আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) থেকে ঃ আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)কে ম্যানেজ করে রাত-দিনভর সরকারী জায়গায় পাকা ঘর নিমার্নের কাজ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলীর সুবাদে উপজেলা ব্যাপি চলছে সরকারী জায়গা দখলের মহা উৎসব।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অফিসের সামনে তহশিলদারকে ম্যানেজ করে গোপালপুর মৌজার সরকারী খাস ১নং খতিয়ান ভূক্ত এস.এ ৮৮৩ নং দাগের জমিতে পাকা ঘর নির্মানের কাজ চলছে। গোপালপুর বাজারে উক্ত দোকান ঘর নির্মানের মালিক মুনছুর আলম দিপুর নিকট সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত সম্পত্তি আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। এ ছাড়াও উক্ত বাজারে গরুহাটা একই দাগের উপর নির্মান করা ২/৩ টি ঘরের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলা যায়নি। নাম প্রকাশে অইচ্ছুক স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল খায়ের গত ৪মাস বদলী হওয়ার পর থেকে গোপালপুর বাজার,হেলেঞ্চা বাজার,বানা বাজার, বেড়ির হাট বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে সরকারী জায়গা দখল করার মহা উৎসব শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মোরাদ হোসেন বলেন, দিপুর নির্মিত ঘরে ৮৮৩ নং দাগে সরকারী খাস সম্পত্তিও রয়েছে। অভিযুক্ত পাকা ঘর সরকারী জায়গায় আছে কি না তা কাগজপত্র না দেখে বলতে পারিব না।
এ বিষয় দায়িত্ব প্রাপ্ত কানুনগো সার্ভেয়ার মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেন, গোপালপুর বাজারে পাকা ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে আমি তহশিলদার মুরাদ হোসেনকে মৌখিক ভাবে কাজ বন্দ করার নির্দেশ দিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে পরবর্তীতে কাজ করার কথা বলেছি। তবে মুনছুর আলম দিপু আইনের তোয়াক্কা না করে উক্ত সরকারী জায়গায় পাকা ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশোন আরা পলি বলেন, সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন