শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আব্দুর রহমানের হাত শক্তিশালি হলে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাত শক্তিশালি হবে-----এ্যাড. জামাল হোসেন মুন্না

  মো. সেকেন্দার আলম ঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ফরিদপুর-১ আসনের সাংসদ মো. আব্দুর রহমানের হাত শক্তিশালি হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাত শক্তিশালি হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে এমপি আব্দুর রহমান এর হাতকে শক্তিশালি করতে হবে। “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শারদীয় দূর্গা পুজা উপলক্ষে শুক্রবার রাতে এমপি আব্দুর রহমানের পক্ষথেকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর-সভার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ঢাকাস্থ আলফাডাঙ্গা যুব সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আলফাডাঙ্গা পৌর-সভার সম্ভাব মেয়র পদ-প্রার্থী এ্যাড. শেখ জামাল হোসেন মুন্না এসব কথা বলেন।
এ সময় আলফাডাঙ্গা পৌর-সভার সম্ভাব মেয়র পদ-প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান মিজানুর রহমান বলেন, এই সরকারের আমলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি পূর্ন ভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারছে। এমপি আব্দুর রহমানের পক্ষথেকে পুজামন্ডপে সকল কে শুভেচ্ছা জানান। তিনি আর বলেন, দেশরতœ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার  প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্য উন্নত দেশ হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আরেকবার ক্ষমতায় এনে এ দেশের সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ চান তিনি।  এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে এবং আব্দুর রহমান যতদিন এমপি থাকবেন এ দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ততদিন বজায় থাকবে। এ জন্য মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষই নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘেœ পালন করতে পারছেন। কোনো ধর্মই মারামারি, হানাহানি সমর্থন করে না। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুজা মন্ডপ পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে পুজা মন্ডপে অর্থ প্রদান করা হয়।


শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ শেখ হাসিনা : দোলন

মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম ঃ বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকাটাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বলেছেন, ১৯৭১ সালে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিল। সে জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা, যাতে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুর-১ আসন তথা আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী এ তিন উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা পূজাম-প পরিদর্শনকালে দোলন এসব কথা বলেন। আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম ময়রাবাড়ি পূজাম-প, শিরগ্রাম মনোরঞ্জন শাহার বাড়ি পূজাম-প, শিরগ্রাম সার্বজনীন বারোয়ারী পূজাম-প, শিরগ্রাম বড়বাড়ি সার্বজনীন পূজাম-প, বোয়ালমারী উপজেলার সদর বাজারে নাট মন্দিরে সার্বজনীন পূজাম-প, বড় কামারগ্রাম আখড়া সার্বজনীন পূজাম-প, ছোট কামারগ্রাম চাতাল সার্বজনীন পূজাম-প, ছোট কামারগ্রাম কলেজ রোড সার্বজনীন পূজাম-প, মধুখালী উপজেলার দাশপাড়া নরেন্দ্রনাথ শাহার বাড়ি পূজাম-পসহ এ তিন উপজেলার বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেন ও দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান আরিফুর রহমান দোলন। কৃষকলীগের সহ-সভাপতি দোলন বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার-এ অধিকার বর্তমান সরকার নিশ্চিত করেছে। দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এ কারণে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষই নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘেœ পালন করতে পারছেন। দোলন বলেন, কোনো ধর্মই মারামারি, হানাহানি সমর্থন করে না। সব ধর্মেই বলা আছে, মানবতার কথা, শান্তির কথা, সৌহার্দ্যের কথা। ধর্মে হানাহানির কোনো স্থান নেই। তাই বর্তমান সরকার সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চায়। ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বে জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। আর বর্তমানে বাংলাদেশের পরিচয় অসাম্প্রদায়িক ও শান্তির দেশ হিসেবে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে কোনো সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটছে না। শেখ হাসিনা চান, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এগুলোর হাত থেকে মানুষ মুক্তি পাক। শান্তিতে বসবাস করুক।
এ সময় ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহমেদ, বোয়ালমারী পৌর মেয়র মোজাফ্ফার হোসেন বাবলু, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ শওকত হোসেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইনামুল হাসান, গোপালপুর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম ফজর, গোপালপুর ইউপি যুবলীগের সভাপতি খান আমিরুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম সহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নানা সমস্যায় জর্জরিত আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ! ডাঃ সামিয়া আলমের বিরুদ্ধে কর্ম ফাঁকির অভিযোগ

মো. সেকেন্দার আলম  ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার লাখো মানুষের একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গাইনী সার্জেন ডাঃ সামিয়া আলমের কর্ম ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দুর্নীতি আর অনিয়মের কারনে হাজারো মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । দীর্ঘদিন ধরে এ স্বাস্থ্য কমপ্লে´টির বেহালদশা বজায় থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। বার বার এ বিষয়ে স্থানীয়রা জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে আবেদন করেও কোন ফল না পেয়ে হতাশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সামিয়া আলম আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে কর্মরত থেকে কর্মস্থলে হাজিরা না দিয়ে দির্ঘদিন যাবত ফরিদপুর জেলায় ব্যক্তিগত কর্মে সময় পার করছেন। ফলে আবেদন-নিবেদন করেও কোন কাজ হচ্ছেনা। বিষয়টি তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সম্প্রতি ৩১ শর্য্যা থেকে ৫০ শর্য্যায় উন্নিত করা হয়। বেড বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ওয়ার্ডরয়,আয়া,অফিস সহকারী,পরিক্ষনবিধ,ল্যাব টেকনিশিয়ান,ফার্মাসিট ও ক্যাশিয়ারের পদ খালি রয়েছে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১০ জন। এর মধ্যে ৩ জন ডিপুটিশনে থাকেন ঢাকায়। বাকি ৭ জনের মধ্যে ডাঃ শাহাতাজ আলম গত দুই বছর পূর্বে যোগদান করে এ পযর্ন্ত মাতৃকালিন ও বিভিন্ন ছুটিতে রয়েছেন এবং ডাঃ সামিয়া আলম সপ্তাহে একদিন অফিস করে ৬ দিনের হাজিরা করে ফরিদপুর চলে যান। আর বাকি ৫জন এর মধ্যে ছুটিতে থাকেন ২জন। নিয়মিত অফিস করেন মাত্র ৩ জন। ১৫ জন সেবিকার বিপরীতে আছে ১৩ জন। মূলত সেবিকাদের দিয়েই চলছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২টি এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ১টি পুরোটাই নষ্ট। অপরটি মাঝে মধ্যে নষ্ট হয়। বেশীর ভাগ যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় রোগীরা নূন্যতম কোন সেবা পাননা। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা গাইনী রোগীরা প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছেন। আজ শনিবার সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে হাজিরা দেন ডাঃ সামিয়া আলম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি ফরিদপুর জেলাতে থাকি। এখান থেকে বদলী হওয়ার চেষ্টা করছি। এই হাসপাতালে কোন ডাক্তার থাকেনা। আমি সপ্তাহে এক দিন ডিউটি করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. কাইযুম হোসেন তালুকদার মুঠো ফোনে বলেন, আমি ছুটিতে আছি। গাইনী বিভাগের ডাক্তার যোগদান করে সপ্তাহে তিন ছুটির আবেদন দিয়ে চলে যান। বাকি তিনদিন অফিস করার কথা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নানা সমস্যার কথা আমি উপর মহলে জানিয়েছি। জনবল কম থাকায় যে পরিমান সেবা দেওয়া দরকার তা দিতে পারছিনা।

রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মিঠাপুর সংখ্যালঘুর জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ

প্রতিনিধি , আলফাডাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামে রঘুনাথ বসু নামে এক সংখ্যলঘুর ক্রয়কৃত জমিতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রঘুনাথ বসু বাদী হয়ে আজ রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলাধীন ৪২ নং মিঠাপুর মৌজার এস.এ ৪৪৬ নং খতিয়ানের ১৫৫৫,১৫৫৭ ও ১৫৫৮ নং দাগের মধ্যে ১.২০ শতাংশ জমি ক্রয় সুত্রে মালিক রঘুনাথ বসু। অপর দিকে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ তাহেজ্জেত মোল্যা গং উক্ত সম্পত্তি ক্রয়,ডিসিয়ার ও দখলিয় সুত্রে বসবাস করে আসছে। এ বিষয় উভয় পক্ষের মধ্যে ফরিদপুর জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলছে। মামলা নং ২১৬/২০১২ ও ৪৬/২০১৪। অভিযোগের ভিত্তিত্বে থানা পুলিশ ও উপজেলা ভূমি অফিস সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে তাহাজ্জেত মোল্যার পুত্র জামে মসজিদের ইমাম মওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এস.এ ৪৪৬ নং খতিয়ানের মালিক ধীরেন্দ্রনাথ দাস এর নিকট হইতে ক্রয় সুত্রে দীর্ঘ ৪০বছর আমরা বসবাস করে আসছি এবং বর্তমান হাল রের্কড আমার পিতার নামে।

আলফাডাঙ্গায় ইয়াবাসহ চারজন যুবক গ্রেফতার ! থানায় মামলা

প্রতিনিধি , আলফাডাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ রবিবার ইয়াবাসহ ৪ জন যুবককে গ্রেফতার করে মাদক মামলায় কোর্টে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে যুবকদের নামে থানায় দুইটি মাদক মামলা হয়েছে। মামলা নং-১১ ও ১২ , তারিখ-১৬/০৯/২০১৭ ইং। থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দিনগত রাত ১০টার সময় আলফাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মোঃ ফয়সাল মাহমুদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম উপজেলাধীন টগরবন্দ ইউনিয়নের মালা  ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযানের চালিয়ে মোটর সাইকেল প্রতিরোধ করে ৪ জনকে  তল্লাশি চালায়ে আটক করে। তল্লাশির সময় আটককৃত শাকিব হোসেন ও রাকিবুল ইসলাম আশিক এর নিকট ১২০ পিচ এবং সাদ্দাম হোসেন ও আলী হাসান এর নিকট ২০ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাওয়া যায়। আটককৃতদের নামে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে। শাকিব হোসেন (১৮) কুসুমদি গ্রামের শওকত হোসেনের পুত্র, রাকিবুল ইসলাম আশিক (২২) পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের মৃত - আবু সাইদ মেম্বারে পুত্র, সাদ্দাম হোসেন (১৯) একই গ্রামের সুলতান হোসেনের পুত্র এবং আলী হাসান (১৮) একই  গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র। জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল করিম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ৪জনকে গ্রেফতার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।


বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আলফাডাঙ্গায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধি, আলফাডাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। জানা যায়, উপজেলাধীন টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা গ্রামে মধুমতি নদীর টিটা খেয়া ঘাট সংলগ্ন চর থেকে গত বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ থানা পুলিশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে। থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করিম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পযর্ন্ত লাশের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জালজালিয়াতী মামলায় আলফাডাঙ্গার দুই দলিল লেখকসহ তিনজন জেলহাজতে

প্রতিনিধি, আলফাডাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুই দলিল লেখকসহ তিনজনকে জালজালিয়াতী মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলাধীন বুড়াইচ ইউনিয়নের টিকরপাড়া গ্রামের ইছাহাক বিশ্বাস এর রেকড ভুক্ত দখলীয় ভিটা-বাড়ির জমি একই গ্রামের মোক্তার হোসেন গং জাল পর্চা তৈরি করে দুই দলিল লেখক আবুল কালাম ও হায়দার আলীর সহযোগীতায় রেজিস্ট্রার কৃত দানপত্র দলিল সৃষ্ট্রি করে উক্ত মৌজার ৩৯ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করে। পরে ইছাহাক বিশ্বাস বাদী হয়ে ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতে মোক্তার হোসেন(৫২),নরুজাহান বেগম(৪৩),হাসি বেগম(৩৩),রাশিদা বেগম(৩৭),শুকুরুন নেছা(৭০),হায়দার আলী(৫০) ও আবুল কালাম(৫০) এর নামে দঃ বিঃ আইনে ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে আসামীগন হাজির হইলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল হোসেন জালিয়াতীর হোতা মোক্তার হোসেন, দলিল লেখক আবুল কালাম ও হায়দার আলীকে জামিন না মুঞ্জর করিয়া জেলহাজতে পাঠান। বাকী আসামীগনের জামিন মুঞ্জর করেন আদালত।


মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আলফাডাঙ্গায় হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ

প্রতিনিধি, আলফাডাঙ্গা ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়ি ঘরে সোমবার (১১.০৯.১৭) গভির রাতে লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ নেওয়াজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসিরা জানায়, মোশাররফ মোল্যা ও রাব্বানি মোল্যার গ্রুপের মধ্যে শনিবার বিকালে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একই গ্রামের রাব্বানি গ্রুপের জান্নাত মোল্যা ওইদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই ইমদাদুল হক বাদি হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভয়ে আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেলে সোমবার রাতে আসামি মোশারফ মোল্যা, আরফিন মোল্যা, লিয়াকত মোল্যা ও সেলিম মোল্যার বাড়িতে ঘরের তালা ভেঙ্গে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। দুবৃর্ত্তরা এ সময় চারটি বাড়ির ছয়টি ঘরে থাকা মুল্যবান মালামাল লুটপাট ও ভাংচুরের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। হামলার শিকার লিয়াকত মোল্যার বোন রিলা বেগম জানান, রাত আনুমানিক ১০টায় বাদি পক্ষের ১৫/২০জন সমর্থক আমাদের বাড়ি গুলোতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ধান পাটসহ প্রায় ২০লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও ক্ষতিসাধন করে। এ সময় মামলার ভয়ে বাড়ির পুরুষ লোকজন বাড়িতে না থাকায় আমরা ঘরে তালা লাগিয়ে আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। হত্যা মামলার বাদি ইমদাদুল হক বলেন, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আসামিরা নিজেদের বাড়ি ঘরে নিজেরাই ভাংচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ তুলেছে। বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাদি হুমায়ন কবির বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে লুটপাট ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনকে আমি ফোন করে জানায়। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও রাতের আধারে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। জানতে চাইলে ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ নেওয়াজ বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ এর উপস্থিতিতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার প্রতিবাদে আলফাডাঙ্গায় মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার প্রতিবাদে আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ৩টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদর বাজার চৌরাস্তায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা যুব সমাজের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে শতশত আলেম মওলানা ও সুশিল সমাজের লোক অংশগ্রহন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান মিজানুর রহমান,বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আঃ মান্নান আব্বাস সহ স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মুসল্লীরা। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত মুসল্লীরা বলেন, মায়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর অত্যন্ত ঘৃনিত কর্মকান্ডের চরম সমালোচনা করে অংসান সূচীর নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি গণহত্যার অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক আদালতে জাতীসংঘের উদ্যোগে মামলা হওয়ার দাবী জানান।

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

প্রতিপক্ষের হামলায় আলফাডাঙ্গায় নিহত ১! আহত-৬! মহিলা গ্রেফতার-১

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বাড়ির খড়ির বেড়া সরানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জন নিহত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
জানা যায়,উপজেলাধীন বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের কালাম শেখের নাতি রনি ও জিয়াউর রহমান এর মেয়ে পপিকে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। উভয়ের বাড়ি পাশা পাশি হওয়ায় গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সিমানার বেড়া সরানোকে কেন্দ্র করে উভায়ের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের ৬ জন আহত হয়। আহত নান্ন খান(৪০),ইমাম(৩৭),আছাদ(৩৫),মোশারেফ(৩২),জোসনা(৪৫) ও ইয়াকুব শেখকে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিনগত রাতে নান্নু খানের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় নান্নু খান মারা যান। এ খবর পেয়ে নিহতের চাচা জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে থানায় ১২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে এজাহার ভুক্ত আসামী জোসনাকে গ্রেফতার করে। নিহত নান্নুকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হবে।