স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে কলেজ
ছাত্রীর আত্মহত্যার হুমকীর মুখে বিয়ে ভেঙ্গে গেল এক কলেজ শিক্ষকের।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার খোকসাহাট গ্রামে।
বিরেন্দ্র কুশারী বিপ্লব (৩০) আলফাডাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জীব বিজ্ঞান
বিভাগের প্রভাষক। বোয়ালমারী উপজেলার কদিরদী কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী (২১) কে প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরেই তাদের
দুজনের মধ্যে দীর্গদিন যাবত মন দেওয়া নেওয়া এবং এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন
দিয়ে ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রভাষক বিপ্লব। পরবর্তিতে
ছাত্রীর পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে শিক্ষক প্রেমের বিষয়টি পুরোপুরি
অস্বিকার করে এবং প্রেমিকা ছাত্রীটাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে
শিক্ষকের পরিবার ঐ শিক্ষকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে যার আশির্বাদ গতকাল
অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষকের সাথে তার ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক
এবং শিক্ষকের প্রেমিকা ঐ ছাত্রীর আত্মহত্যার হুমকীর বিষয়টি পত্র পত্রিকায়
প্রকাশিত হলে বিষয়টি জানার পর যেখানে ঐ শিক্ষক এর বিয়ে ঠিক হয়েছিল তা
ভেঙ্গে যায় । ফলে গতকাল শিক্ষকের বিয়ের আশির্বাদ ভন্ডুল হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিয়ের ঘটক জানান, মেয়ের বাবা তার মেয়েকে ঝামেলায় ফেলতে চান না বলেই তারা এই বিয়েটি ভেঙ্গে দিয়েছেন। একদিকে এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক এবং অন্য কোথাও বিয়ে করলে শিক্ষকের প্রেমিকার আত্মহত্যার হুমকী প্রদানের ঘটনায় ভয় পেয়ে মেয়ের আত্মীয় স্বজনেরা কোনভাবেই শিক্ষক বিপ্লবের সাথে বিয়ে দিতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন না। বিশেষ করে কিছুতেই মেয়ের বাবাকে এই বিয়ে সম্পন্ন করার পক্ষে রাজি করানো যায়নি বলে ঐ সূত্রটি জানিয়েছে।
এদিকে শিক্ষক বিপ্লব প্রেম এর প্রসঙ্গ অস্বিকার করায় তিনি যে কলেজে চাকরি করেন সেই আলফাডাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল হক শিকদার এবং পরবর্তিতে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আবুল খায়েরের নিকট অভিযোগ করেন ছাত্রী ও তার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আলফাডাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিরেন্দ্র কুশারী বিপ্লব (৩০) এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে ইউ এন ও অফিসে হাজির হতে বললেও শিক্ষক বা তার পরিবারের কোন সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নির্দেশ মানেন নি। পরে কাদিরদী কলেজের ছাত্রী যার সাথে শিক্ষক অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সেই ছাত্রী আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিকদের স্মরনাপন্ন হন এবং তাকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যার হুমকী দেন। শিক্ষক এবং ছাত্রীর বাড়ি মধুখালী উপজেলার খোকসা হাট গ্রামে এবং তারা দুজনেই দুজনের পুর্ব পরিচিত বলে জানা গেছে।
অপরদিকে কলেজ শিক্ষক এবং কলেজ ছাত্রীর প্রেম, বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, প্রেমিকার আত্মহত্যার হুমকী এবং অবশেষে শিক্ষকের অন্যত্র ঠিক করা বিয়ের আশির্বাদ ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনাটি আলফাডাঙ্গা বোয়ালমারী এবং মধুখালীতে ব্যাপক আলোচনা ও সামলোচনার সৃষ্টি করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন