মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদরে অবস্থিত নাজমা মেডিকেয়ারে চিকিৎসকের অবহেলা এবং
ভুল চিকিৎসায় আমেনা বেগম (৬০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
রোগীর ছেলে জুয়েল শেখ তার মায়ের তিনটি রোগের সংবাদ শুনে কোনো উপায় না দেখে সব দায়িত্ব ডাক্তারের ওপর ছেড়ে দেন। পরে ডাক্তার প্রথমে ওই রোগীর জরায়ু অপারেশন করেন। ক্লিনিকে ছয় দিন ভর্তি থাকার পর ২৬ জুন রবিবার রোগীকে রিলিজ দেয়া হয়। পরে রোগীর কোনো শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় ২২ জুলাই শুক্রবার আবার ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরে একই ডাক্তার ‘দায়সারা’ চিকিৎসা করেন বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। পরে রোগীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় ২৭ জুলাই বুধবার প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে পরে ঢাকা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোগীর কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় আমেনা বেগমকে। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় বোয়ালমারী উপজেলায় দেউলি গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
রোগীর ছেলে জুয়েল মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, নাজমা মেডিকেয়ারের ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় আমার মাকে বাঁচানো গেল না।
জুয়েল জানান, জরায়ু অপারেশন করতে গিয়ে মলদ্বারের নাড়ি কেটে ফেলায় তার মা মারা গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘আলফাডাঙ্গা নাজমা মেডিকেয়ারসহ একাধিক ক্লিনিকে গত এক মাসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।’ চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের এভাবে আরও কত প্রাণ ঝরবে সে প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
নাজমা মেডিকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশীদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিল না। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানাতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ফয়জুল করিমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন