বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

আলফাডাঙ্গায় জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন! প্রার্থীদের ত্রিমূখী লড়াই

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ জমে উঠেছে আসন্ন ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ বারই প্রথম বারের মতো হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। শুধু মাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ একক ভাবে নির্বাচন করছে, যার ফলে লড়াই হচ্ছে নিজেদের সঙ্গে নিজেদের। নির্বাচনে সদস্য পদে তিন জন প্রার্থী জয়ের লক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধিদের সাথে কুশল বিনিময়, দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ আ.লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যার যার প্রার্থীর পক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ও মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্যবৃন্দদের নিকট ভোট প্রার্থনা করছেন। এ নির্বাচনে সদস্য পদে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রার্থীদের (২২ ডিসেম্বর পযর্ন্ত) জরিপ অনুযায়ী ত্রিমূখী লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। ফরিদপুর জেলার ৮নং ওয়ার্ড নির্বাচনী এলাকা হচ্ছে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ, গোপালপুর, আলফাডাঙ্গা, টগরবন্ধ, বানা, পাচুড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত একটি ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. নুরুল বাসার মিয়া(তালা), উপজেলা যুবলীগের সদস্য যুবনেতা এ.কে.এম জাহিদুল হাচান জাহিদ(টিউবওয়েল), সাবেক ছাত্রনেতা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ(হাতি) এবং মহিলা সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদে(৭.৮.৯নংওয়ার্ড) আলফাডাঙ্গা থেকে নির্বাচন করছেন একজন মোসা. বিউটি বেগম(টেবিল ঘড়ি)। উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোট সংখ্যা ৮০জন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত বিরতীহীন ভাবে আলফাডাঙ্গা এ.জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শান্তিপুর্ন ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পূর্ন হবে এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।





মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

আমাদের আলফাডাঙ্গা প্রকাশ(২১-১২-১৬)





কাশিয়ানীতে ৩০ ভরি স্বর্ণসহ এক ব্যবসায়ী আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে ২৯ ভরি ৯আনা স্বর্ণসহ আলফাডাঙ্গার সদর বাজার ব্যবসায়ী রঘুনাথ বিশ্বাস(৩৫) নামে এক স্বর্ণ চোরাকারবারীকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেছে কাশিয়ানী থানা পুলিশ। গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চোরাচালান বিষয়ে ১৯৭৩ সনের বিশেষ আইনে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। রঘুনাথ বিশ্বাস ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী লক্ষী নারায়ন জুয়েলার্স এর মালিক। তিনি সদরের মালোপাড়ার বাসিন্দা মোরারী মোহন বিশ্বাসের পুত্র। থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর সোমবার দিনগত রাতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর বাসষ্টান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়ানী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রঘুনাথ বিশ্বাসকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে মোট ২৯ ভরি ৯আনা স্বর্ণ (আড়াইটি স্বর্ণের বিস্কুট, দশটি স্বর্ণের চেন, দশটি আংটি, পাঁচটি রকেট) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমনিক মূল্যে-১২লক্ষ টাকা। আটক করে ঐদিন রাতেই কাশিয়ানী থানা পুলিশ বাদী হয়ে রঘুনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সনের বিশেষ আইনে চোরাচালান বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৫, ১৯/১২/১৬ইং। পুলিশ ধারনা করছে এই চুরা কারবারীর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলিনুর হোসেন ঘটনার  সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এস আই ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে উক্ত আসামীকে চোরাই স্বর্ণসহ আটক করা হয়।

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

বাংলাদেশ আজ বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করলো বীর শহীদদের

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ আজ বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করলো বীর শহীদদের। ডিসেম্বর মাস বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠতম মাস। এ বিজয় বাঙালী জাতির জন্য পরম গেীরবের,আনন্দের এবং বেদনারও। এ বিজয় অর্জনে অকাতরে প্রান দিয়ে ছিল ৩০ লক্ষ মানুষ। আমরা সেই বীর শহীদদের আজিবন স্মরণ রাখবো। ১৬ ডিসেম্বর  মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলফাডাঙ্গা উপজেলাধীন বাজড়া সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে শুক্রবার সন্ধা ৭টায় শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের প্রফেসর সৈয়দ আনসার আলীর ব্যক্তি উদ্যেগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভার সভাপতি প্রফেসর সৈয়দ আনসার আলী তার বক্তব্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ৯ মাসের রক্ত ক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে এ দেশের বীর যোদ্ধারা এই দিনে সাধীনতার বিজয় লাভ করে। ১৫ আগষ্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জর¥ না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে ২৬মাস বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পড়ের বীর সেনারা। এ দেশ স্বাধীনে যারা শহীদ হয়েছেন বাঙ্গালী জাতি তাদের চিরদিন স্মরণ করবে। এ সময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হাচান চুন্নু, গোপালপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল ইসলাম,গোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রুমানুজ্জামান রুমান প্রমূখ। সভা শেষে শহীদদের প্রতি আত্রাার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলফাডাঙ্গায় যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ-১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালী জাতির ৪৫তম বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় আলফাডাঙ্গা প্রসাশন ও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে। ১৮ দলীয় টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ,শুক্রবার সূযোদয়ের পূর্বে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করে সকল প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন, উপজেলা শহীদ মিনারে মাল্যদান, এ.জেড পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন, ড্রিসপ্লে এবং বিজয় মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস প্রদান করা হয়। বিকালে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ,ভলিবল ,হাডুডু এবং মহিলা ও শিশুদের ক্রীয়া অনুষ্ঠান শেষে সন্ধায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের। বিশেষ অতিথি ছিলেন,থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল করীম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান,সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাচান আহাদ। এ ছাড়া শহীদ জাফর স্বরনে জাগরনী ক্লাব সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

র‌্যাবের হাতে ইয়াবা সহ বাকাইলের মাদক ব্যবসায়ী মোমিন আটক

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকা বাকাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মোমীন খা (২৮)কে আটক করেছে ফরিদপুর র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৮ । এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মাদক মামলা হওয়ার পর কোর্টে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩-১২-১৬) সকাল ১০টার দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এবং টেবিল ৯(খ) ধারায় তাকে ফরিদপুর কোর্টে প্রেরণ করে। মোমীন খা পৌর এলাকার বাকাইল গ্রামের সাঈদ খার পুত্র।
জানা যায়, র‌্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর এলাকার বাকাইল গ্রামে সৈয়দ আলীর বাড়ির পাশে এক মেহগনির বাগানে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোমীন খা (২৮)কে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঐ দিন রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় মোমীনকে সোপর্দ করে র‌্যাবের ডিএডি ফারাজুল বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। যার নং-৫,তাং-১২-১২-১৬ই্ং।
অপর দিকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধার পরে উপজেলার জয়দেবপুর বাজারে আকরামের চা এর দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী রাজিব মোল্যা(৩২)কে আটক করে এস আই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯(১) এবং টেবিল ৯(ক) ধারায় কোর্টে প্রেরণ করে। রাজিব মোল্যা উপজেলার জুগিবরাট গ্রামের মৃত সায়েন উদ্দিন এর ছেলে।

সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬

দেশকে মাদক মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই--নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের

বিষেশ প্রতিনিধি ঃ ‘দেশকে মাদক মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের। গত সোমবার(১২-১২-১৬) সকাল ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের আয়োজনে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকে মাদক মুক্ত করার লক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালযের  শিক্ষার্থীরা মাদক সেবন করে বিপথগামী হয়ে পড়ছে। মাদকের ছোবল থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে হলে প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী কমিটি করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। তাহলেই এ দেশ  হবে মাদক মুক্ত। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে দেশ ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। আমাদের সন্তানদের মাদকের সবল থেকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের আশে পাশে যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদের লিস্ট করে প্রশাসনকে জানাবেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের অফিসার ইনচার্জ মো. মোশাররফ হেসেন এর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক প্রবীর কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিদ্দিকুর রহমান, আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সাহেব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার ফজলার রহমান বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার, কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ সারেকুল হাসান নয়ন, কলেজের প্রভাষক মো. মাহিদুল হক, সাংবাদিক মো. শাহারিয়ার হোসেন। এ সময় আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

মানুষ মানুষের জন্য, ও পজেটিভ কিটনি প্রয়োজন

আলফাডাঙ্গা উপজেলার শুকুরহাটা সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ,কামারগ্রামের নিবাসী মোঃ রবিউল মাস্টার (৫০) দির্ঘ্য দিন যাবত কিটনি রোগে ভুগছেন। রবিউল মাষ্টারের দুইটি কিটনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তার একটি ও পজেটিভ কিটনি জররী প্রয়োজন। যদি কোন সদয় মহান ব্যক্তি তার জন্য কিটনি দিতে চান তাহলে এই (০১৭১৯৫৮৭২৬২) মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কিটনি দানকারীকে আলোচনা সাপেক্ষে অর্থ প্রদান করা হবে। বিজ্ঞতি

কাজী সিরাজকে এমপি হিসাবে দেখতে চাই

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলামকে ফরিদপুর -১ আসনের এমপি হিসাবে দেখতে চায় (আলফাডাঙ্গা,বোয়ালমারী,মধুখালী) এলাকার সাধারন মানুষ। গত সোমবার সন্ধায় কাজী সিরাজের পক্ষে তার নিজ উপজেলার বানা ইউনিয়নে শিরগ্রাম বাজারে এক বিশাল মিছিল হয়। মিছিল শেষে বক্তারা বলেন,আমরা কাজী সিরাজকে আবার ফরিদপুর -১ আসনের এম পি হিসাবে দেখতে চাই।বক্তব্য শেষে সবার মাঝে মিষ্টি বিতারন করা হয়।  মিছিলটি আয়োজন করে গরানিয়া ফ্রেন্ডস ক্লাব ও শিরগ্রাম গরানিয়া যুব সমাজ। সৈাজন্যঃ কাজী নুর জাহান রিনা। 

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

আলফাডাঙ্গায় রুপালী ব্যাংকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সিসি লোনের মাধ্যমে অর্থ লুটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ রুপালী ব্যাংক ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা শাখায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সিসি লোন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ২০১১ সালে কর্মরত উক্ত ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি ঢাকা রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ.জি.এম হিসাবে কর্মরত আছেন।।

জানা যায়, রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পযর্ন্ত শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. রেজাউল ইসলাম। তিনি কর্মরত থাকা কালিন সময় অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজেস্ব আত্বীয় সজনদের  গ্রাহক সাজিয়ে বিভিন্ন নামে ভুয়া পর্চা, কাগজপত্র, ব্যবসা বিহীন প্রতিষ্ঠান, বন্ধকী দলিলে ব্যাংকের প্যানেল উকিলের স্বাক্ষর জাল ও জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে সিসি লোনের মাধ্যমে লুটে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

এ বিষয়ে সিসি-১১১নং লোন গ্রহীতার মেয়ে সাবিনা সুলতানা রুপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে ম্যানেজার মো. রেজাউল ইসলামের নিজ বাড়ি হওয়ার সুবাদে উপজেলাধীন বানা ইউনিয়নের পন্ডিত বানা গ্রামের সাবিনা সুলতানার পিতা মো. সরোয়ার বিশ্বাসের সঙ্গে সু-সম্পর্ক হয়। সুম্পর্কের জের ধরে দরিদ্র সরোয়ারকে অর্থের লোভ দেখিয়ে বেড়ির হাট বাজারে মেসার্স বিশ্বাস এন্টার প্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে রেজাউল ভুয়া পর্চা, কাগজপত্র তৈরি করে, বন্ধকী দলিলে ব্যাংকের প্যানেল উকিলের স্বাক্ষর জাল ও জমির মূল্য অধিক দেখিয়ে আলফাডাঙ্গা শাখা হইতে সিসি(হাইপোঃ) লোন নং-১১১নম্বরে ২৮/৭/২০১১ ইং তারিখে দরিদ্র সরোয়ারকে ৬ (ছয়) লক্ষ টাকা লোন প্রদান করেন। কিন্তু সে লোনের টাকা সরোয়ারকে না দিয়ে রেজাউল নিজেই আত্মসাত করেন। যা বর্তমানে সুদ-আসলে প্রায় ১২লক্ষ টাকা হয়েছে।

লোন গ্রহীতা সরোয়ার বিশ্বাসের ঋন খেলাপী হওয়ায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শাখা ব্যাবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. আমিরুল ইসলাম প্রধান জামিনদার শরিফ হারুন অর রশিদ অভিযুক্ত ব্যাবস্থাপক রেজাউল ইসলামের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় তাকে বাদ রেখে সরোয়ারের আপন দুই ভাই হতদরিদ্র সহজ সরল কৃষক মো. আবজাল বিশ্বাস(৬০) ও মো. মোসলেম বিশ্বাস(৭০) এবং সরোয়ার বিশ্বাসের স্ত্রী গৃহিনী তহমিনা বেগম(৪৫) জামীনদার হিসাবে শনাক্ত থাকার দায়ে আদালতে মামলা করলে বর্তমানে তারা ছয় মাসের জন্য জেল হাজতে রয়েছেন।

সরোয়ার বিশ্বাস টাকা উত্তোলন না করেও লোনের দায়ে মামলা হওয়ায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকায় লোন গ্রহীতা সরোয়ার বিশ্বাস মুঠোফোনে ঢাকাটাইমকে অভিযোগ করে বলেন, রেজাউল  (শাখা ব্যবস্থাপক) আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর কৃত বিলাঙ্ক চেক রেখে দিয়ে আমাকে বলেন, তুমি বাড়ি চলে যাও, লোনের টাকা পাশ হলে তোমাকে খবর দিব, তখন টাকা নিয়ে যেও। কিন্তু আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে রেজাউল উক্ত চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আমাকে না দিয়ে সে নিজেই আত্মসাত করে। তিনি আরও বলেন, রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পিএস মো. হাসান মিয়া রেজাউলের পাশের গ্রাম ও আত্মীয় হওয়ায় এই অপরাধ থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আলফাডাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উক্ত ব্যাংকের প্রধান সিসি লোন গ্রহীতা আলহাজ্ব মো. মাইনউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, এ ছাড়াও মেসার্স সামস্ ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানের নামে মারজান মিয়াকে সিসি লোন-১১২ ও মেসার্স কনজ এন্টার প্রাইজ এর কনজের নামে সিসি লোন-১০৩ নম্বরে ভুয়া কাগজপত্র এবং জালজালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত ম্যানেজার জোগসাজোগে একাধিক সিসি লোনের নাম করে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৎকালিন শাখা ব্যবস্থাপক মো. আমিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি উক্ত লোনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে মামলায় বিবাদী করেছি।

এ ব্যাপারে রুপালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার প্যানেল এডভোকেট মোঃ আব্দুল হান্নান কর্তৃক ২৫/৫/২০১৫ ইং তারিখে রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় দেওয়া একটি প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ করেন, আমার বর্ণিত বন্ধকী দলিল ও আম-মোক্তার নামায় স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল ইসলাম ৩১টি সিসি লোনে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা ।

জানতে চাইলে রুপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এ.জি.এম অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমাকে কিছুদিন সময় দেন, আমি বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, রেজাউল ইসলাম সাহেব ম্যানেজার থাকা কালিন প্রদত্ত ঋনের মধ্যে বেশকিছু ঋনের কাগজপত্রে ত্রুটি রয়েছে, যা ব্যাংকের ঋনের বিধি বিধান বহির্ভুত বলে প্রতিয়মান হয়। যার কারনে ব্যাংক বেশ কিছু ঋন খেলাপী হয়ে পড়েছে। সরোয়ার বিশ্বাসের ঋনটির বিপক্ষে দ্বায়ের কৃত মামলায় বর্তমানে বিবাদীগন জেল হাজতে রয়েছেন। ইতি পূর্বে একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্ত হয়ে বরখাস্তও হয়েছিলেন।

জানতে চাইলে রুপালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ওবায়দুল হক ঢাকাটাইমসকে মুঠোফোনে (০১৭৩১৯৩১৮৭৮) বলেন, আমি অভিযোগের অনুলিপি কপি হাতে পেয়েছি, অভিযোগের তদন্তভার আমার কাছে আসলে আমি অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, রেজাউল ম্যানেজার থাকাকালিন ৩১টা সিসি লোনের তদন্ত করে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে তার মধ্যে হেড অফিস রেজাইলকে ২টি সিসি লোনের টাকা পরিশোদের দায়িত্বভার দিয়েছেন।


সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

ভ্রাম্যমান আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং এর ভবন নির্মানের শ্রমিক মো. রকিব মিয়াকে আহত করার অপরাধে ফয়সাল মিয়া(৩০) নামে এক বখাটে যুবককে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গত রবিবার (৪.১২.১৬) সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ৩৫৩ ধারায় এ আদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল খায়ের। ফয়সাল উপজেলাধীন টিটা গ্রামের হাজী মিজান মিয়ার ছেলে।

শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

মানব পাচার মামলার মূল আসামীর নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মানব পাচার মামলার মূল আসামীর নাম বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী মোসা. নবেলা বেগম (৫০)। তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাহেব আলী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এজাহারভূক্ত ২ নং আসামী আল-আমিনের  নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে এসআই সাহেব আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাদীর নিজ বাড়ি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রাম হতে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধি কন্যা সাবিনা খানমকে (৩০) ভিক্ষা বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে আসামীগণ ভারতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। পরে আসামীগণ সাবিনাকে ফেরত না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইবুনালে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলী গ্রামের মতিয়ার রহমান শেখের ছেলে মো. আল-আমিন (২৭), আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের ওলফাত শেখের ছেলে মো. আল-আমিন (২৫) ও কাছেদ শেখের ছেলে আশরাফ হোসেনের (২৬) নামে মামলা দায়ের করেন মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী মোসা. নবেলা বেগম। পরে আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারী ০৭৫৫-নং স্বারক নম্বরে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলফাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দেন। পরে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৩/৮/১০ ধারায় মামলাটি রুজু করেন। মামলা নং-১০,তাং-২৯/০২/১৬ খ্রী.।

সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বিধবা মহিলা নবেলা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাহেব আলী আমার কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করে আসছিলেন। আমি দরিদ্র হওয়ায় তা দিতে না পারায় মামলার সঠিক তদন্ত ও সাক্ষীদের সাথে কোন কথা না বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনার প্রধান আসামী আল-আমিন এর নাম বাদ দিয়ে গত ৩১/১০/১৬ইং তারিখে চার্জসীট দিয়েছে আদালতে।

তিনি আরও বলেন, আলফাডাঙ্গা থানায় গিয়ে ২নং বিবাদীর নাম বাদ দেয়ার কথা জানতে চাইলে এসআই সাহেব আলী আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দিয়ে বলেন আমার কলমে অনেক ধার, কলমে যা পেয়েছে তাই করেছি।

এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সাহেব আলী জানান, তিনি সবার সাথে কথা বলে মামলা তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এদিকে মামলার সাক্ষী আলীম খান, সিদ্দিক মোল্যা, লুৎফর মোল্যা জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলার ব্যাপারে তাদের সাথে কোন কথা বলেন নাই।

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল করিম বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলা তদন্ত করে চার্জসীট দিয়েছে। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে বাদী আদালতে নারাজী দিতে পারবেন।

বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলফাডাঙ্গায় কৃষকলীগের প্রস্তুতিমূলক সভা

স্টাফ রিপোর্টারঃ মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উদ্যাপন উপলক্ষে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা কৃষকলীগের আয়োজনে থানায় সামনে অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা হয়।

উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোকলেচুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক হাজী গফফার মিয়া,যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. হিমায়েত হোসেন,সদস্য সাহাদত হোসেন বালা,আছাদ মিয়া প্রমূখ। এ সময় উপজেলা কৃষকলীগের ছয় ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক ও সদস্য বৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

শিক্ষক ও প্রতিবন্ধীর উপর সন্ত্রাসী হামলা

আহত লিটন বিশ্বাস
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জাটিগ্রাম মমোতাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ভারতি রানী বিশ্বাসের স্বামী উক্ত বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী লিটন বিশ্বাস ও তার ছোট ভাই পঙ্গু প্রতিবন্ধী নিপেন বিশ্বাসকে গত বুধবার (৩০-১১-১৬) বিকালে জমি জমার বিরোধের জের ধরে প্রাণ নাশের উদ্দেশে দেশী অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লিটন বিশ্বাস ও নিপেন বিশ্বাস বোয়ালমারী উপজেলার রুপপাত ইউনিয়নে টুংরাইল নিজ গ্রামে ফসলি জমিতে আইল কুপানোর সময় একই গ্রামের লাঠিয়াল মহান্দ বিশ্বাসের নেতৃত্বে আনন্দ বিশ্বাস,সুব্রপ বিশ্বাস সহ ৮/১০ জন হঠাৎ লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মাথায় কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে মুমুর্ষু অবস্থায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে লিটনের পিতা মনিমোহন বিশ্বাস বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। সহকারী শিক্ষক ভারতি রানী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত সন্ত্রাসীরা বেআইনি ভাবে আমার স্বামী ও দেবরকে কুপিয়েছে এবং ইতি পূর্বেও তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে আমাকে মামলা না করার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে।