মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬

গাছ খেঁকো সার্ভেয়ার আইয়ুব হোসেনের ঘুষ বানিজ্যের মূখ খুলতে শুরু করছে ভুক্ত-ভুগী সাধারন মানুষ

দ্বির্তীয় পর্ব
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ- হাজারো অভিযোগে অভিযুক্ত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সহকারী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. আইয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের মূখ খুলছে ভুক্ত-ভুগী নিরিহ সাধারন মানুষ। অসহয় সাধারন মানুষ যখন জমি জমার সমস্যায় পড়ে তখন ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. আইযুব এর নিকট। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জমির সিমানা নির্ধরন করার জন্য সার্ভেয়ারকে দার্য়িত্ব দেন। সার্ভের সুযোগ পেয়ে সাধারন মানুষের নিকট দর কষাকষি করে তার পক্ষে রায় দেন। জমির দো-সিমানায় থাকা গাছ টাকা নিয়ে তা পাইয়ে দেন। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক মহিলা এই প্রতিবেদকে জানান, কোর্ট থেকে ১৪৪ জারি মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে আট হাজার টাকা নেন কিন্তু পরে দেখলাম সার্ভেয়ার আমার বিপক্ষে প্রতিবেদন রির্পোট দিয়েছে। আলফাডাঙ্গা গ্রামের দলিল লেখক ও সাংবাদিক মো. বাশারুল বারী প্রতিবেদককে জানান, আমার একটি দাখিলা ঠিক করার জন্য আমার নিকট পাচঁ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় আমার কাজটি করে দেন নাই। আমার জানা মতে সার্ভেয়ার টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেননা। তিনি আরও বলেন, আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন তসিলদার আবুল বাসারের  পর্চা ও সাক্ষর জাল করার সঙ্গে সার্ভের জড়িত ছিল। অন্য দিকে সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে উপজেলা ব্যাপি রয়েছে গাছ চুরি করার অনেক কু-কর্ম। এমনই এক কু-কর্মের অডিও বার্তা পাওয়া গেলে গত সংখ্যায় তা প্রতিবেদন আকারে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর সার্ভেয়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক নসিমন চালককে ভয় ভিতি দিচ্ছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার মো. আইয়ুব হোসেন মুঠো ফোনে (০১৭২২৪২০৪৯৯) বলেন, একটি প্রতিবেদনে কখনও এত টাকা নেওয়া হয়না আর উক্ত মহিলার নিকট হতে এত টাকা নেই নাই। তিনি গালি গালাশ করে আরও বলেন ঔ বিয়াদোপ বাশারকে আমার সামনে নিয়ে আছেন। আমি ওকে দেখে নিব। আপনারা লিখে যা করতে পারেন করেন! আগামী পর্বে দেখুন আরও নতুন খবর।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন