শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫

দোকান ঘর ভাড়া করে দখলের চেষ্টা ॥ থানায় অভিযোগ

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেইন গেটের উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন তিন রুম বিশিষ্ট টিনের একটি চারচালা দোকান ঘর  মালিকের নিকট থেকে ভাড়া নিয়ে ভাড়াটিয়া নিজেই মালিক সাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ ব্যাপারে ঘর মালিক তহমিনা বেগম বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।  
 থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেইন গেটের উত্তর পাশে একটি টিনের দোকান ঘর  এর মালিক তহমিনা বেগম(৪৫) এর নিকট থেকে ব্যবসা করার জন্য সুখ-সাথী প্যাথলজির মালিক মাগুরা গ্রামের মৃত নান্না মিয়ার পুত্র শাহিন মিয়া(৩৮), সাইকেল গ্যারেজ ব্যবসায়ী ছত্তরকান্দা গ্রামের হেমায়েত শিকদারের পুত্র জামাল শিকদার, মটর সাইকেল গ্যারেজ ব্যবসায়ী শ্রীরামপুর বাকা তালুকদারের পুত্র কিবরিয়া তালুকদার গত ১০/১২ বছর পূর্বে দোকান ঘর স্টামে লিখিত ডিড করে ভাড়া করেন।  ভাড়াটিয়াগণ গত ১-৫-২০১০ইং তারিখ পর্যন্ত ঘড় ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ করার পর থেকে বর্তমান অক্টোবর মাস ২০১৫ইং পর্যন্ত ঘর ভাড়া বন্ধ করে দেয়। মালিক বার বার ভাড়াটিয়াদের নিকট ঘড় ভাড়া চাইলে ভাড়াটিয়া কিবরিয়া বাদে বাকি দুই জন  বলেন ঘর ভাড়া আমরা দিব না কারণ এই ঘরের মালিক আমরা নিজেরাই। ঘর মালিক তহমিনা আলফাডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দিলে শাহিন ও জামাল ঘর বন্ধ করে পলাতক রয়েছে এবং অপর ভাড়াটিয়া কিবরিয়া আপোষ মিমাংশায় বর্তমানে ঘর ভাড়া পরিশোধ করছে। আলফাডাঙ্গা থানার এস আই মো. সাহেব আলী অভিযোগের সত্যতা শিকার করে সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয় তদন্ত চলছে, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ ব্যাপারে প্যাথলজি ব্যবসায়ী শাহিন মুঠোফোনে (০১৭২৬৯৩০০২৯) জানান, বর্তমানে এই ঘর মালিক আমি।

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর উদ্যাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালি

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গত ২৯ অক্টোবর বৃহঃবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর আয়োজনে ও ব্রাক ওয়াশ কর্মসূচী’র সহযোগিতায় “সকলের জন্য স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক উন্নত জীবন” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে  জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু করে সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আবুল খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল কুদ্দুস খান, ব্রাক ওয়াশ কর্মসূচী’র ম্যানেজার জুলেখা খাতুন, কর্মসূচী সংগঠক গোলাম আকবর ও মনিরুল আলম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম সহ উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি বৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ, উপজেলা সদর কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫

৬ দফা দাবিতে আলফাডাঙ্গায় বিসিএস সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ সারাদেশের ন্যায় অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে বৈষম্য নিরসন ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ১৬টি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

গত ২৮ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১২টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিসিএস সমন্বয় কমিটি(২৬ ক্যাডার), নন-ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এর ব্যানারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা  পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা বিসিএস সমন্বয় কমিটির (২৬ ক্যাডার, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস) সভাপতি উপজেলা কৃষি অফিসার আফতাব উদ্দীন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা মৎস্য অফিসার তপন মজুমদার এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন  বিসিএস সমন্বয় কমিটির (২৬ ক্যাডার, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস) উপদেষ্টা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ অফিসার ডাঃ কাইয়ুম তালুকদার, উপদেষ্টা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ এ কে এম আসজাদ, সহ-সভাপতি উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার রায়, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম এইচ কে এম রওনক আরা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার কাকতী দত্ত, কোষাধ্যক্ষ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান আকন, সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম প্রমূখ। এসময় উপজেলা পরিষদের ১৬টি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছেঃ-
১. টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল।
২. কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রাণালয় ঘোষনা অর্থাৎ স্ব স্ব ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ের সকল গ্রেডে স্ব স্ব ক্যাডার, নন ক্যাডার কর্মকর্তার পদায়ন।
৩. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্তৃত্ব বাতিল করে উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বাড়ানো ও বেতন ভাতাদি বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল।
৪.আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসন।
৫. নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বর্হিভূত সকল ধরনের প্রেষন বাতিল।
৬. সকল ক্যাডার ও ফাংশনাল সাবির্সে পদোন্নতি সমান সুযোগ।

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় ব্যাংকের চেক প্রতারণা করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ




আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর)ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারী সংস্থা জনসেবা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও জনসেবা সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর পরিচালক আলীমুজ্জামান আলীম নিজ নামের একাউন্ট ব্যাংকের চেক প্রতারণা করে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করে ভূক্তভোগী আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের এক ব্যবসায়ী আবু নাছির মিয়া। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলাধীন বানা ইউনিয়নের কটুরকান্দী গ্রামের অলিয়ার রহমান মিয়ার পুত্র আবু নাছির মিয়ার নিকট হইতে জনসেবা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও জনসেবা সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর পরিচালক পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা শেখর ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের মসলেম উদ্দীন ওরফে টেপু মোল্যার পুত্র মোঃ আলিমুজ্জামান আলীম জরুরী টাকার প্রয়োজনে
গত ১৫/১২/২০১৩ইং তারিখে নাছিরের নিকট হইতে নগদ ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকা ধার নেয়। উক্ত টাকা পরিশোধের নিমিত্তে  আলীম সোনালী ব্যাংক, বোয়ালমারী শাখার হিসাব নং ৩৪০৪০৬০৭ এর চেক নং ৮৩০২৬৬০ তে ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকার চেক স্বাক্ষর  করে নাছিরকে প্রদান করে। আলীমের একাউন্টে টাকা না থাকায় গত ১৮/১২/২০১৩ইং তারিখে ব্যাংক চেকটি ডিজানার করে। নাছির ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে ঝ/ঈ ৩০৮/১৫ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা হতে অবৈধ ভাবে মুক্তি পাওয়ার জন্য আলীম নিজ নামের ব্যাংক একাউন্টের কয়েকটি চেক আবু নাছের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে মামলা বাদী আবু নাছির মিয়াকে ফাসানোর চেষ্টা করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনের তিনি অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে আলীমকে মুঠো ফোনে (০১৮৬১৩০৩৩৭৩) বারবার চেষ্টা করে পাওয়া যায় নাই।
উল্লেখ্য, আলিম এবং তার স্ত্রী উক্ত সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোছাঃ শিউলী আক্তার আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, কাশিয়ানী উপজেলায় শাখা অফিস খুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।








শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫

ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে পদপ্রত্যাশী নেতাদের লবিং গ্রুপিং

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ দেশব্যাপী বিএনপি’র পূর্নগঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র নিয়ন্ত্রনাধীন ১৪টি ইউনিট কমিটি গঠনের হাওয়া লেগেছে উপজেলা গুলোতে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ শে সেপ্টেম্বর চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে জাকজমকপুর্ন সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি ঘোষনা করে।
ইতিমধ্যে ১৪ টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে ৯ ইউনিটের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
আগামী জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে সামনে রেখে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের মধ্যে চলছে লবিং গ্রুপিং।
ফরিদপুরে জেলায় বিএনপি’র গ্রুপিং দীর্ঘ দিনের। বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ আলাদা  আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করতেন ।
তারই ধারাবাহিকতা এখনো বিদ্যমান গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বর্তমান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা চোধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ এবং ওবায়েদ কন্যা শামা ওবায়েদ রিংকু ।
জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে সামনে রেখে পুরানো গ্রুপিং মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
তবে বিএনপি ভাবাপন্ন সুশীল সমাজ মনে সাবেক ছাত্রনেতা ও নবীন প্রবীনদের সমন্বয়ে যদি জেলা বিএনপি’র কমিটি গঠন করা হয় তাহলে ফরিদপুরে বিএনপি আবার  শক্তিশালী ঘাাঁটিতে পরিনত হবে।
দলের সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীরা তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রে।সম্মেলনের ঘোষনা আসার পর নড়ে চড়ে বসেছেন পদ-প্রত্যাশী নেতারা। ত্যাগী এবং বিগত আন্দোলনে রাজপথে ছিল এমন নেতাদের দিয়ে কমিটি চান তৃনমূল।
দলের বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন এবার সম্মেলনে মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে। যারা বিগত দিনে বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন কিন্তু বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কোন পদক্ষেপ নেননি তাদেরকে উপদেষ্ঠা পরিষদে রেখে কমিটি করার কথা বলেন।
জেলা বিএনপি’র বেশির ভাগ নেতারা ছিলেন নিস্ক্রিয়, নিস্ক্রিয় নেতাদের নতুন কমিটিতে না রাখার পক্ষেই মত কাউন্সিলরদের। ফলে নতুন কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রধান থাকবে এটা নিশ্চিত।
আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি শাহাজাদা মিয়া, বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক এড.মোদাররেস আলী ইছা, কেন্দ্রীয় যুবনেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু।
তবে ফরিদপুরে বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা জানান ফরিদপুর-১ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সাংসদ শাহ মোঃ আবু জাফরকে জেলা বিএনপির সভাপতি করা হলে ফরিদপুরে বিএনপি আরো বেশি শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত হবে।
সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া জানান, নেতা নির্বাচন করার সর্বসময় ক্ষমতা ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিটের কাউন্সিলরদে, আগামী ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র সম্মেলনে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে নেতা নির্বাচিত হবেন সেই আমাদের ফরিদপুর জেলা বিএনপিকে নেতৃত¦ দিবেন, তিনি আরো বলেন বিগত আন্দোলনে ফরিদপুরে আমি ৮৮দিন উপস্থিত থেকে আমি আন্দোলন সংগ্রাম করেছি অতএব আন্দোলন সংগ্রমে রাজপথে থাকেন তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
 
সাধারন সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলে বর্তমান জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, যুবদল সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, সাধারন সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া স্বপন ।
এ ব্যাপারে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়োর ঘোষনা অনুযায়ী দল পূর্নগঠন  কাজ চলছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক যদি দল পূর্নগঠনের কাজ সম্পান্ন হয়, তাহলে ফরিদপুরে বিএনপি শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত হবে। আর  কেন্দ্রীয় নির্দেশনা যদি অমান্য করা হয় বা কেন্দ্র  থেকে যদি নির্দেশ অমান্য করা হয় তাহলে দল বিগত দিনে চাইতে আরো দূর্বল হয়ে পড়বে। বিগত ৯ বছর যারা রাজপথে ছিল তাদের অগ্রাধিকার ভিক্তিতে এবং নবীন প্রবীনের সম্বনয়ে কমিটি গঠন করা হলে আগামী দিনে ফরিদপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলন বাস্তবায়ন  হবে।
সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক  এ কেএম কিবরিয়া স্বপন জানান, বিগতদিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিল এবং সাবেক ছাত্রনেতাদের যোগ্যতার ভিক্তিতে জেলা বিএনপি’র কমিটি গঠন করা উচিত।

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

বক্তব্য রাখছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান মিজানুর রহমান মিজান
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় গত ২১ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম তৌকির আহমেদ ডালিম এর পরিচালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাসার মিয়া, উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি মো. আবু বক্কার সিদ্দিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সাইফার, উপজেলা আ’লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক হিটান্ত কুমার ঘোষ হিটলার, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম রানা ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা মো. শাহিদুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান ও রাফিজুল ইসলাম রনি । এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবু হোসেন তালুকদার, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক স ম হেমায়েত আরিফ কলিন্স, সরকারি শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোমিনুর রহমান সবুজ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. রাজিউর রহমান রাজিব সহ আলপাডাঙ্গা উপজেলা, ইউপি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।

মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ১৬টি দপ্তরের মানববন্ধন

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ সারাদেশের ন্যায় বেতন-ভাতা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর প্রদানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ও অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসন ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাসহ ছয় দফা দাবিতে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ১৬টি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

উপজেলা বিসিএস সমন্বয় কমিটির (২৬ ক্যাডার, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস) সভাপতি উপজেলা কৃষি অফিসার আফতাব উদ্দীন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা মৎস্য অফিসার তপন মজুমদার এর পরিচালনায় গত ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বিসিএস সমন্বয় কমিটি(২৬ ক্যাডার), নন-ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এর ব্যানারে মৌন মিছিলটি  আলফাডাঙ্গা উপজেলা  পরিষদ থেকে শুরু করে সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা  পরিষদ চত্ত্বরে  এসে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন  বিসিএস সমন্বয় কমিটির (২৬ ক্যাডার, নন ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস) উপদেষ্টা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ অফিসার ডাঃ কাইয়ুম তালুকদার, উপদেষ্টা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ এ কে এম আসজাদ, সহ-সভাপতি উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার রায়, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম এইচ কে এম রওনক আরা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার কাকতী দত্ত, কোষাধ্যক্ষ উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান আকন, সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগমসহ উপজেলা পরিষদের ১৬টি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল, নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে বেতন বাতিল, পেশাভিত্তিক মন্ত্রাণালয় প্রতিষ্ঠা, পদন্নোতির ক্ষেত্রে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসন এবং উপজেলা থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের একই পদমর্যদা প্রদান।

সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় শেখ রাসেল এর ৫১তম জন্মদিন পালন

স্টাফ রিপোর্টারঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫১তম জন্মদিন পালন করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ।
গত ১৮ অক্টোবর রবিবার সন্ধায় উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কটেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম তৌকির আহমেদ ডালিম এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল বাসার মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সাইফার, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খান নওশের আলী, বুড়াইচ ইউপি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, ছাত্রনেতা মো. শাহিদুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ওলামা লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসানের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ১ম বর্ষের মেধাবী ছাত্র মেহেদী হাসানের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাসির দাবিতে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক বৃন্দের ব্যনারে  বিক্ষোভ মিছিল ও  ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
 
গত শনিবার ১৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় মেহেদীর রূহের মাগফেরাত কামনা করে কলেজে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে দোয়া শেষে কলেজ থেকে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাসির দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলার সদর বাজার চৌরাস্তায়  ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় কালের ছবি বন্ধু সংসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও  অরাজনৈতিক সংগঠন মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
 
উক্ত মানববন্ধনে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এস এম আকরামুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ মো. মনিরুল হক সিকদার, প্রভাষক প্রবীর কুমার, প্রভাষক মো. মাহিদুল হক,   উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম(সাংবাদিক) সহ কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক বৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, রাজনীতিবীদ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেক্ষ্য, গত ৯ অক্টোবর শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে মেহেদীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত মেহেদী হোসেন(১৫) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পিংগলিয়া গ্রামের মহসিন মোল্যার ছেলে।

শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৫

অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের আলেম ওলামা ও সাধারন মানুষকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে-----সাবকে এমপি শাহ মো. আবু জাফর



আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) ঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,ফরিদপুরÑ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্বা শাহ মোঃ আবু জাফর বলেন, অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের আলেম ওলামা ও সাধারন মানুষকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সম্মেলনে নতুন নেত্রীত্বে যারা আসবে তাদের প্রথম কাজ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার সদরে আঃ ওহাব মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন মাঠে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, দশেে জঙ্গীবাদরে কোন অস্তত্বি নইে। অনর্বিাচতি,অবধৈ হাসনিা সরকার কাল্পনকি জঙ্গীবাদরে জগিরি তুলে দশেরে ইসলামী শক্তকিে ধ্বংসরে পায়তারা করছ।ে বি এন পরি বরিুদ্ধে ভূয়া জঙ্গী আতাতরে অপ প্রচার চালয়িে বশ্বি দরবারে দলটরি ভাবর্মূতী নষ্টরে অপচষ্টো চালাচ্ছ।ে এই কাল্পনকি জঙ্গীবাদরে ভূতই এক সময় বাস্তবে শখে হাসনিার জীবনে কাল হয়ে দারাব।ে
উপজেলা বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সহÑসম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাঃ সম্পাদক এ্যাডঃ মোদাররেস আলী ইছা,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রশিদুল ইসলাম লিটন,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক  সম্পাদক  নুর জামাল খরসুর পরিচালনায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা শেখ আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি মোঃ রওশন আলম, সাঃ সম্পাদক মিয়া মোঃ আকরামুজ্জামান,নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আব্দুল মান্নান,যুবদল সভাপতি মোঃ মুনিরুজ্জামান মনির,ছাত্রদল সভাপতি ফারুক হোসেন কাজল ও সাঃ সম্পাদক হেমায়েত হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ গোলাম মহিউদ্দিন।

বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান


আলফাডাঙ্গা সংবাদদাতা ঃ গত ১৪ অক্টোবর বুধবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একটি স্কুলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি,ফরিদপুর -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য,আমিন জুয়েলার্স এর স্বত্তাধীকারী,শিক্ষা অনুরাগী,দানবীর গনমানুষের নেতা আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম । এর আগে তিনি আলফাডাঙ্গা স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.শেখ কুবাদ হোসেন,ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাহিদুজ্জামান, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আকরামুজ্জামান রুকু মৃধা,আলফাডাঙ্গা বাজার বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. নজীর মিয়া,টগরবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন,সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান,আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ নুর ইসলাম,উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক শেখ নুরুজ্জামান নুর মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা মো. বদিয়ার রহমান,সাংবাদিক ,শিক্ষক বৃন্দ।

ভাঙ্গায় ৮৫ মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব



সংবাদদাতা, ভাঙ্গা ঃ
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার দিন ঘনিয়ে আসায় প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় শেষ হয়ে আসছে। অধিকাংশ পূজাম-পে চলছে এখন প্রতিমা সাজসজ্জার পালা।
ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সনাতন ধর্ম অধ্যুষিত এলাকায় এখন সাজসাজ রব।
এবার এ উপজেলায় পৌরসদরসহ ১২টি ইউনিয়নে ব্যক্তিগত ও সর্বজনীন মিলিয়ে মোট ৮৫টি মন্দিরসমূহে দুর্গোৎসব পালিত হবে।
ম-পসমূহে নির্বিঘেœ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন স্ব-স্ব মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েক দফা বৈঠক সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া কঠোর নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী মন্দির প্রাঙ্গণে পূজার সার্বিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ভাঙ্গায় চাদা না দেওয়ায় শিক্ষককে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ



সংবাদদাতা, ভাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের উচাবাড়ী গ্রামে এক শিক্ষক চাদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার গভীর রাতে শিক্ষক জগন্নাথ পালকে লক্ষ্য করে পর পর ২ রাউন্ড গুলি ছুরে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে লক্ষ্যবেধ না হওয়ায় প্রানে রক্ষা পায় সে।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, কাজী শামচুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক তার গ্রামের বাড়ীতে একটি ভবন নির্মান করার সময় চাদাবাজরা চাদা দাবি করে।
জগন্নাথ পাল জানায়, চাদার টাকা পরিশোধ না করায় ঘটনার রাতে দরজার ফাক দিয়ে গুলি করে চাদাবাজরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৌমেন মিত্র বলেন, আতংক ছড়াতেই দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। দ্রুত এসব দুর্বৃত্তদের আটক করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

বাজল তোমার আলোর বেনু...



বিপ্লব কুমার দাস (শাওন) ঃ
চলছে শরৎ প্রহর। পঞ্জিকার হিসাবে প্রায় অন্তিমে এই শরৎ শোভা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ছোটনদীতে লিখেছিলেন, দুইধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা সেই কাশবন আর পাগলকরা জোৎ¯œা আজ আমাদের ব্যস্তজীবনে তেমন ছন্দ আর সুর তোলেনা।
এই নগর জীবনের মনজগতে হয়ত তা অপ্রকাশিতই থেকে যায়। তাই বলে কি আমরা প্রাকৃতিক শোভাকে অবহেলা করতে পারি? না কক্ষোনোই না। আমাদের রক্তে আর ঐতিহ্যে মিশে আছে প্রকৃতি বন্ধনা।
প্রকৃতি আমাদের বিনোদনের জন্য নিজেকে বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন সাজে হাজির হয়। বর্ষায় যেমন বাঁধভাঙ্গা জলে আমাদের ফসলি মাঠ ঘরবাড়ি সব উড়িয়ে ডুবিয়ে নিতে চায় তেমনি শরৎ এসে আমাদের সে হতাশা কে কাটিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখায়।
মধ্যযুগের কবিরা তাই গেয়েছেন ‘এ ভরা ভাদরও মাহে ভাদর শূন্য মন্দির মম’। শরৎকালের প্রথম মাসই তো হচ্ছে এই ভাদর বা ভাদ্র। আজকে আমরা আমাদের পাঠকদের কে শরতশোভায় অবগাহন করাতে চায়।

আলফাডাঙ্গা দুর্যোগ নিয়ন্ত্রন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ আয়োজিত দুর্যোগ নিয়ন্ত্রন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে যোগীবরাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেজয়ান আলী,২য় স্থান অধিকার করে জয়দেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সৃজন পাল এবং ৩য় স্থান অধিকার করে আলফাডাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সৌমিত্র কুণ্ডু।
ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছেন- -----Reba Afrin
যোগীবরাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় জমে উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন




আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি ঃ দির্ঘদিন যাবত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় শিক্ষক সমিতির কোন নির্বাচন না হওয়ায় নির্বাচনী মাঠ একেবারেই ঠান্ডা হয়ে গেছে। নির্বাচনী মাঠ সরগরম করতে আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আসন্ন হয়ায় নির্বাচনী মাঠ আবার উত্তাপ্ত হতে শুরু করেছে। এ নির্বাচন ও জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের ন্যায় সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে। যদিও আম জনতা এ নির্বাচনে তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারেনা তবু ও প্রতিটি গ্রাম-মহল্লার ছাত্র-অভিভাবক গন তাদের কাঙ্খিত শিক্ষককে বিজয়ী দেখতে চান। ফলে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লা,হাট-বাজার,চৌরাস্তা মোড় এমনকি চায়ের দোকানে জমে  উঠেছে আলোচনার ঝড়। আগামী ১৬ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন-২০১৫ ইং কে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা এখন তুঙ্গে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই প্যানেলে ৩৫ জন করে প্রার্থী ৩৫ টি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবে। প্যানেল-১এ রয়েছেন শিহাব-টিটো এবং প্যানেল-২এ রয়েছেন আজিজ-সিফয়েত। শিহাব-টিটো নতুন মূখ হওয়ায় সমিতির সদস্যরা  তাদের প্যানেলকে বিজয়ী করবেন বলে আশাবাদী।এ দিকে আজিজ-সিফায়েত দির্ঘদিন সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার সেবা দিয়ে আসছেন এতে জয়ের ব্যাপরে তারা ও শতভাগ আশাবাদি। তবে কোন প্যানেলকে মননিত করবেন ৩১২জন ভোটার সে জন্য আরো ২দিন অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবেন মধুখালী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

বোয়ালমারীতে আগুনে পুড়ে শত বছরের বৃদ্ধার মুত্যু



বোয়ালমারী  প্রতিনিধি ঃ উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের আতিয়ার মোল্লা ও আবু শামের বাড়িতে সোমবার (১২.১০.১৫) সন্ধ্যা সাতটায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে আতিয়ার মোল্লার শাশুড়ি মাজু বেগম (১০৬) মারা গেছে। খবর পেয়ে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। ফায়ার সার্ভিস সুত্র জানায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। দুটি টিনের ঘর, পাট, স্বর্ণালংকার, মুল্যবান আসবাবপত্র এবং নগদ টাকা পুড়ে যায়।

বোয়ালমারীতে ট্রাক চাপায় স্কুল শিক্ষক আহত প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ




বোয়ালমারী  প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর শহরের হক মার্কেটের সামনে গত মঙ্গলবার (১৩.১০.১৫) নিউ মডেল প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক গৌতম কুমার সাহা (৩৭) ট্রাক চাপায় গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ট্রাক (যশোর-ট ১১-২৮০৩) ও ট্রাকের  চালক মিনারুলকে (৩০) আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত গৌতমকে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চালকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা  বোয়ালমারী কামারগ্রাম সড়ক অবরোধ করে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আমিনুল হক বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।

বোয়ালমারীতে কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার



বোয়ালমারী প্রতিনিধি ঃ গত মঙ্গলবার (১৩.১০.১৫) উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর গ্রামের পাশের কুমার নদ থেকে কলেজ ছাত্র আমির খানের (২৩) লাশ থেকে উদ্ধার করেছে জয়নগর ফাঁড়ির পুলিশ। সে চতর গ্রামের আজিজার রহমানের একমাত্র ছেলে এবং মধুখালী আব্দুর রহমান টেকনিক্যাল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় কে বা কারা আমিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সে বাড়ি না ফেরায় রাতভর তাকে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে আমিরের চাচাত ভাই রোকন কুমার নদে তাকে মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখে সবাইকে খবর দেয়। খবর পেয়ে জয়নগর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আজাদ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

বোয়ালমারীতে আন্তজার্তিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন



বোয়ালমারী প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের আয়োজনে গত মঙ্গলবার (১৩.১০.১৫) আন্তজার্তিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে র‌্যালি আলোচনা সভা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও মু. খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন।

ছিদ্দীক সভাপতি- সিরাজ সম্পাদক, বোয়ালমারী বি এন পি'র সম্মেলন সম্প~ন্ন©




‪‎বোয়ালমারী উপজেলা বি এন পির দ্বি-বার্ষীক সম্মেলন আজ ১৩ অক্টোবর শান্তি পূর্ণ ভাবে সম্প~ন্ন© হয়েছে। সম্মেলন শেষে কাউন্সিলর দের ভোটে সভাপতি পদে আলহাজ ছিদ্দীকুর রহমান,সাধারন সম্পাদক পদে এডঃ সিরাজুল ইসলাম পূনঃনির্বাচিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নতুন মূখ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান বাবু। সভাপতি পদে ছিদ্দীকুর রহমান-৩৪ ভোট,প্রতিদন্দ্বী খঃরফিকুল ইসলাম কামাল-২১ ভোট, সাধারন সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম-৩৬ ভোট,প্রতিদন্দ্বী মোজাফফর হোসেন চুন্নু-১৯ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মজিবর রহমান বাবু-৩৩ ভোট,প্রতিদন্দ্বী ডাবলু ১৯ কামাল - ভোট প্রাপ্ত হন বলে জানা গেছে|

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

সালথায় জবেদ-রুকু হত্যার আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে



বিপ্লব কুমার দাস(শাওন)ঃ- ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের জবেদ শেখ ও রুকু শেখ হত্যা মামলার বেশীর ভাগ আসামীরাই রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফলে মামলার বাদীকে প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে প্রাননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। মামলার আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া দুটি পরিবারের স্বজনদের হুমকি-ধামকি দেবার পাশাপাশি গ্রাম ছাড়া করার কথাও বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জবেদ আলী শেখ ও রুকু শেখের পরিবার দুটি তাদের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব হবার পথে। বর্তমানে দুটি পরিবারের মাঝে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। একদিকে হত্যাকারীদের নানা হুমকি-ধামকিতে নিরাপত্তাহীণতায় ভোগা এবং অন্যদিকে সংসার চালানো নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে দুটি পরিবারের স্বজনদের। ৭ সন্তান নিয়ে একেবারেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে জবেদ শেখ ও রুকু শেখের স্ত্রী’রা। আত্বীয়-স্বজনদের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে কোন রকমে চলছে তাদের সংসার। খেয়ে না খেয়ে মানবেতরভাবে জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে তারা। জবেদ শেখ ও রুকু শেখের স্ত্রী-সন্তানেরা এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার দাবীর পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার দাবী করেছেন প্রশাসনের কাছে। নির্মম-নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতার দাবীতে স্থানীয়রা সোচ্চার হলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে কথা বলতে চাননি।
সরেজমিন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বাউসখালী গ্রামের আবেদ শেখ, জবেদ শেখ গংদের সাথে একই গ্রামের আতিয়ার ফকিরগংদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫ মার্চ সকালে জবেদ আলী শেখ বাউসখালী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আতিয়ার ফকির, বাচ্চু ফকির, জামাল শেখের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তারা জবেদ আলীকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে। জবেদ আলীর চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রুকু শেক, ওহাব শেখ আইয়ুব, স্রাটসহ কয়েকজন তাদের উপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে মারাত্বক ভাবে আহত হয় ঠেকাতে আসা লোকজন। সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্বক ভাবে আহতদের পাশ্ববর্তী মুকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে মারা যায় জবেদ আলী শেখ। মারাত্বক আহত রুকু শেখকে মুকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় রুকু শেখ।
দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়। জবেদ আলী শেখ হত্যা মামলায় তার ভাই আবেদ শেখ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের নামে একটি মামলা করে। মামলার আসামীরা হলেন- মোঃ আতিয়ার ফকির, মোঃ জামাল শেখ, বাচ্চু ফকির, মোঃ চাঁন মিয়া, মোঃ তারা মিয়া, রাজিব শেখ, মোঃ সজীব শেখ, মোঃ জলিল শেখ, খলিল শেখ, নাজমুল শেখ, মোঃ ইমামুল শেখ, টুকু শেখ, জুয়েল ফকির, মোঃ হারুন খা, মোঃ বিপুল ফকির, শফিকুর রহমান মিলন, শাহজাহান মোল্যা ওরফে শাহান। নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেছেন, দুটি হত্যা মামলার বেশীর ভাগ আসামীরাই বর্তমানে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
তাদের অভিযোগ, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা স্থানীয় ভাবে বেশ ক্ষমতাশালী। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও তাদের ধরতে পুলিশের অনিহা রয়েছে। নিহত জবেদ আলী শেখের ভাই আবেদ আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার সামনেই সন্ত্রাসীরা আমার আপন ভাই জবেদ আলী ও চাচাতো ভাই রুকু শেখকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করে। পরে তারা দুজনেই মারা যায়। আমাকেসহ আরো কয়েকজনকেও তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ভাগ্য ভালা থাকায় এবং স্থানীয় বেশকিছু লোক ঘটনাস্থলে চলে আসায় আমরা প্রানে বেঁচে যাই।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আসামীরা দিনের বেলা প্রকাশ্যে দুজনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেও এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। আমি মামলার বাদী হওয়ায় আমাকেও যে কোন সময় হত্যা করা হতে পারে। একাধিকবার আমাকে হত্যা করতে হুমকি দেয়া হয়েছে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। মামলা না তুললে আমাদের গ্রাম থেকেও উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি আমার দু ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। বর্তমানে আমার পরিবারসহ আমার চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের লোকজন চরম আতংকিত অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছি। একেকটি দিন যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার পাবোনা।
জবেদ শেখের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, তার স্বামীর আয় দিয়েই সংসার চলতো তাদের। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সংসার চালাতে গিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাততে হচ্ছে। চারটি মেয়ে নিয়ে তিনি এখন মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছেন। তাছাড়া অব্যাহত হুমকির কারনে তিনি চার মেয়েকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
নিহত রুকু শেখের স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রকাশ্যে যারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করলো, আমার তিন সন্তানকে যারা এতিম করলো তাদের বিচার কি কোনদিন হবেনা? যারা হত্যার সাথে জড়িত তারাই এখন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। নানাভাবে হুমকি দেয়। আমাদের গ্রাম ছাড়া করার কথা বলে, এদেশে কি আইন নেই। আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই আমি।
ফেরদৌসি আক্তার বলেন, ছোট তিনটি ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। স্বামীর আয় দিয়েই চলতো গোটা পরিবার। স্বামী না থাকায় পুরো পরিবারটি এখন পথে বসার জোগার হয়েছে।নিহত জবেদ শেখের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘বাবারে আমার অনেক বয়স হইছে, আমি অহনো বাইচ্চা আছি। কিন্তু আমার পোলাডারে হেরা মাইরা হালাইলো। অহন আমাগো মাইরা হালানের কথা কয়। আমার পোলারে যারা মারছে, তাগো বিচার চাই আমি। আমি আমার পোলার খুনিগো ফাঁসি দেইখ্যা মরবার চাই’।
বাউসখালী বাজারের থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে হত্যাকান্ডের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা প্রথমে কেউই কথা বলতে চাননি। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাদের চোখে মুখে অজানা আতংকের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দু একজনকে রাজী করানো গেলেও তারা বলেছেন, প্রভাবশালী একটি পরিবারের লোক এ হত্যাকান্ডের মামলার আসামী হওয়ায় এ নিয়ে কথা বলে তাদের শক্রু হতে চাইনা। তবে তারা একবাক্যেই বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চান তারা। বাজার থেকে কিছুটা দুরে ইশারায় সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে যান জনৈক ব্যক্তি।
তিনি নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ বাজারে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে আসামী পক্ষেরও দু’একজন রয়েছে। যার কারনে তাদের উপস্থিতিতে কেউ হত্যাকান্ডের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখানে কোন সাংবাদিক আসতে সাহস পায়নি। প্রভাবশালী মহলটির ছত্রছায়ায় বেশকিছু ব্যক্তি পালাক্রমে বাজারে পাহাড়া দেয়। মূলত তাদের ভয়েই কেউ উচ্যবাচ্য করতে সাহস পায়না।

চাকুরী জাতীয় করনের দাবীতে আলফাডাঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মানববন্ধন




আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) ঃ স্বাস্থ্য বিভাগের কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ট্রাস্ট আইনের ২২ এর “খ” ধারা বাতিল করে উক্ত পদের চাকুরী জাতীয় করনের দাবীতে গত সোমবার ১২ অক্টোবর আলফাডাঙ্গা উপজেলা সি এইচ সি পি’র উদ্যেগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্া্ররে সামনে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন উপজেলার ১৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সি.এইচ.সি.পি সানজিদা খান, ফরিদা খানম, কল্যানী রানী সেন, মল্লিকা দাস, রহিমা বেগম, মানব কুমার বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বাগচী, মিলন শেখ, জালাল উদ্দিন, আমেনা বেগম, বিপুল প্রমূখ।

রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫

বোয়ালমারীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত



বোয়ালমারী প্রতিনিধি ঃ ‘কন্যা শিশুর নিরাপদ পরিবেশ সমৃদ্ধ করবে আগামীর বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে রোববার (১১.১০.১৫) উপজেলা পরিষদ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইউএনও মু. খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, সহকারী কমিশনার ভূমি শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইলা রানী কুন্ডু, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন, গুরু শীর্ষের লড়াই

সংবাদদাতা, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি’র সম্মলেনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠছে নেতার্কমীরা। কমিটি গঠনকে সামনে রেখে নেতার্কমীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। কমিটিতে পদ পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে লবিং চালাচ্ছেন ও উপজেলার ছয় ইউনিয়নের কর্মীদের খোজ খবর  নিচ্ছেন।

 জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন আগামী ১৬ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সম্মেলনে সম্ভব্য প্রার্থী হলেন, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মিয়া মো. আকরামুজ্জামান (সভাপতি প্রার্থী), সাবেক ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বার বার কারা বরণকারী নির্যাতিত নেতা মো. নূর জামাল খসরু (সভাপতি প্রার্থী), নব্বই সালের এরশাদ বিরোধী সৈরশাসক আন্দলনকারী উপজেলা সম্বন্বয় কমিটির যুগ্ন আহবায়ক, সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, সেচ্ছাসেবক ও কৃষক দলের সভাপতি, বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত উপজেলা বিএনপির সাবেক  সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান আলফাডাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঃ মান্নান মিয়া আব্বাস (সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী), বর্তমান আলফাডাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি উপজেলা বিএনপির অন্যতম উপদেষ্টা আঃ ছালাম শেখ (সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী), বর্তমান উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম(সাংগঠনিক প্রার্থী) । সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।


বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

যুদ্ধাপরাধী সাকা ও মুজাহিদের মৃত্যুদন্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে আলফাডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ





আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর)ঃ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী(সাকা) ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আমীর আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এর মৃত্যুদন্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার আয়োজনে গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যলায় সামনে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সুধী জন সমাবেশে উপস্থিত হয়। পরে উপজেলা চত্তর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সদর বাজার চৌরাস্তায় শেষ করে। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার জালাল উদ্দিন,আবু বকর সিদ্দিক,অলিয়ার রহমান,মো. সিদ্দিক মোল্যা প্রমূখ।

বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় নারীর অধিকার বাস্তবায়ন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কর্মশালা

মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পল্লি উন্নয়ন একতা সংস্থার আয়োজনে আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ কামারগ্রাম মিলনায়তনে  গত ৭ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০টায় বন ও পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, জেন্ডার বৈষম্য, নারীর অধিকার বাস্তবায়ন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ শীর্ষক একদিনের কর্মশালা আনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায়  অংশগ্রহণ করেন উক্ত কলেজের প্রভাষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও  ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে বিস্তারিত আলোচনা করেন পল্লি উন্নয়ন একতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. হাসমত আলী কাজল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম, উক্ত কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম লিটন,  উপজেলা আ’লীগ নেতা আলাউদ্দিন, গোপালপুর ইউনিয়ন ওলামালীগের সভাপতি মো. আলী মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা এস এম রাজিউর রহমান (রাজিব), মো. হাসেম মোল্যা, সাংবাদিক মো. আবুল বাশার ও মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম প্রমূখ।

মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫

বিলুপ্তির পথে ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক খেলা এখন বিলুপ্তির পথে। কাবাডি, গাদি, বৌচি,ডাংগুলি, লাঠি খেলা সহ হাজারো রকমের খেলা যা একদিন গ্রামবাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে অক্সিজেন যোগাত তা এখন হারিয়ে গেছে। আধুনিক ক্রীড়ার কাছে এরা অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছে। তাই ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলির কদরও কমে গেছে। এখন আর কোন উৎসবে মাইক বাজিয়ে প্রচার করা হয়না ভাইসব আগামীকাল স্থানীয় স্কুল মাঠে বিরাট এক হা ডু ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। খেলায় অংশ গ্রহণকারী দুটি দূর্ধষ দল উত্তরপাড়া বনাম দক্ষিন পাড়া। বিজয়ীদেরকে দেড়মণ ওজনের এক পেল্লাই খাসি পুরস্কার দেওয়া হবে। সে সব খেলার স্থলে এখন সেখানে পশ্চিমাদের খেলাগুলির মাতুব্বরি চোখ ঝলসে যাচ্ছে। এসব খেলাধুলার নামে পেশি শক্তির প্রদর্শনী চলছে। আমাদের আগামী প্রজন্ম একধরননের হিংসার যোগান পাচ্ছেন এসব খেলা থেকে। আবার চোখ ধাঁধাঁনো ক্রীড়ানৌপূন্যের চেয়ে অর্থ আয়ের টনিক হিসাবে কাজ করছে এসব খেলাধুলা । নির্লোভ আনন্দের ধারা এখন সব খেলা থেকে উধাও। আর একারণে নির্মল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্রীড়ামোদী মানুষেরা।ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দিয়ে এলাকাবাসীর গর্ব ছিল।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এবারেও সেই নির্মল আনন্দ থেকে এলাকাবাসীকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

কেন হয়েছে সরেজমিনে সেটাই আমাদের পাঠকদের জানাচ্ছেন ফরিদপুর থেকে বিপ্লব কুমার দাস (শাওন)--ফরিদপুরের ভাঙ্গা কুমার নদে ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ সত্যিই আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে।

ভাঙ্গা উপজেলার কুমার নদের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ এবছরও হলোনা। তবে ২সপ্তাহ আগে থেকেই নদের দুপাড়ে মেলা বসেছে। বাইচ হবেনা জেনে মেলায় আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়েছেন। তিনশ বছরের ঐতিহ্য মোতাবেক গত ১৮ সেপ্টেম্বর নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বকর্মা পুজা উপলক্ষ্যে দক্ষিণ বঙ্গের ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ভাঙ্গা কুমার নদে ঐতিহ্যগত ভাবেই আয়োজন করা হয়। তবে এবারে ষাড়ে ষাড়ে লড়াইয়ের কারণে তার আয়োজন হয়ে যায় বলে জানা গেছে। বর্তমান এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ও সাবেক এমপি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে বাইচের কর্তৃত্ব নিয়ে এই দ্বন্দের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

আর একারণকে সামনে রেখে সাম্ভব্য দুর্ঘটনা এড়াতে এবছর বাইচ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে করুপ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নাম না প্রকাশের শর্তে আয়োজকদের একজন জানালেন কি ভাবে হবে এক বনে তো আর দুইবাঘ বাস করতে পারেনা। আর করলেও তাদের হুংকারে অনান্য প্রাণীর জীবন সংশয় হতে পারে। তাই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কতৃপক্ষ ভাবছেন, যেহেতু মাথাব্যথা- সেহেতু মাথাটাই কেটে ফেলা যাক।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি জানালেন, শুনেছি বহু বছরের পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতি বছরই এখানে হয়ে আসছে। কিন্তু এবছর সময় স্বল্পতার কারণে তার আয়োজন করা যায়নি।
বাইচ বন্ধ সর্ম্পকে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের সমন্বয় হীনতার করানে এবছর নৌকা বাইচ হলোনা, এটা স্পষ্ট।

অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি সাবেক কমিশনার জগদীষ চন্দ্র মালো জানান, অনেক আগে থেকে দেখে আসছি উপজেলা প্রশাসন অথবা ভাঙ্গা বাজার বনিক সমিতি, নৌকা বাইচ কমিটি দায়িত্ব নিয়ে বাইচটি আয়োজন করে থাকে। এবারেও বাইচটি হবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে আমরা তাকিয়ে ছিলাম।

তার অভিযোগ,উপজেলা চেয়ারম্যান অনেক পরে মিটিং আহ্বান করে মূলত বাইচটি যাতে না হয় সেদিকটাই নিশ্চিত করেছেন। এত স্বল্প সময়ের কারণে কেউই দায়িত্ব নিতে চাননি। তবে এমন হবে আগে থেকে জানানো হলে বা জানা গেলে, সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বাইচের আয়োজন করত।

তিনি আরো বলেন, গত বছর নৌকা বাইচের দিন জামাতের আমির নিজামির যুদ্ধাপরাধীরর বিচারের রায় হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারীর কারনে বাইচটি হতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, আমার বয়স ৬৫ বছর আমার বাবা এবং দাদার আমলের আগে থেকে ৩/৪শ বছর যাবৎ বাইচ হয়ে আসছে।

 দু বছর যাবৎ বাইচ না হওয়ায় এলাকাবাসী প্রচ-ভাবে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।


নামেই শুধু স্টেডিয়াম

বিপ্লব কুমার দাস (শাওন)ঃ ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় নামমাত্র একটি স্টেডিয়াম রয়েছে। স্টেডিয়ামের যে অবকাঠামো থাকার কথা তার কোনটিই এখানে নেই। ছোট্র একটি মাঠ থাকলেও সেটি খেলাধুলার করারও অনুপযোগী। দু’দিকে সীমানা প্রাচীর থাকলে বাকি দু’দিকে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। স্টেডিয়ামটিতে বসার কোন গ্যালারী নেই। দিনের বেশীর ভাগ সময় এবং সন্ধ্যার পর মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল হিসাবে ব্যবহƒত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলার কারনে স্থানীয়দের মাঝে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে ব্যবস্থা নেবার কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। ফলে এলাকার বেশ কয়েকজন উদ্যোগী ব্যক্তি হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, এরশাদের আমলে উপজেলা গঠিত হলে সদরপুর বাজারের কাছে ৫০ শতাংশ জমি রাখা হয স্টেডিয়ামটির নামে। দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামের মাঠটির বেশীর ভাগ দখলে রেখে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। তাছাড়া সপ্তাহের বাজার বসতো এখানে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করা হতো এ মাঠে। স্টেডিয়ামটির বড় একটি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল মাইক্রো ও ভ্যান স্ট্যান্ড। দিনের পর দিন বেশীর ভাগ জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় মাঠটি রক্ষার জন্য কয়েকজন ক্রিড়ামোদী ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। তারা বিভিন্ন সময় মাঠটি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহন করেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের অসহযোগীতার কারনে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। গত বছর দুয়েক আগে মাঠটি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মাঠের দু পাশে সীমানা প্রাচীর করে দেয়া হয়।

কিন্তু অপর দুপাশে ফাঁকা থাকায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বেশকিছু অংশ জায়গা এখনও দখল করে রেখেছে। এ মাঠে কোন খেলাধূলা না হওয়ায় এককথায় মাঠটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি নামে স্টেডিয়াম হলেও আসলে এটিকে খেলার মাঠ বলাই ভালো। স্টেডিয়াম করতে হলে অনেক বড় জায়গার দরকার হয়। কিন্তু এখানে খেলার মতো কোন জায়গা নেই। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি খেলার মতো জায়গা নেই এখানে। এ মাঠে শুধুমাত্র কাবাডি কিংবা ব্যাডমিন্টন খেলা হতে পারে। তাছাড়া খেলা দেখার জন্য বসার কোন ব্যবস্থা নেই। মাঠটির তিন পাশে সরকারী রাস্তা থাকায় কালভদ্রে কোন খেলা হলে সেখানে দাঁড়িয়েই খেলা দেখতে হয়।
স্টেডিয়ামটির চারপাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিদিনই পসড়া সাজিয়ে বসেন। তাছাড়া স্টেডিয়ামটির প্রধান ফটকের সামনে রিকশা-ভ্যান রাখা হয়। স্টেডিয়ামটির বেদখলকৃত জায়গা উদ্ধার করে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ছোট আকারে গ্যালারী তৈরী করার দাবী সদরপুরবাসীর।

গ্রাম ডাঃ মোঃ নওয়াব আলী এর দুই কবিতা

‘নৌকা বাইচ’

বিশ্বকর্মা পূজা যখন হয় বিশ্বজুরে,
নৌকা বাইচের কথা তখন সবার মণে পড়ে।
আমাদের নৌকা বাইচ হয় ভাঙ্গায় কুমার গাঙে,
কী মনোহর মেলা বসে ভাঙ্গায় নানান রঙে-ঢঙে।
কুমার গাঙের কিনার ঘেষে বসে ভাঙ্গার হাট,
বিশ্বকর্মা পূজা এলে মিলে বাইচের মেলা বিরাট।
মাটির তৈরি যত হাড়ি-পাতিল,
কাঠের ফার্নিচার আর শোলার গাঙচিল।
মাটির তৈরি গরু,ঘোড়া,মহিষ, বাঁশি পুতুল,
আরো থাকে শিশুদের অতিপ্রিয় কাগজের ফুল।
চারিদিকে বাজে ঢোল তাক ঢুমা ঢুম-ঢুম,
মেলায় আসলে মণে পড়ে যায় কেনাকাটার ধুম।
জিলাপি,রসগোল্লা চমচম,দানাদার-
সেরা মিষ্টি ল্যাঞ্চা - দানাদার।।  

‘বাবাকে  হারাই’ 

মৃত্যু শয্যায় শুয়ে বাবায়
ভাবছেন আগুপিছু,
লাভ কি হলো আসা -যাওয়ায়
জীবনটাই মিছু ।

বাবা আমায় বললেন ডেকে
“শুনো নওয়াব মিয়া,
আমি যাচ্ছি জগৎ থেকে
চির বিদায় নিয়া ”।

আমি বলি একি কথা!
মনে লাগে ভয় ,
বুকে জাগে দারুন ব্যথা
না জানি কি হয়।

হঠাৎ করে চক্ষু তার
বন্ধ হয়ে যায়,
পলকেতে হয় ভবপার
মরি হায়রে হায়।

এমন ভাবে বলে -কয়ে
বিদায় নিবেন বাবা
আমি বড় সন্তান হয়ে
পারিনি তা ভাবা ।

সত্যি, বাবা গেলেন চলে
আর না এলেন ফিরে ,
পাব কি তারে জলে স্থলে
দেশ-বিদেশে ঘুরে।

বিপ্লব কুমার দাস (শাওন) এর কবিতা “ কুরবানি”

কুরবানিটা করতে হবে যতো লাগুক টাকা,
মানুষ তাকে বাহ বাহ দিবে ঈমানটা তার ফাকা।
   
পশু জবাই নয়তো এটা অশুভকে কুরবান,
সত্য পথে চলতে হবে দিতে হবে জবান।

রক্ত-মাংস নেন না খোদা দেখেন অন্তর-বিশ্বাস,
এ কথাটা মনে রেখ থাকতে দেহে-প্রশ্বাস। 

সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৫

বোয়ালমারীতে সুশীল সমাজের সাথে ইউএনওর মতবিনিময়


বোয়ালমারী প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সদ্য যোগ দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. খায়রুজ্জামান গত ৫ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। উপজেল পরিষদ হলরুমে ইউএনও মু.খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তি গাজী সামচুজ্জামান খোকন, ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা ও সাংবাদিক মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী।

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

আলফাডাঙ্গায় সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবক আহত

সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত মো. সোহেল মিয়া
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় য় উপজেলাধীন বাকাইল গ্রামের মো. দরবেশ মিয়ার পুত্র মো. সোহেল মিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সোহেল রাত ৮ টায় আলফাডাঙ্গা বাজার হতে বাকাইল গ্রামে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে  উপজেলাধীন শ্রীরামপুর গ্রামের জনৈক মতি মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা রামদা, ছেনদা, লোহার রড, বাশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সোহেল মিয়াকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সোহেল হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি আলফাডাঙ্গা বাজার হতে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে শ্রীরামপুর মতি মিয়ার বাড়ির সামনে পৌছামাত্র সন্ত্রাসী ইমরান তালুকদার, এনামুল তালুকদার, মুন্না সহ অজ্ঞতনামা আরো ৩/৪ জন রামদা, ছেনদা, লোহার রড, বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে আমাকে মারপিট শুরুতর আহত করে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় বলে তুই এ ব্যাপারে মুখ খুললে তোকে পরে খুন করে ফেলবো। এ বিষয়ে সোহেল বাদী হয়ে শ্রীরামপুর গ্রামের মো. বাগাইনে তালুকদারের পুত্র ইমরান তালুকদার, জঙ্গু তালুকদারের পুত্র এনামুল তালুকদার, বাকাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মুন্না সহ অজ্ঞতনামা আরো ৩/৪ এর বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং-১০তাং-৩০/

আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন

মোঃ আঃ রউফ তালুকদার, যুগ্ন-আহবায়ক হেমায়েত এম আরিফ  এবং মোঃ আলমগীর কবির
স্টাফি রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব ভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধায় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোরাদ হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে  ক্লাবের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে। পরে ক্লাবের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি এবং উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এসএম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আঃ রউফ তালুকদার, যুগ্ন-আহবায়ক হেমায়েত এম আরিফ  এবং মোঃ আলমগীর কবির। উল্লেখ্য, এ কমিটি আগামী ৩মাসের মধ্যে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্লাবের (সাবেক) সাঃ সম্পাদক প্রবীর কুমার বিশ্বাস। এ সময় প্রেসক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।