বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় লম্পট শিক্ষক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে বাল্য বিবাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলাধীন বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের (অবঃ) সৈনিক মিজানুর ফকিরের নাবালিকা স্কুল পড়–য়া কন্যা সোনিয়া আক্তার (১৩)কে একই গ্রামের মৃত সালাম শেখ এর পুত্র কাশিয়ানী উপজেলা পোনা গ্রামের এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম (রফিক)(৩৮) প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে সহস্্রাইল বাজারে প্রাইভেট পড়ার সময় একা পেয়ে তার ইচছার বিরুদ্ধে কুকর্ম করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি তৎক্ষনিক জানাজানি হলে লম্পট শিক্ষক ঐ ছাত্রীকে ফরিদপুর চিকিৎসার নাম করে উকিলের দ্বারা নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে বিবাহ করে এ অঘটনাটি-কে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। বারাংখুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, সনিয়া আমার স্কুলের ৯ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, মেয়েটিকে আমি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ করেছি। এ ঘটনায় এলাকায় চনচল্লোকার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সুশিল সমাজ উক্ত লম্পট শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান। ছাত্রীর পিতা মিজানুর ফকির সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা সত্য হলেও, আমার করার কিছু নেই। উল্লেখ্য, ইতি পূর্বে এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিরক্ত করার কারনে উক্ত শিক্ষক বিচারের সম্পূখিন হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন