বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভুগী উপজেলার বানা ইউনিয়নের উথলী আড়পাড়া গ্রামের আঃ শুকুর মোল্যার ছেলে মিটুল মোল্যা। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী নিজ দখলিয় সম্পত্তি দীর্ঘদিন খাজনা না দেয়ার কারণে আড়পাড়া মৌজার ০৫ শতাংশ জমি সরকারী ১নং খাস খতিয়ানে অন্তভুক্ত হয়। পরে জমিটি বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য উক্ত সার্ভেয়ারকে জমির কাগজপত্র দেন ভুক্তভুগী মিটুল। সার্ভেয়ার কাগজপত্র দেখে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে বলে ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। ভুক্তভুগী মিটুল বলেন, আমি ভূমিহীন ভান চালক, ৩০ হাজার টাকা দেয়ার সমর্থ আমার নেই ,কিন্তু টাকা ছাড়া বন্দোবস্ত নেওয়া যাবে না। আমি নিরুপায় হয়ে ২ মাস আগে সার্ভেয়ারকে ১৫ হাজার টাকা দেই। সার্ভেয়ার কাজ না করে বাকি টাকার জন্য আমাকে চাপ দেয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে তৎকালীন ই্উএনও আজাহারুল ইসলামকে বিষয়টি জানাই, তিনি আমাকে সার্ভেয়ারের কাছে পাঠান, তবে নানা অজুহাতে সার্ভেয়ার আমাকে ফিরিয়ে দেন। গত মঙ্গলবার সাংবাদিক আলমগীর কবির এর সহযোগিতায় সার্ভেয়ারের কাছে যাই। আমি গিয়ে সাংবাদিক এর কথা বলতেই সার্ভেয়ার সাংবাদিকসহ আমাকে গালীগালাজ করেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত আবেদন করেছি। এ খবর শুনে উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামের কামরুলের স্ত্রী জেসমীন নাহার ও টিকর পাড়া গ্রামের ইছহাক বিশ্বাস বলেন, উক্ত সার্ভেয়ার আমাদের আদালতের প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রত্যেকের নিকট দাবী করেন। আমরা টাকা না দেওয়ায় আমাদের দখলীয় সম্পত্তি বিবাদীদের পক্ষে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
তবে ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে সার্ভেয়ার ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেন, আমি মিটুলকে অনেক কষ্ট পেয়ে গালীগালাজ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস খান বলেন, এই দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর সার্ভেয়ার সিরাজী আরও অনেক মানুষকে হয়রানী করেছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম জয়ন্তী রুপা রায় সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগের বিষয় জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে সার্ভেয়ার ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেন, আমি মিটুলকে অনেক কষ্ট পেয়ে গালীগালাজ করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস খান বলেন, এই দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর সার্ভেয়ার সিরাজী আরও অনেক মানুষকে হয়রানী করেছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম জয়ন্তী রুপা রায় সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগের বিষয় জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন