শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

আলফাডাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা জেএসডি দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) গণধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলা নং ১,তাং-৫-১০-১৭ইং। ওই ছাত্রীকে শুক্রবার (০৬.১০.১৭) পুলিশ হেপাজতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামের ওই মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাংকুলা গ্রামের মৃতু সাহেব আলীর ছেলে মো. রুবেল ওরফে কয়েল (১৫), সিরাজ মোল্যার ছেলে আকিদুল (১৫) ও বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জিহাদ কাজী (১৫) ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরিনতিতে পরিকল্পিতভাবে গত ৪ অক্টোবর বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথে ওই যুবকরা জোরপুর্বক মুখে রুমাল দিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। এক পর্যায়ে জোর করে নিশা জাতীয় পানি মুখের মধ্যে ঢেলে দেয়। পরবর্তীতে বারাংকুলা জৈনক ফজল শেখের জঙ্গলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। ছাত্রীর ডাক চিৎকারে এলাকার নুরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান, রিজাউল করিমসহ আরো কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়। আসামী রুবেলের মা মরিয়ম বেগম ও জিহাদ কাজীর মা আনোয়ারা বেগম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। জেএসডি দাখিল  মাদ্রাসার সুপার শহীদ মিয়া বলেন, এ ঘটনাটি খুবই ন্যাক্করজনক, তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়া জানান, মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে বলে তিনি এলাকা মানুষের কাছ থেকে শুনেছেন। তিনিও উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন।  থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল করিম জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন