বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (২৮.০৯.১৫) উপজেলার শেখর ইউনিয়নে ৭টি গ্রামের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৩জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসি ও থানা সুত্রে জানা যায়, মাইটকুমরা গ্রামের সাইফুল সিকদার স্ত্রী ও শালিসহ রোববার বিকেলে সহস্রাইল বাজারে গেলে দরিসহস্রাইল গ্রামের আবুল হাসানের ছেলে অনিক হাসান (১৭), শিপন (২২) সহস্রাইল গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সুমন (২৬) ও নাছির (২৪), সাইফুলের স্ত্রী ও শালিকার সাথে অশভোন আচারন করে ও ওড়না টেনে ফেলে দেয়। এর প্রতিবাদ করলে তারা সাইফুলকে মারপিট করে। এ ঘটনার জের ধরে গত সোমবার মাইটকুমরা, ভুলবাড়িয়া, গঙ্গানন্দপুর ও সহস্রাইল, দরিসহ¯্রাইল, ছত্রকান্দা, বাঘডাঙ্গা এই ৭ গ্রামের লোকজন সহস্রাইলের বটতলা ঈদগা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ ঢাল, সড়কি, রামদা ও রেল লাইনের পাথরসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। তবে সহ¯্রাইল, ছত্রকান্দার লোকজন শতাধিক পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরন ঘটায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় মাইটকুমরা, ভুলবাড়িয়া ও গঙ্গানন্দপুরের প্রায় ৩০জন আহত হয়। অপরদিকে সহস্রাইল, ছত্রকান্দা এলাকার প্রায় ২০ জন আহত হয়। খবর শুনে শেখর ইউপি চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ সহস্রাইল গেলে ওই এলাকার লোকজন তাকে মারপিট করে ও তার বাবহৃত মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। এ ছাড়া গঙ্গানন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ পলাশ ও জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। আহতদের মধ্যে মাইটকুমরা গ্রামের ইউপি সদস্য হোসেন শিকদার, ছিদ্দিক খান ও রুবেল হোসেনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফারুক মোল্যা (৪২), মহব্বত (৫০), তুহিন (২০), জুবায়ের (২৪), হাবিবুরকে (২৭) বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো এবং আব্দুল্লা (১৮), হাবিল (২৮), রুবেল (২৮), রিয়াজ (১৪), আল-আমিন (২৭), সোহেল (২৭), মিকাইল (৩৪), আবু শাহিদ (২৩), রফিকুল (৩৮) ও ইকলাসকে (২৫) আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আমিনুল হক বলেন, ফরিদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমান আমিন ,আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন