মো. মোশারফ হোসেন |
সাবেক উপাধ্যক্ষ সারেকুল হাসান লিখিত অভিযোগে সাংবাদিকদের জানান, মো. মোশারফ হোসেন গত ৪ মে ২০১৬ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিনা নোটিসে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগ্রামের এইচ.এস.সি ও বিএসএস প্রগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার (এইচ.এস.সি প্রগ্রাম) এবং আমাকে (বি.এস.এস প্রগ্রাম) থেকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আ.রশিদ (এইচ.এস.সি প্রগ্রাম) ও মো. আনিচুর রহমান খান ঠাকুর (বি.এস.এস প্রগ্রাম) এর নাম দিয়ে সুপারিশ করে অনুমদনের জন্য তালিকা পাঠিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, অফিসার ইনচার্জ এর কাছে আমাকে বাদ দেওয়ার কারণটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আপনার জানার প্রয়োজন নেই তবে আপনি অনেকদিন চালিয়েছেন তাই নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আমি প্রগ্রাম শুরু থেকে অর্থাৎ ২০০৩ সাল থেকে দক্ষতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। অথচ আমার পরিবর্তে প্রভাষক আনিচুর রহমান খান ঠাকুরকে সম্বনয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার ধারনা অভিজ্ঞতা বিহীন এই শিক্ষককে সজনপ্রীতি ও অর্থনৈতিক বেনিফিট পেয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মন্ত্রনালয়ে অনুমোদন না পাওয়া শর্তেও তিনি কি করে অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব গ্রহন করেন এবলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিবাবক জানান, বোর্ড কতৃক এইচ এস সি ভর্তি বাবদ ১হাজার ৪০টাকা নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২হাজার ৩শত টাকা আদায় করছেন ।
এব্যাপারে আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন (মুঠোফোনে ০১৭১৮১৭১৯৯১) সাংবাদিকদের জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি অনুযায়ী জ্যৈাষ্ঠার ভিত্তিত্বে কলেজে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জ্যৈাষ্ঠার ভিত্তিত্বে ইমারত হোসেন চৌধুরী(রাষ্ট্র বিজ্ঞান) নিয়মের মধ্যে থাকলেও তিনি দায়ীত্ব পালন করবেন না বলে কলেজ কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এইচ.এস.সি ও বি.এস.এস প্রগ্রামের সম্বনয়কারী হিসেবে শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিত্বে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন ২জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। এইচ.এস.সি ভর্তিতে ১হাজার ৪০টাকা নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ২৩শ টাকা নিচ্ছেন বলেও তিনি স্বীকার করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন