র সম্মেলনে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে নেতা নির্বাচিত হবেন সেই আমাদের ফরিদপুর জেলা বিএনপিকে নেতৃত¦ দিবেন, তিনি আরো বলেন বিগত আন্দোলনে ফরিদপুরে আমি ৮৮দিন উপস্থিত থেকে আমি আন্দোলন সংগ্রাম করেছি অতএব আন্দোলন সংগ্রমে রাজপথে থাকেন তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
 
সাধারন সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলে বর্তমান জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, যুবদল সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, সাধারন সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া স্বপন ।
এ ব্যাপারে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়োর ঘোষনা অনুযায়ী দল পূর্নগঠন  কাজ চলছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক যদি দল পূর্নগঠনের কাজ সম্পান্ন হয়, তাহলে ফরিদপুরে বিএনপি শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত হবে। আর  কেন্দ্রীয় নির্দেশনা যদি অমান্য করা হয় বা কেন্দ্র  থেকে যদি নির্দেশ অমান্য করা হয় তাহলে দল বিগত দিনে চাইতে আরো দূর্বল হয়ে পড়বে। বিগত ৯ বছর যারা রাজপথে ছিল তাদের অগ্রাধিকার ভিক্তিতে এবং নবীন প্রবীনের সম্বনয়ে কমিটি গঠন করা হলে আগামী দিনে ফরিদপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলন বাস্তবায়ন  হবে।
সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক  এ কেএম কিবরিয়া স্বপন জানান, বিগতদিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিল এবং সাবেক ছাত্রনেতাদের যোগ্যতার ভিক্তিতে জেলা বিএনপি’র কমিটি গঠন করা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন