শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬

ঢাকা বিভাগীয় ইনোভেশন সার্কেলে প্রথম আলফাডাঙ্গার ইউএনও মোহাম্মদ আবুল খায়ের

ইউএনও মোহাম্মদ আবুল খায়ের
আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ-ঢাকা বিভাগীয় ইনোভেশন সার্কেলের আওতায় সেরা উদ্ভাবনী পাইলট উদ্যোগ বিভাগে প্রথম হয়েছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল খায়ের। ঢাকার ছয়টি জেলার মধ্যে তিনি সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।শনিবার সকালে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় ইনোভেশন সার্কেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেরা উদ্ভাবনী বিভাগে সেরাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে দ্বিতীয় হয়েছেন রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আশরাফ হোসেন এবং তৃতীয় হয়েছেন শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী। গত মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। তৃণমূল পর্যায়ে সব ধরনের সেবা কম সময়ে এবং কম অর্থ ব্যয়ে জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এই উদ্যোগের নাম ইনোভেশন সার্কেল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির সহায়তায় সার্কেলটি আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয়া ছয় জেলা হলো- ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ।  ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, মন্ত্রিপরিষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান। এছাড়া আরও ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মফিজুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির। সভায় মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রাশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল, রাজবাড়ী জেলার প্রশাসক জিনাত আরা, মাদারীপুর জেলার প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, শরীয়তপুর জেলার প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ ছয়টি জেলার অন্তত শতজন কর্মকর্তা অংশ নেন।

আলফাডাঙ্গায় কৃষকলীগের বর্ধিত সভা

আলফাডাঙ্গা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. কবিরুল আলম মাও।
আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর)ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষকলীগের আয়োজনে গত শনিবার(৩০-০৪-১৬) সকাল ১১টায়  কৃষকলীগের অস্থায়ী কার্য্যালয়ে এক   বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক মো. সোলায়মান আহমদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. কবিরুল আলম মাও। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ মিয়া ও সহ-সভাপতি এ্যাডঃ কাউছার শরীফ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হেসেন। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মো. নজীর মিয়া ও মো. মকলেসুর মিয়া, বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক আকরামুজ্জামান রুকু মৃধা, উপজেলা কৃষকলীগের নেতা ফজলুর রহমান বাবু, মো. নাছির উদ্দিন, এস এম আসাদুজ্জামান, আবু বক্কার সিদ্দিক, মো. আসাদ মিয়া, মো. নাছির মিয়া, শাহাদত হোসেন বালা ও আজিজুর রহমান দোলাল প্রমূখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ। সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মতে আগামী ১৩ মে আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

বোয়ালমারীতে আধিপত্যকে বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১০


স্টাফ রিপোর্টার:  ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইদ্রিস মোল্যা আর কাওসার মোল্যা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এসময় নারীসহ প্রায় ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকালে বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে উভয় গ্রুপের কয়েকজন কথাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে কালা  ও কলম নামে দুজন আহত হয়। কলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়া হলেও কালাকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার জের ধরে বিকাল ৫টায় মাগুরা মধ্যপারা কবরস্থানের পাশে উভয় পক্ষ রাম দা, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উভয় গ্রুপের প্রায় ৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে কাওসার গ্রুপের ইয়াকুব আলী (২৫), আবু আলী (২৮), ইদ্রীস গ্রুপের এনায়েত (৪০)গুরুতর আহন হন।তাদেরকে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।  এছাড়া শরীফুল ইসলাম (২৩), মর্জিনা বেগম (৫০) ও ফজলু বিশ্বাস (৬০)আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করেছে। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬

আলফাডাঙ্গায় কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার  ৮০ জন কৃষকদের মাঝে উফসী ও নেরিকা ধান বীজ এবং ধৈঞ্চা সবুজ সার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ  সোমবার (২৫-০৪-১৬) সকাল ১১ টায়  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ হলরুমে খরিপ-১/২০১৬ মৌসুমে উফশী আউশ ধান উৎপাদন এবং মাটির স্বাস্থ সুরক্ষায় ধৈঞ্চা চাষের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদনা কর্মসূচির অধীনে তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ও প্রাম্ভিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম¥দ আবুল খায়ের এর সভাপতিত্বে ও  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব উদ্দীন মাহমুদ এর পরিচালনায় বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. নূরুল  হক।

এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন মজুমদার, ইউপি চেয়ারম্যান মুঞ্জুরুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬

মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে আরজেএফ’র শোক

রুর‌্যাল জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ)’র শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি এড. মাসুদুর রহমানের মাতা (অবঃ) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মমতাজ বেগম (৮৫) বুধবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মাদারীপুরস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মমতাজ বেগমের স্বামী মরহুম আঃ ছামাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ)’র চেয়ারম্যান এস.এম জহিরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নূর মোহাম্মদ কোতোয়াল, আরজেএফ’র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আল-আমিন শাওন এলএলবি, সাংগঠনিক সম্পাদক সেকেন্দার আলমসহ সকল সাংগঠনিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

আলফাডাঙ্গায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম:  ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়  ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০১৬ উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮-০৪-১৬) সকাল ৯টায় উপজেলা মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল বাশার মিয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব উদ্দীন মাহমুদ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক টিটো। অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন মজুমদার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এম এইচ এ কে এম রওনক আরা বেগম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলম, আলফাডাঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, উপজেলা আ’লীগের মহিলা সম্পাদিকা রোজীসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলফাডাঙ্গায় মাদক সম্রাট হাসু গ্রেফতার

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়  মাদক সম্রাট হাসু শেখকে গ্রেফতার  করে কোর্টে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

আজ  সোমবার (১৮-০৪-১৬) সকাল ১০টায় হাসুকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্ত্বিতে রবিবার রাতে এস আই খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স মাদক সম্রাট হাসুকে ১৫ পিচ ইয়াবাসহ উপজেলার বারুইপাড়া নিজ বাড়ি থেকে আটক করে সোমবার সকালে ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী ২০০৪ এর ১৯(১) এর ৯ এর “ক” ধারায় কোর্টে প্রেরণ করা হয়। হাসু গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খারাট গ্রামের মো. জয়নাল শেখ এর পুত্র।

এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, আলফাডাঙ্গাকে মাদক মুক্ত করতে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত থাকবে।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

আলফাডাঙ্গায় শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট বাণিজ্য!

মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চাহাঠী কঠুরাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নির্বিঘ্নে চলছে প্রাইভেট বাণিজ্য। সরকার প্রাইভেট বাণিজ্যের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করলেও তা মানছেন না ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ইলিয়াস উদ্দিনসহ অন্যরা। 
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে প্রাইভেট বাণিজ্যের কারণে তাদের সন্তানরা লেখাপড়ায় মনযোগী হচ্ছে না। তারা প্রাইভেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এতে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে। 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হেলেঞ্চাহাঠী কঠুরাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন ইলিয়াস উদ্দিন। এসময় এ প্রতিবেদককে দেখে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেন। শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টো ওই প্রতিবেদককে দেখে নেয়ার হুমকি দেন ইলিয়াস উদ্দিন। তিনি এও বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভয় পাই না। পারলে কিছু কইরেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিয়াস উদ্দিন গণিতের সিনিয়র শিক্ষক। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রতি ঘন্টায় দুই ব্যাচে ৫০-৬০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী পড়ান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রাইভেট পড়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্য করেন ইলিয়াস স্যার! অন্যথায় পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখান। তাই বাধ্য হয়ে স্যারের কাছে পড়তে হয় তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, ইলিয়াস স্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়লে বকা-ঝকা করেন, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখান। ওনার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের পরীক্ষার হলে উত্তর বলে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস উদ্দিন জানান, সরকার কী নিয়ম করেছে তা আমি জানি না। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে আমি শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াই।’
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে প্রাইভেট বাণিজ্যের কারণে তাদের সন্তানরা লেখাপড়ায় মনযোগী হচ্ছে না। তারা প্রাইভেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এতে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু তাদের সন্তানদের কিছু করার নেই। কারণ ওই স্যারের কাছে না পড়লে পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখানো হয়। তাই ইলিয়াস স্যারের কাছে সন্তানদের পড়াতে বাধ্য হন অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হেলেঞ্চাহাঠী কুঠরাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রসুল বলেন, ‘শিক্ষকরা সরকারি প্রাইভেট বাণিজ্যের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রাইভেট পড়ায়। নিয়মের বাইরে প্রাইভেট পড়ায় কি না তা আমার জানা নেই।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাফুজা বেগম বলেন, ‘প্রাইভেট বাণিজ্যের ওপর সরকারের বিধি নিষেধ রয়েছে। সরকারি বিধি অমান্য করে কেউ স্কুলের আসবাবপত্র, রুম ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রাইভেট বাণিজ্য করলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬

কাশিয়ানিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকনকে সরে যেতে হুমকি

গোপালগঞ্জ: প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হুমকির মুখে নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারছেন না গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ৫ নং কাশিয়ানি ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মশিউর রহমান খানের নেতাকর্মীরা খোকনের সমর্থক, কর্মীদের হত্যার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে খোকনের নেতাকর্মীদের।

শুধু ৫ নং কাশিয়ানি ইউনিয়ন পরিষদই নয় উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনকেও লিখিত জানিয়েছেন একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে এখনও নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। আগামী ২৩ এপ্রিল কাশিয়ানি উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট হবে।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘কাশিয়ানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। ওসির সঙ্গেও কথা বলেছি। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মশিউর রহমান খানের নেতাকর্মীরা মোহাম্মদ আলী খোকনের ওপর হামলা করে। কাশিয়ানির খায়ের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীরা বহিরাগত। খোকনের সমর্থকরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ বলছেন, ৫ নং কাশিয়ানি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান খান এলাকার জনগণের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা কম। তাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলেও নির্বাচনী মাঠে তিনি খুব বেশি সুবিধা করতে পারবেন না। অপর দিকে দলের মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী খোকন ইউনিয়নবাসীর অনুরোধে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি গত ১৪ বছর ধরে ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও নিরপেক্ষ ভোট হলে জয় পাল্লা তার দিকেই ঝুঁকবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, খোকনের জয় নিশ্চিত জেনে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মশিউর রহমান খান। তার আত্মীয়-স্বজন, বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে খোকনের নির্বাচনী কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। খোকনের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে গেলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়ার অভিযোগ আছে। ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করে নেয়ার কথাও প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মশিউর রহমানের অনুগামী, অনুসারীরা। রাতে খোকনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হঠাৎ তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগও আছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খল বাহিনীর বিরুদ্ধে।

যদিও কাশিয়ানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ এবং গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার তাকে ফোন করে যে সতর্ক করেছেন, তা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে ঘটনাস্থল দেখে যান। আপনারা তদন্ত করেন।’

জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এসএম ইমরান হোসেন কে বলেন, ‘কাশিয়ানির ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবো।’

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাশিয়ানি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান খানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে একটি খুদে বার্তা পাঠালেও জবাব মেলেনি।

জানতে চাইলে কাশিয়ানি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারণ আমার ইউনিয়নবাসীর অনুরোধেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। তাদের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচিত হবো। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার ও আমার নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে তা বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় আছি।’


সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

ভাঙ্গায় অপহরনের ৬ মাসেও খোঁজ মেলেনি কলমের

অশোক সাহা (শ্যাম)ঃ-অপহরনের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রামের ভুসিমাল ব্যবসায়ী কলম মাতুব্বরের (২৩)। ছেলেকে হারিয়ে একেবারেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাবা জালাল মাতুব্বর ও মা জাহানারা বেগম। এখনও তারা ছেলের ফিরে আসার পথপানে বসে আছেন। অপহরনের এ ঘটনায় একটি মামলা হলেও পুলিশ রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী কলম মাতুব্বর বাড়ী থেকে বের হয়ে কিছুদুর যাবার পর অপহরনের শিকার হয়। কয়েকজন দুবৃর্ত্ত তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে কলমের আর কোন খোঁজ পায়নি তার পরিবারের স্বজনেরা। এ ঘটনার পর ৪জনকে আসামী করে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ বেশকিছু দিন পর অভিযুক্তদের আটক করলেও ‘রহস্যজনক’ কারনে তারা সকলেই ছাড়া পেয়ে যায়। আসামীরা এখন কলমের পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলমের বাবা জালাল মাতুব্বর জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছেলের খোঁজ না পেয়ে তারা মানবেতর ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। আসামীরা একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছে। ছেলেকে উদ্ধারের বিষয়ে একাধিক বার থানায় গেলেও পুলিশ কোন সহযোগীতা করছেন না। ছেলেকে হারিয়ে কলমের মা জাহানারা বেগম এখন পাগল প্রায়। ছেলের ফিরে আসার পথপানে তিনি এখনো বসে আছেন। কাউকে দেখলেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন। তোমরা আমার ছেলেডারে আইন্যা দ্যাও। লাশ না দ্যাও, হাড়গোড় দ্যাও। আমি হেইগুলাই নিয়াই কবর দিমু।
অপহরন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আসামীদের বিভিন্ন সময় আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা জামিনে আছে। অপহরনের সাথে প্রকৃত পক্ষে যারা জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।


ভাঙ্গা থানা অনলাইন প্রেসক্লাব এর দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

ভাঙ্গা প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন অনলাইন প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অনলাইন প্রেসক্লাব ভাঙ্গা থানা কমিটি (২০১৬-১৭) গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন (বিওজেএ) ভাঙ্গা থানা শাখা কমিটির সভাপতি মনিরুল হক মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কমিটি ঘোষনা করা হয়। ভাংগা থানা শাখার নতুন কমিটি ঘোষনা করেন বেলাল  চৌধুরী, সভাপতি, অনলাইন প্রেস ক্লাব, ফরিদপুর জেলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবিদুর রহমান নিপু, সাধারণ সম্পাদক, অনলাইন প্রেসক্লাব, ফরিদপুর জেলা শাখা ও সম্পাদক অপেন আই টোয়েন্টি ফোর ডট কম, রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, অনলাইন প্রেসক্লাব, ফরিদপুর জেলা শাখা, নিউজ এজেন্সি, ফরিদপুর বু্যূরো প্রধান, মো: আনিচুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অনলাইন প্রেসক্লাব, ফরিদপুর জেলা শাখা ।
সকলের সর্বসম্মতিতে এ কমিটি ঘোষনা করা হয়। অনলাইন প্রেস ক্লাব ভাঙ্গা থানা শাখার ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটিতে রয়েছেন মো: নাসিরউদ্দিন খান লিওন, সভাপতি, আওলাদ হোসেন মুন্সি, সহ-সভাপতি, মো: তাইবুর রশীদ, সহ-সভাপতি, জহির শেখ, সহ-সভাপতি, মো: সালমান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক, মো: খালেদুর রহমান, সহ-সাধারন সম্পাদক, বিপ্লব কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক, রুহি মালাকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, এ্যাড: আব্দুল হান্নান মিলন, আইন বিষয়ক সম্পাদক, অশোক সাহা শ্যাম, দপ্তর সম্পাদক, মো: ফকরুল ইসলাম, আইটি সম্পাদক, সাঈদ মোল্লা, সহ-আইটি সম্পাদক, বিটু মুন্সি, ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, পারুলী আক্তার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক, মো: গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাস, সদস্য-১, রফিকুল ইসলাম, সদস্য-২, মো: শাহিন মাতুব্বর, সদস্য-৩, সৈয়দ মাহফুজুল হক নবাবজাদা, সদস্য-৪, দিলীপ দাস, সদস্য-৫।
উল্লেখ্য এ আলোচনা সভায় অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন (বিওজেএ) ভাঙ্গা থানা শাখা কমিটি ও এডহক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা এবং নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।




জমে উঠেছে শৌলপাড়া ইউনিয়ন নির্বাচন জনপ্রিয়তায় এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভাষানী

মোঃ ইমরান খান,শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ-তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা শৌলপাড়া ইউনিয়ন। বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) রয়েছে একাধিক প্রার্থী। নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীর চেয়েও এগিয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ভাষানী। তিনি দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। ইউনিয়নের ভোটারদের আশা যৌগ্য, সৎ এবং ভালো লোকদেরকে ভোট দিয়ে শৌলপাড়া ইউনিয়নের অভিভাবক হিসেবে বেছে নিবেন তারা। শৌলপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোঃ ভাষানী খান আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মাহবুবুর রহমান রাজ্জাক  নৌকা, মোঃ ফজলুল হক (ঘোড়া), ইয়াসিন হাওলাদার (মটরসাইকেল) ও বিএনপির মোহাম্মদ আলী মাদবর (ধানের শীষ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে প্রচার-প্রচারণা ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন আনারস মার্কার প্রার্থী মোঃ ভাসানী। চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ভাষানী বলেন, শরীয়তপুর জেলার মধ্যে শৌলপাড়া একটি অনুন্নত ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের মূল সমস্যা বিদ্যু। এই বিদ্যুৎ না থাকায় শৌলপাড়া ইউনিয়ন অবহেলিত রয়ে গেছে। বিদ্যুতের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় বিঘœ ঘটছে। সড়কগুলোর বেহাল দশার কারণে যানবাহন যাতায়াতের ঠিক মতো চলাচল করতে পারছেনা। ইউনিয়নে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। আমাকে যদি ইউনিয়নবাসী আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দেন এবং এই ইউনিয়নের কাজ করার সুযোগ করে দেন তাহলে আমি এ সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬

সাবেক এমপি তোফাজ্জল হোসেন মুকুল মিয়ার মাগফেরাত কামনায় আলফাডাঙ্গায় দোয়া

ফাইল ছবি
মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল মিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
আজ শুক্রবার (৮-৪-১৬) উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগের মহিলা সম্পাদিকা সৈয়দা নাজনীন এর উদ্দ্যেগে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে জুম্মা বাদ এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মুকুল মিয়া টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা-মধুখালী-বোয়ালমারী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমানের শ্বশুর।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

জাতীয়করণ হলো আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমঃ  ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত একটি ফাইলে সই করেছেন। যার স্মারক নং- (৩৭০০৯.০১৮.০৮.২০০.০০১.২০১৩/৬২২)। 

আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ সূত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। 
আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদরে অবস্থিত কলেজটি জাতীয়করণের মধ্য দিয়ে আলফাডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হলো। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন থেকে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন। 
তথ্যমতে, আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজটি ১৯৯১ সালে ১ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাদানের অনুমোদন পায়। ১৯৯৬ সালের  ১ মার্চ এমওপি ভুক্ত হয়। পরে ২০১২ সালের ১ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাদানের অনুমতি পায়। 

কলেজটিতে বর্তমানে ৭৩ জন শিক্ষকসহ মোট ৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৭০০। 

আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুল হক সিকদার সাংবাদিকদের জানান, ‘সরকার কলেজটি জাতীয়করণ করায় আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান এর ইচ্ছায় আমাদের কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমানকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।’

ডামুড্যায় এলজিএসপি প্রকল্পে অনিয়ম কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ

গোবিন্দ দাস ,শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নে এলজিএসপি-২ প্রকল্পে অনিয়ম কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করায় প্রকল্পের চেক আটক ও ফাইল বন্ধ করে দিয়েছে প্রকল্প কর্মকর্তা।

স্থানীয় ও এলজিএসপি-২ প্রকল্প অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দারুল আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা কছর আলী বেপারীর বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুল হক মিন্টু শিকদার কালভার্টের কাজ না করে ব্যাংক থেকে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। তদন্ত শেষে কাজ না করে টাকা উত্তোলনের তথ্য বেড়িয়ে আসলে এলজিএসপি-২ প্রকল্পের ডিএফ মোঃ রোকনুজ্জামান ওই প্রকল্পের চেক জব্ধ করে এবং উত্তোলনকৃত টাকা ডামুড্যা সোনালী ব্যাংক শাখা একাউন্টে জমা দিতে বলেন। চেয়ারম্যান মমিনুল হক মিন্টু শিকদার টাকা ব্যাংকে জমা দিলেও এখনও প্রকল্পের ওই কালভার্টটির কাজ করেননি। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের কাজ অন্য উপজেলায় শেষ হলেও ডামুড্যায়  এখনো শুরু হয়নি।

এ বিষয়ে দারুল আমান ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল হক মিন্টু শিকদার বলেন, উত্তর ডামুড্যায় কালভার্ট না করে অন্য জায়গায় করা হয়েছে।  এ কারণে ডিএফ প্রকল্পের চেক জব্ধ করে নিয়ে গেছে এবং উত্তোলনকৃত টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলেছে। আমি ৫০ হাজার টাকা প্রকল্পের একাউন্টে ব্যাংকে জমা করে দিয়েছি।

এলজিএসপি-২ প্রকল্পের ডিএফ মো ঃ রোকনুজ্জামান বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দারুল আমান ইউনিয়নে প্রকল্পের কাজ না করায় প্রকল্পের চেক জব্ধ করা হয়েছে। কাজ সম্পন্ন করা হলে চেক ফেরত দেয়া হবে।