৩১মার্চ বৃহস্পতিবার নির্বাচন-২০১৬ |
বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শংকা
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন
মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কায় এ ঘোষণা দেন তারা।
নির্বাচন বর্জন করা প্রার্থীরা হলেন- টগরবন্দ ইউনিয়নে মো. সাজ্জাদ হোসেন সুজন, পাচুরিয়া ইউনিয়নে মো. শাহীদুর রহমান ও বানা ইউনিয়নে মো. মার্জন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থীরা বলেন, দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩১ মার্চ আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলা, বিএনপির কর্মীদের মামলা দিয়ে জেল-জরিমানা করানো হবে বলে আ’লীগের নেতা কর্মীরা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ না হওয়ার আশঙ্কায় তারা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস ছালাম, সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আকরামুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর জামাল খশরু, যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের সভাপতি আব্দুল মান্নান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. মনিরুজ্জান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদ, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক হোসেন কাজলসহ উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬
নৌকার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই,জমে উঠেছে আলফাডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচন ,প্রচার প্রচারনায় ভোটারদের দ্বারে প্রার্থীরা
মো. সাইফুর রহমান সাইফার |
আল মামুন মিয়া বাদশা |
খালিদ মোশারেফ রঞ্জু |
এস এম মিজানুর রহমান |
মো. হারুন অর রশীদ শরীফ |
হাদী হুমায়ুন কবির বাবু |
ইমাম হাসান শিপন |
শেখ সাহিদুজ্জামান |
মুন্সি মিজানুর রহমান |
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল বুধবার ২ মার্চ বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত, তিনটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ২৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৯৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। গত ৫ ও ৬ তারিখে নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় বাছাই পর্বে বানা ও পাচুড়িয়া ইউনিয়নে ইসলামি আন্দলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আকবর হোসেন ও মো. আব্দুল হালিম সহ ১ জন মহিলা সদস্য ও ১ জন সাধারন সদস্য মনোনয়ন পত্র বাতিল পরেন। তিন ইউনিয়নে ২৭ টি ওয়ার্ডে ২৭ টি কেন্দ্রে ১১০ টি ভোটকক্ষে(বুথ) ভোট গ্রহন করা হবে।
৪নং টগরবন্দ ইউনিয়ানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন আ’লীগের মুন্সি মিজানুর রহমান(নৌকা), বিএনপির মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (সুজন)(ধানের শীর্ষ), জাতীয় পার্টি’ মো. রুহুল আমিন ভুঁইয়া(লাঙ্গল), আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ সাহিদুজ্জামান(আনারস), সতন্ত্র প্রার্থী ইমাম হাসান শিপন(চশমা)। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ১২ জন ও সাধারণ সদস্য ৩৮ জন।
৫নং বানা ইউনিয়ানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন আ’লীগের প্রার্থী হাদী হুমায়ুন কবির বাবু(নৌকা), বিএনপির প্রার্থী মার্জন(ধানেরশীর্ষ),সতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন অর রশীদ শরীফ(চশমা),গত শুক্রবার ১৮ মার্চ শিরগ্রাম স্কুলে জনসভায় সতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল কাদের তার প্রর্থীতা প্রত্যাহার তরে নিয়ে নৌকার পক্ষে সর্মথন দিয়েছে। মহিলা সংরক্ষিত সদস্য ৮ জন ও সাধারণ সদস্য ২৮ জন ।
৬নং পাচুড়িয়া ইউনিয়ানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন, আ’লীগের প্রার্থী এস এম মিজানুর রহমান(নৌকা), বিএনপির প্রার্থী শাহিদুর রহমান (পান্নু)(ধানের শীর্ষ), আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খালিদ মোশারেফ (রঞ্জু)(মটর সাইকেল) ও মো. মোমিনুর রহমান(টেলিফোন), স্বতন্ত্র প্রার্থী আল মামুন মিয়া(আনারস) ও মো. সাইফুর রহমান সাইফার(চশমা)। মহিলা সংরক্ষিত সদস্যা ৭ জন ও সাধারণ সদস্য ৩২ জন। এ ব্যাপারে রিটানিং অফিসার বিকাশ কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ইতি মধ্যে ঝুকিপূর্ন কেন্দ্র গুলি বাছাই করা হচ্ছে। নির্বাচন যাতে সুন্দর সুষ্ঠ হয় সে জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬
ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সুবল সাহা সৈয়দ মাসুদ |
অন্যদিকে ফরিদপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের মধ্যে সৈয়দ মাসুদ হোসেন অন্যতম। তিনি জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সম্মেলনে ৩১৪ জন কাউন্সিলর ও ৩১৪ জন ডেলিগেট অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি এবং গণমাধ্যম কর্মীরাও ছিলেন।
ভাঙ্গা পৌরসভায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবু রেজা জয়ী
আবু রেজা মো. ফয়েজ |
অশোক সাহা,ভাঙ্গা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবু রেজা মো. ফয়েজ বেসরকারি ভাবে জয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৪০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ¦ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মুন্সী জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ১২৪ ভোট। এর আগে শান্তি পূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ মেয়র পদে ৫ জন, ৩৩ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ১০ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি¦তা করেন। ৯ টি ওয়ার্ডে ১৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৮১ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৪০ জন ও নারী ১২ হাজার ৩২২জন।
মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারনার অভিযোগ
আলফাডাঙ্গায় নৌকায় আগুন |
স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নে কাপড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরী নৌকা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার ২১মার্চ গভীর রাতে যোগিবরাট মাদ্রাসার সামনে তিন রাস্তার ওপর টানানো নৌকায় প্রতিপক্ষের লোকজন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের আ‘লীগ প্রার্থী এস এম মিজানুর রহমান।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান জালালউদ্দিনের ভাগ্নে আ‘লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী খালিদ মোশাররফ (রঞ্জু) ওই দিন রাতে নৌকায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে আমার ধারণা। এর আগে গত সোমবার তার কর্মী আ‘লীগ সমর্থক পাচুড়িয়া গ্রামের মান্নানকে (৩০) রঞ্জু সমর্থক একই গ্রামের খসরু ও হুমায়ুন বেধড়ক মারপিট করে। থানায় বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে (মঙ্গলবার) ফরিদপুর জেলা আ‘লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছি। সন্ধ্যায় ফিরে এসে লিখিত অভিযোগ দিব।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে এলাকায় এসে তার ভাগ্নে বিদ্রোহী প্রার্থী রঞ্জুর পক্ষে ভোটের প্রচারনা চালাচ্ছেন।
এ সব অভিযোগের ব্যাপারে রঞ্জু বলেন, মিজানুর রহমান টাকা দিয়ে নৌকা প্রতীক কিনে দলের নেতা কর্মীর সমর্থন না পেয়ে তিনি নিজেই নৌকায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে দলের নেতা কর্মীদের সহানুভতি আদায়ের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ভোটের প্রচারণা চালানোর অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে মিজানুর রহমান এসব আবোলতাবোল বকছেন।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল করিম বলেন, (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত তিনি কোন অভিযোগ হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, নৌকা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা মৌখিক ভাবে জানতে পেরেছি। লিখিত কোন অভিযোগ হাতে পাইনি।
সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬
বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে আ’লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ
বোয়ালমারী প্রতিনিধি ঃ আসন্ন ২৩ এপ্রিলের (তৃতীয় ধাপ) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ৮নং শেখর ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। গত রোববার সন্ধ্যায় শেখর কাজী সিরাজুল ইসলাম একাডেমীর সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন আ’লীগের এক বর্ধিত সভায় নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে আবুল কালামের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এমএন জামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক কামরুল চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি আছাদুজ্জামান মিন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার, উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রশান্ত সাহা এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
নির্বাচনী জনসভায় কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সিরাজুল ইসলাম----- আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক
আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) ঃ আগামী ৩১ মার্চ আলফাডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আ’লীগের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে সব রকমের সহযোগিতা করতে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম। তিনি গত শনিবার সন্ধ্যায় শিরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শত শত নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে হাত উঁচিয়ে বানা ইউনিয়নের আ’লীগের (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী হাদী হুমায়ুন কবির বাবুর পক্ষে ভোট চান। নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক। আ’লীগের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। আমি অতিতেও নৌকার মাঝি ছিলাম, এখনো আছি, আগামীতেও নৌকার মাঝি হয়ে বাকি জীবন কাটাতে চাই। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন। নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ে যা কিছু করা দরকার তার জন্য আমি প্রস্তুত আছি। বানা আ’লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী হাদী হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আকরাম হোসেন মিয়া, সাধারন সম্পাদক নুরুল বাসার, যুগ্ম সম্পাদক আহাদুল হাসান আহাদ, আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক আবদুল¬াহ আল মামুন, বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু, আ’লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। একই সময় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) প্রতীকের মোঃ আব্দুল কাদের শেখ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে নৌকা প্রতীকে সমর্থণ দেন। এ ইউনিয়নের অন্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন মোঃ মার্জান বিএনপি (ধানের শীষ), মোঃ নাজমুল ইসলাম স্বতন্ত্র, (টেলিফোন), মোঃ নজরুল ইসলাম শরীফ স্বতন্ত্র (মটর সাইকেল) এবং মোঃ হারুন অর-রশীদ শরীফ স্বতন্ত্র (চশমা) প্রতীক।
শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না----------কাজী সিরাজুল ইসলাম
আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর)ঃ- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। স্বাধীনতার মাস মার্চ মাস। এ মাসে দেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে ছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। যারা এদেশের জন্য শহীদ হয়েছেন আমি তাদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করি। এ দেশ বর্তমানে পরিচালনা করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে ২০২১ সালকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আপনারা সবাই আওয়ামীলীগের কাজ করে যাবেন। গত শুক্রবার ১৮ মার্চ সন্ধায় বেজিডাঙ্গা কাজী আমেনা ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সমাপনী এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন আলফাডাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম আহাদুল হাসান আহাদ। বিশেষ অথিতি ছিলেন আলফাডাঙ্গা কৃষক লীগের আহবায়ক মো. সোলায়মান আহম্মেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. শেখ কোবাদ হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আকরামুজ্জামান রুকু মৃধা, আলফাডাঙ্গা কৃষক লীগের যগ্ন আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন ও শেখ নুরুজ্জামান নুর মিয়া, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান মাসুদ,কাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ নেতা কাজী হানিফ, অহিদুজ্জামান মিয়া প্রমূখ। আলোচনা শেষে প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার ও সকল শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ বিতরন করেন এবং পরে এক সাংস্কৃতিক সন্ধা আয়োজন করা হয়।
বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬
আলফাডাঙ্গা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র কমিটি গঠন
সাধারণ সম্পাদক কামরুল |
সভাপতি কামরুল হক ভূঁইয়াকে |
সাংগঠনিক মুজাহিদ |
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় দ্বি-বার্ষিক রিপোর্টার্স ইউনিটি’র কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬-০৩-১৬) সকালে আলফাডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।
নব গঠিত কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক নাগরীক দাবীর আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি আলহাজ্ব মো. কামরুল হক ভূঁইয়াকে সভাপতি, দৈনিক বাংলাদেশ সময়’র আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতনিধি মো. কামরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা টাইমস ২৪. কম ও দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম কে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া সহ সভাপতি মো. গোলাম আজম মনির (দৈনিক খবর পত্র), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ (দৈনিক প্রভাত), দপ্তর সম্পাদক ডাঃ ইবাদত হোসেন মোরাদ (দৈনিক সময়ের বাংলা), অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া (দৈনিক আজকের সংবাদ), মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা নাজনীন (দৈনিক ফাতেহাবাদ), সদস্য শাহিনুর রহমান শাহীন (দৈনিক সকালের খবর), মো. তাজমিনুর রহমান তুহিন (আরএনএসবিডি ২৪.কম), মো. রবিউল ইসলাম (সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা), মো. ফারুক হোসেন (সাপ্তাহিক ইদানিং ফরিদপুর) এবং মো. তাইজুল ইসলাম টিটন (সময়২৪.কম)।
নব গঠিত কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক নাগরীক দাবীর আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি আলহাজ্ব মো. কামরুল হক ভূঁইয়াকে সভাপতি, দৈনিক বাংলাদেশ সময়’র আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতনিধি মো. কামরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা টাইমস ২৪. কম ও দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম কে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া সহ সভাপতি মো. গোলাম আজম মনির (দৈনিক খবর পত্র), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ (দৈনিক প্রভাত), দপ্তর সম্পাদক ডাঃ ইবাদত হোসেন মোরাদ (দৈনিক সময়ের বাংলা), অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া (দৈনিক আজকের সংবাদ), মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা নাজনীন (দৈনিক ফাতেহাবাদ), সদস্য শাহিনুর রহমান শাহীন (দৈনিক সকালের খবর), মো. তাজমিনুর রহমান তুহিন (আরএনএসবিডি ২৪.কম), মো. রবিউল ইসলাম (সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা), মো. ফারুক হোসেন (সাপ্তাহিক ইদানিং ফরিদপুর) এবং মো. তাইজুল ইসলাম টিটন (সময়২৪.কম)।
শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬
একজন আদর্শ মানুষ“কাঞ্চন মুন্সী”
মো. সেকেন্দার আলম ঃ-ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার একজন আদর্শ মানুষের নাম “কাঞ্চন মুন্সী”। ফুল যেমন তার সৌন্দর্য, রং আর সূগন্ধে পরিপূর্ণতা পায় ঠিক তেমনি কামারগ্রাম পরিপূণর্তা পেয়েছে তার গুণে। তিনি সুদূর কলকাতা বসে কামারগ্রামবাসীর কথা ভাবতেন। কীভাবে এলাকার মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়, এলাকার উন্নয়ন করা যায় তিনি এই চিন্তা করতেন। তিনি মানুষকে শুধু স্বপ্ন দেখাননি স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে যা যা করনীয় তা করেছেন। মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ কষ্টকে নিজের করে নিয়ে প্রমাণ করেছেন মানুষ মানুষের জন্য। তিনি উপজেলাধীন কামারগ্রামে জন্মেছিলেন বলেই পাশ্ববর্তী অনেক গ্রামের চেয়ে আগেই শিক্ষার আলো ও উন্নয়নের ছোঁয়া এখানে লেগেছিল। কাঞ্চন মুন্সী’র দরূন আজকের কামারগ্রাম গৌরবের সাথে মাথা উঁচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, জনদরদী মহান এ পুরুষ ১৮৮০ সালের ৫ই মে আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০ বছর বয়সে কাঞ্চন মুন্সী কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান কলকাতায়। কলকাতার পোর্ট শিপিং কোম্পানিতে প্রথম তিনি খালাসীর চাকুরী নেন। পরবর্তীতে তিনি এই পোর্ট শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার হন। এই কোম্পানির আরো একটি শাখা এন্ডরোল কোম্পানি। এই এন্ডরোল কোম্পানিরও ম্যানেজার ছিলেন তিনি। কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় তিনি বেতন পেতেন মাসিক ৫০০ টাকা। এন্ডরোল কোম্পানির ৯০০ ফ্লাট বোট ছিল ও ৪২ খানা তিনতলা জাহাজ ছিল। এই জাহাজ গুলির মালিক ছিলেন চার্লি কিংহাম এবং তার পুত্র কিংহাম এবং প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন মিঃ হ্যাজমল। এই জাহাজ গুলি তখন বাংলা আসাম চলাচল করত। এসব জাহাজে কর্মরত ছিল ৩৫ হাজার শ্রমিক। এই ৩৫ হাজার শ্রমিকের বেতন নিতে হত কাঞ্চন মুন্সীর হাত থেকে। এ থেকে বোঝা যায় কতটা সৎ এবং নিষ্ঠাবান হলে এত বড় দায়িত্ব পাওয়া যায়। ইংরেজ সাহেবদের সাথে যোগাযোগ ঠিকমতো করার জন্য ইংরেজি ভাষা জানাটা খুব দরকার ছিল তাই কাঞ্চন মুন্সীর নিজের ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমে তা শিখে নেন। কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলেই তিনি হতে পেরেছিলেন ধনসম্পদের মালিক। এই ধন সম্পদের মালিক হয়ে মুন্সী সাহেব হয়ত নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন কিন্তু সেটা তিনি করেননি। সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন গ্রামের মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে। কামারগ্রামের মানুষের সেবায় আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন কাঞ্চন মুন্সী। অত্র এলাকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী, যা এখনও আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। এ স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সরকারের সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হয়েছেন। যা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বেরও বটে। পাশাপাশি কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, জলদীঘি, কবরস্থান স্থাপনসহ তৎকালীন সময়ে তার জাহাজ কোম্পানিতে নিজ এলাকার প্রায় ১ হাজার মানুষকে কে চাকুরী দিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করেছেন। আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে তিনি যদি এই অবদান না রাখতেন তাহলে কামারগ্রাম হয়তবা বাংলাদেশের আর দশটা অবহেলিত গ্রামের মতই থেকে যেত। কামারগ্রামে ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করে দাড়িয়ে আছে মুন্সী বাড়ি। এই বাড়ির প্রতিটি ইট-পাথর আর চুন সুড়কীর গাঁয়ে জড়িয়ে আছে কাঞ্চন মুন্সীর স্মৃতি। বাংলা ১৩৩৭ সালে এক একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন এই কারুকর্যমন্ডিত দ্বিতল ভবন। এই বাড়িটির মিস্ত্রী ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ। মুন্সী বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে মুন্সী বাড়ি মসজিদ ও পুকুর ঘাট। আর মুল ভবনের সাথে রয়েছে কাচারি ঘর। এই কাচারি ঘরে বসেই মুন্সী সাহেব এলাকার মানুষের সাথে বৈঠক করতেন। শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। কাঞ্চন মুন্সী কলকাতাতেই বেশি থাকতেন। তাই তাঁর জমিদারী তাঁর নায়েব গোমস্তারাই বেশি দেখাশোনা করতেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে কলকাতা থেকে মধুমতি নদীর গোপালপুর ঘাটে এসে নামতেন তারপর পালকী অথবা ঘোড়া যোগে বাড়ি আসতেন। কাঞ্চন মুন্সী বাড়ি আসলে মুন্সী বাড়িতে জনসাধারণের ভিড় জমে যেত। কার কী প্রয়োজন সব তিনি শুনতেন আর চেষ্টা করতেন যতটা সম্ভব সাহায্য করার। কাঞ্চন মুন্সী নড়াইলের প্রভাবশালী জমিদার বনবিহারী বাবু এবং গিরিজাবালা সুন্দরীর নিকট থেকে জমিদারী পত্তনী পান।
কাজের সুবাদেই কাঞ্চন মুন্সীকে কোলকাতা থাকতে হতো। কলকাতার মিশন রোডে মুন হাউস নামে পরিচিত ৭ তলা ভবন রয়েছে এছাড়াও কলকাতাতে আরও অনেক বাড়ি ছিল তাঁর। কলকাতার দম দম রোডের বাড়িতে তিনি স্থায়ী ভাবে বসবাস করতেন। এই বাড়িতে তৎকালীন সময়ের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আসতেন তাঁর সাথে দেখা করতে।
বাংলাদেশের খুলনা ও ঢাকাতে কাঞ্চন মুন্সীর বাড়ি রয়েছে। ঢাকার শ্রেষ্ঠ বাড়ি “রুপলাল হাউস” তিনি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে বাড়িটি তাঁর মেয়েকে দান করে দেন। কাঞ্চন মুন্সী ১৯৪৮ সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল কামারগ্রামে থানা প্রতিষ্ঠা করবেন। এই লক্ষ্য বাস্তবাায়নে তিনি ঢাকা যান কিন্তু লক্ষ্য বাস্তবায়নের আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঢাকার রুপলাল হাউসে অবস্থানরত অবস্থায় ১৯৪৯ সালের ৪ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে বিমান যোগে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় শত শত মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কলকাতার গোবরডাঙ্গা গোরস্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। কাঞ্চন মুন্সীর মতো সৎ ধর্মপ্রাণ মানুষ হয়ত আর ফিরে আসবেন না কামারগ্রামের মাটিতে। কিন্তু তাঁর সৃষ্ট অবদানের দরূন মানুষের মধ্যে চিরঅমর হয়ে থাকবেন আজীবন। বর্তমানে কাঞ্চন মুন্সীর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন” এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতি বছর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, জনদরদী মহান এ পুরুষ ১৮৮০ সালের ৫ই মে আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০ বছর বয়সে কাঞ্চন মুন্সী কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান কলকাতায়। কলকাতার পোর্ট শিপিং কোম্পানিতে প্রথম তিনি খালাসীর চাকুরী নেন। পরবর্তীতে তিনি এই পোর্ট শিপিং কোম্পানির ম্যানেজার হন। এই কোম্পানির আরো একটি শাখা এন্ডরোল কোম্পানি। এই এন্ডরোল কোম্পানিরও ম্যানেজার ছিলেন তিনি। কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় তিনি বেতন পেতেন মাসিক ৫০০ টাকা। এন্ডরোল কোম্পানির ৯০০ ফ্লাট বোট ছিল ও ৪২ খানা তিনতলা জাহাজ ছিল। এই জাহাজ গুলির মালিক ছিলেন চার্লি কিংহাম এবং তার পুত্র কিংহাম এবং প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন মিঃ হ্যাজমল। এই জাহাজ গুলি তখন বাংলা আসাম চলাচল করত। এসব জাহাজে কর্মরত ছিল ৩৫ হাজার শ্রমিক। এই ৩৫ হাজার শ্রমিকের বেতন নিতে হত কাঞ্চন মুন্সীর হাত থেকে। এ থেকে বোঝা যায় কতটা সৎ এবং নিষ্ঠাবান হলে এত বড় দায়িত্ব পাওয়া যায়। ইংরেজ সাহেবদের সাথে যোগাযোগ ঠিকমতো করার জন্য ইংরেজি ভাষা জানাটা খুব দরকার ছিল তাই কাঞ্চন মুন্সীর নিজের ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রমে তা শিখে নেন। কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলেই তিনি হতে পেরেছিলেন ধনসম্পদের মালিক। এই ধন সম্পদের মালিক হয়ে মুন্সী সাহেব হয়ত নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন কিন্তু সেটা তিনি করেননি। সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন গ্রামের মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে। কামারগ্রামের মানুষের সেবায় আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন কাঞ্চন মুন্সী। অত্র এলাকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী, যা এখনও আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। এ স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সরকারের সর্বোচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হয়েছেন। যা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বেরও বটে। পাশাপাশি কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, জলদীঘি, কবরস্থান স্থাপনসহ তৎকালীন সময়ে তার জাহাজ কোম্পানিতে নিজ এলাকার প্রায় ১ হাজার মানুষকে কে চাকুরী দিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করেছেন। আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে তিনি যদি এই অবদান না রাখতেন তাহলে কামারগ্রাম হয়তবা বাংলাদেশের আর দশটা অবহেলিত গ্রামের মতই থেকে যেত। কামারগ্রামে ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করে দাড়িয়ে আছে মুন্সী বাড়ি। এই বাড়ির প্রতিটি ইট-পাথর আর চুন সুড়কীর গাঁয়ে জড়িয়ে আছে কাঞ্চন মুন্সীর স্মৃতি। বাংলা ১৩৩৭ সালে এক একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন এই কারুকর্যমন্ডিত দ্বিতল ভবন। এই বাড়িটির মিস্ত্রী ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ। মুন্সী বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে মুন্সী বাড়ি মসজিদ ও পুকুর ঘাট। আর মুল ভবনের সাথে রয়েছে কাচারি ঘর। এই কাচারি ঘরে বসেই মুন্সী সাহেব এলাকার মানুষের সাথে বৈঠক করতেন। শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। কাঞ্চন মুন্সী কলকাতাতেই বেশি থাকতেন। তাই তাঁর জমিদারী তাঁর নায়েব গোমস্তারাই বেশি দেখাশোনা করতেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে কলকাতা থেকে মধুমতি নদীর গোপালপুর ঘাটে এসে নামতেন তারপর পালকী অথবা ঘোড়া যোগে বাড়ি আসতেন। কাঞ্চন মুন্সী বাড়ি আসলে মুন্সী বাড়িতে জনসাধারণের ভিড় জমে যেত। কার কী প্রয়োজন সব তিনি শুনতেন আর চেষ্টা করতেন যতটা সম্ভব সাহায্য করার। কাঞ্চন মুন্সী নড়াইলের প্রভাবশালী জমিদার বনবিহারী বাবু এবং গিরিজাবালা সুন্দরীর নিকট থেকে জমিদারী পত্তনী পান।
কাজের সুবাদেই কাঞ্চন মুন্সীকে কোলকাতা থাকতে হতো। কলকাতার মিশন রোডে মুন হাউস নামে পরিচিত ৭ তলা ভবন রয়েছে এছাড়াও কলকাতাতে আরও অনেক বাড়ি ছিল তাঁর। কলকাতার দম দম রোডের বাড়িতে তিনি স্থায়ী ভাবে বসবাস করতেন। এই বাড়িতে তৎকালীন সময়ের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আসতেন তাঁর সাথে দেখা করতে।
বাংলাদেশের খুলনা ও ঢাকাতে কাঞ্চন মুন্সীর বাড়ি রয়েছে। ঢাকার শ্রেষ্ঠ বাড়ি “রুপলাল হাউস” তিনি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে বাড়িটি তাঁর মেয়েকে দান করে দেন। কাঞ্চন মুন্সী ১৯৪৮ সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল কামারগ্রামে থানা প্রতিষ্ঠা করবেন। এই লক্ষ্য বাস্তবাায়নে তিনি ঢাকা যান কিন্তু লক্ষ্য বাস্তবায়নের আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঢাকার রুপলাল হাউসে অবস্থানরত অবস্থায় ১৯৪৯ সালের ৪ জানুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে বিমান যোগে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় শত শত মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কলকাতার গোবরডাঙ্গা গোরস্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। কাঞ্চন মুন্সীর মতো সৎ ধর্মপ্রাণ মানুষ হয়ত আর ফিরে আসবেন না কামারগ্রামের মাটিতে। কিন্তু তাঁর সৃষ্ট অবদানের দরূন মানুষের মধ্যে চিরঅমর হয়ে থাকবেন আজীবন। বর্তমানে কাঞ্চন মুন্সীর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন” এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতি বছর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মাদক ব্যবসায়ী রবি’র ৬ মাসের জেল
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-আলফাডাঙ্গার মাদক ব্যবসায়ী রবি ও তার সহযোগী হারুন মোল্ল্যাকে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের। জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রবি’র নিজ বাড়ি নওয়াপাড়া থেকে গাজা সহ হারুন ও রবিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে রবি ও তার সহযোগী হারুন প্রত্যেককে ৬ মাসের জেল দিয়ে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬
আন্তঃ উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বাছাই সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মেধাবীদের সন্ধানে আন্তঃ উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা-২০১৬ এর বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপি আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে উক্ত বিদ্যালয়ের এস এস সি ব্যাচ-১৯৯৪’র শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত “স্মৃতিবন্ধু-৯৪” আয়োজিত বাছাইপর্বে তিনটি বিভাগে মোট ২১ জন প্রতিযোগী ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছেন। প্রতিযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেন।
বাছাইপর্বে “ক” বিভাগে প্রাইমারী পর্যায় ৭জন, “খ” বিভাগে মাধ্যমিক পর্যায় ৭জন, “গ” বিভাগে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ৭জন মোট ২১জন ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছেন ।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলফাফাডাঙ্গা আন্তঃ উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক আলফাডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম এইচ এ কে এম রওনক আরা বেগম ও আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফরিদা বানু।
অনুষ্ঠানে “স্মৃতিবন্ধু-৯৪”র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বেতার এর সাবেক উপস্থাপক ও আবৃত্তিকার আমেরিকান প্রবাসী মাহ্ফুজুল আলম মাহ্ফুজ, আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজাদুল ইসলাম, সুজন দাশ(ছায়ানট ও কন্ঠশীলন), জনপ্রীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমস ২৪. কম ও দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, আলফাডাঙ্গার জনপ্রীয় ফেসবুক পেজ “আলফাডাঙ্গা পেজ”র এ্যাডমীন শুভংকর পাল সহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘ইয়েস কার্ড’ প্রাপ্ত প্রতিযোগিদের নিয়ে আগামী ১৯ মার্চ আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “আলফাডাঙ্গা আন্তঃ উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মূল পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
জনপ্রীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “ঢাকা টাইমস ২৪. কম”, “আলফাডাঙ্গা পেজ” ও মধুমতি মাল্টিমিডিয়া এই প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার।
বাছাইপর্বে “ক” বিভাগে প্রাইমারী পর্যায় ৭জন, “খ” বিভাগে মাধ্যমিক পর্যায় ৭জন, “গ” বিভাগে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ৭জন মোট ২১জন ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছেন ।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলফাফাডাঙ্গা আন্তঃ উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক আলফাডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম এইচ এ কে এম রওনক আরা বেগম ও আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফরিদা বানু।
অনুষ্ঠানে “স্মৃতিবন্ধু-৯৪”র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বেতার এর সাবেক উপস্থাপক ও আবৃত্তিকার আমেরিকান প্রবাসী মাহ্ফুজুল আলম মাহ্ফুজ, আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজাদুল ইসলাম, সুজন দাশ(ছায়ানট ও কন্ঠশীলন), জনপ্রীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমস ২৪. কম ও দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, আলফাডাঙ্গার জনপ্রীয় ফেসবুক পেজ “আলফাডাঙ্গা পেজ”র এ্যাডমীন শুভংকর পাল সহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘ইয়েস কার্ড’ প্রাপ্ত প্রতিযোগিদের নিয়ে আগামী ১৯ মার্চ আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “আলফাডাঙ্গা আন্তঃ উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মূল পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
জনপ্রীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “ঢাকা টাইমস ২৪. কম”, “আলফাডাঙ্গা পেজ” ও মধুমতি মাল্টিমিডিয়া এই প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার।
বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬
আলফাডাঙ্গায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রার্থীরা
মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ করার কথা থাকলেও আলফাডাঙ্গাকে নতুন পৌরসভা ঘোষণা করায় তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন বুধবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তিনটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ৯৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ২৭ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
৪নং টগরবন্দ ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন, আ’লীগের মুন্সি মিজানুর রহমান, বিএনপির মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (সুজন), জাতীয় পার্টি’র মো. রুহুল আমিন ভুঁইয়া। আ’লীগের বিদ্রহী প্রার্থী শেখ সাহিদুজ্জামান, সতন্ত্র প্রার্থী ইমাম হাসান শিপন। সাধারণ সদস্য ৩৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ১২ জন।
৫নং বানা ইউপিতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন, আ’লীগের প্রার্থী হাদী হুমায়ুন কবির, বিএনপির প্রার্থী মার্জন, ইসলামি আন্দলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আকবর হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল ইসলাম, কাজী হারুন অর রশীদ, নজরুল ইসলাম শরীফ, মো. আব্দুল কাদের। সাধারণ সদস্য ২৮ জন ও মহিলা সংরক্ষিত সদস্যা ৮ জন।
৬নং পাচুড়িয়া ইউপি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন, আ’লীগের প্রার্থী এস এম মিজানুর রহমান, বিএনপির প্রার্থী শাহিদুর রহমান (পান্নু), ইসলামি আন্দলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আব্দুল হালিম। আ’লীগের বিদ্রহী প্রার্থী খালিদ মোশাররফ (রঞ্জু), মমিনুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী আল মামুন মিয়া, সাইদুর রহমান। সাধারণ সদস্য ৩২ জন, মহিলা সংরক্ষিত সদস্যা ৭ জন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আলফাডাঙ্গা পৌরসভা গঠনের প্রস্তাব প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) সভায় অনুমদিত হওয়ায় ১নং বুড়াইচ ইউনিয়ন, ২ নং গোপালপুর ইউনিয়ন ও ৩নং আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬
আলফাডাঙ্গা পৌরসভা অনুমোদন হলো
ঢাকা অফিসঃ- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে।
গত সোমবার ২৯ ফ্রেরুয়ারী প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এ অনুমোদন দিয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর পৌরসভায় উন্নীত হলেও নিকার বৈঠকে সোমবার তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া নিকার বৈঠকে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন মাধবদী তদন্ত কেন্দ্র এবং পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার মহিপুর তদন্ত কেন্দ্রকে থানায় উন্নীত করা হয়েছে।
গত সোমবার ২৯ ফ্রেরুয়ারী প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এ অনুমোদন দিয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর পৌরসভায় উন্নীত হলেও নিকার বৈঠকে সোমবার তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া নিকার বৈঠকে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন মাধবদী তদন্ত কেন্দ্র এবং পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার মহিপুর তদন্ত কেন্দ্রকে থানায় উন্নীত করা হয়েছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)