শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নানা সমস্যায় জর্জরিত আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ! ডাঃ সামিয়া আলমের বিরুদ্ধে কর্ম ফাঁকির অভিযোগ

মো. সেকেন্দার আলম  ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার লাখো মানুষের একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গাইনী সার্জেন ডাঃ সামিয়া আলমের কর্ম ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দুর্নীতি আর অনিয়মের কারনে হাজারো মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । দীর্ঘদিন ধরে এ স্বাস্থ্য কমপ্লে´টির বেহালদশা বজায় থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। বার বার এ বিষয়ে স্থানীয়রা জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে আবেদন করেও কোন ফল না পেয়ে হতাশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সামিয়া আলম আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে কর্মরত থেকে কর্মস্থলে হাজিরা না দিয়ে দির্ঘদিন যাবত ফরিদপুর জেলায় ব্যক্তিগত কর্মে সময় পার করছেন। ফলে আবেদন-নিবেদন করেও কোন কাজ হচ্ছেনা। বিষয়টি তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সম্প্রতি ৩১ শর্য্যা থেকে ৫০ শর্য্যায় উন্নিত করা হয়। বেড বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ওয়ার্ডরয়,আয়া,অফিস সহকারী,পরিক্ষনবিধ,ল্যাব টেকনিশিয়ান,ফার্মাসিট ও ক্যাশিয়ারের পদ খালি রয়েছে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১০ জন। এর মধ্যে ৩ জন ডিপুটিশনে থাকেন ঢাকায়। বাকি ৭ জনের মধ্যে ডাঃ শাহাতাজ আলম গত দুই বছর পূর্বে যোগদান করে এ পযর্ন্ত মাতৃকালিন ও বিভিন্ন ছুটিতে রয়েছেন এবং ডাঃ সামিয়া আলম সপ্তাহে একদিন অফিস করে ৬ দিনের হাজিরা করে ফরিদপুর চলে যান। আর বাকি ৫জন এর মধ্যে ছুটিতে থাকেন ২জন। নিয়মিত অফিস করেন মাত্র ৩ জন। ১৫ জন সেবিকার বিপরীতে আছে ১৩ জন। মূলত সেবিকাদের দিয়েই চলছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২টি এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ১টি পুরোটাই নষ্ট। অপরটি মাঝে মধ্যে নষ্ট হয়। বেশীর ভাগ যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় রোগীরা নূন্যতম কোন সেবা পাননা। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা গাইনী রোগীরা প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছেন। আজ শনিবার সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে হাজিরা দেন ডাঃ সামিয়া আলম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি ফরিদপুর জেলাতে থাকি। এখান থেকে বদলী হওয়ার চেষ্টা করছি। এই হাসপাতালে কোন ডাক্তার থাকেনা। আমি সপ্তাহে এক দিন ডিউটি করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. কাইযুম হোসেন তালুকদার মুঠো ফোনে বলেন, আমি ছুটিতে আছি। গাইনী বিভাগের ডাক্তার যোগদান করে সপ্তাহে তিন ছুটির আবেদন দিয়ে চলে যান। বাকি তিনদিন অফিস করার কথা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা সমস্যার কথা আমি উপর মহলে জানিয়েছি। জনবল কম থাকায় যে পরিমান সেবা দেওয়া দরকার তা দিতে পারছিনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন