বিশেষ প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন (২৯) এর বিরুদ্ধে স্ত্রী’র সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
থানা ও অফিস সুত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের মৃতঃ নূরুল ইসলামের কর্ন্যা খাদিজা বেগমের (৪০) সাথে মুঠোফোনে শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০০৮ সালের মে মাসের ১ তারিখে পুরান ঢাকার এ রেজিস্টার কাজী অফিসে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর থেকে তাদের সংসার ভালই চলছিল। খাজিদা বেগম তার মার নিকট থাকত এবং আলমগীর এক মাস পরপর খাদিজার নিকট যাওয়া আসা করত। কিন্তু তাদের সংসারে কাল হয়ে দাড়ায় আলমগীর হোসেনের সরকারি চাকুরী। এ চাকুরি পাওয়ার পর থেকেই বিগত তিন মাস পূর্ব হতে স্ত্রী খাদিজা বেগমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ঐ লম্পট শিক্ষক আলমগীর। স্ত্রী খাদিজা বেগম তার কোন খোজ না পেয়ে স্বামীর খোজে আলফাডাঙ্গা উপজেলার মিঠাপুর গ্রামে তালুকদার পাড়ায় তার শশুর বাড়িতে গিয়ে ওঠে। কিন্তু শাশুড়ি ও ননদ তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় আলফাডাঙ্গা সরকারী কলেজের সামনে আসলে রাস্তায় একা পেয়ে লম্পট শিক্ষক আলমগীর তার স্ত্রী খাদিজা বেগম এর ভ্যানেটিব্যাগে থাকা বিবাহের কাবিন এর নকল, স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা পয়সা সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মারধর দিয়ে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্ত্রী খাদিজা বেগম জীবন বাচাতে দৌড়ে পাশে আবুল কালাম খালাশির বাড়িতে গিয়ে ওঠে। খাদিজা বেগম কোন উপায়ন্ত না পেয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলার রাজনীতিবীদ ও প্রশাসনের শরনাপন্ন হন। এ ব্যাপারে খাদিজা বেগম আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ খবর শুনে প্রশাসনের ভয়ে লম্পট শিক্ষক আলমগীর স্কুল ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে লম্পট আলমগীরের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-৬,তাং- ২৫-৯-২০১৬ ইং।
এ ব্যাপারে খাদিজা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আলমগীর প্রতারনা করে আমাকে ঠকিয়ে সর্বোচ্চ লুটে নিয়ে আমাকে সর্ব শান্ত করেছে। আমার নিকট থেকে সরকারী চাকুরী পাওয়ার কথা বলে কয়েক ধাপে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ও আমার মায়ের দেয়া গচ্ছিত কয়েক ভরি স্বর্ণলংকার প্রতারনা করে নিয়েছে। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরও বলেন, আমার দেয়া টাকার বিনিময়ে সে সরকারী চাকুরী পেলো ঠিকই কিন্তু আমি পেলাম না তার স্ত্রীর মর্যাদা। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মূন্সী রুহুল আসলাম বলেন, শিক্ষক আলমগীরের বিরুদ্ধে খাদিজা বেগম নামে এক মহিলা উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে(০১৯২৪৫৫৭৮৯১) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন