মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

ফরিদপুর-১ আসনের নৌকার মাঝি মনজুর হোসেনকে দেখার জন্য হাজার জনতার ঢল

 

মো. সেকেন্দার আলম ঃ ফরিদপুর-১ আসন (আলফাডাঙ্গা ,বোয়ালমারী ও মধুখালী ) নৌকার মাঝি  মনজুর হোসেন বুলবুলকে দেখার  জন্য হাজার জনতার ঢল নেমেছে। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব। বর্তমান রুপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। একাদশ সংসদ নির্বাচনের এ আসনের মনোনীত আওয়ামীলীগের প্রার্থী রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র মনজুর হোসেনকে দেখার সুবাধে গত ২৬ নভেম্বর রাত ৮টায় মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জন¯্রােতে পরিণিত হয়েছে। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের সাথে  কুশল বিনিময়সহ পখসভা করেন। শতাধিক মটরসাইকেল ,মাইক্রো ও প্রাইভেটকার নিয়ে এক শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করেন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সুধীজন। সফরসঙ্গী হিসেবে পথসভায় ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া,দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক (ভারপ্্রাপ্ত) লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক যুগ্ম সচিব খিজির আহমেদ, আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেন বোয়ালমারী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজাসহ  ইউপি চেয়ারম্যানগণ।  পথসভায় মনজুর হোসেন বলেন,উন্নয়নের ধারা বেগমানের লক্ষে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

নাজিম হত্যাকান্ড ! বোয়ালমারীতে আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ

বোয়ালমারী প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের জয়পাশা গ্রামের নাজীম হত্যাকান্ড মামলার আসামিদের বাড়ি ঘরে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদি পক্ষের লোকজন আসামিদেও বাড়ি ঘরে ভাংচুর, লুটপাট করছে। জমি চাষ করতে বাঁধা দিচ্ছে, ধান কাটতে দিচ্ছে না এমন সব অভিযোগ করেন আসামি পক্ষের লোকজন। হত্যাকান্ডের পওে মামলা হওয়ার পর থেকে পুরুস মানুষ বাড়িতে না থাকার সুযোগে এ সব করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ফরিদপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিনে ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার ও সদস্য মো. সাইদ শেখের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধের জের ধরে ৫ অক্টোবর সকালে সাইদ শেখের সমর্থক বাশারের বাড়িতে হামলা চালালে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে বন্দুকের গুলিতে নাজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার গ্রুপের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলে মামলার ভয়ে আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেলে শুক্রবার ভোর রাতে মো. সাইদ শেখ গ্রুপের লোকজন সৈয়দ ফারুক আলী, কালু মোল্যা, সাইফুল মোল্যা, সোহেব আলী, সাইদ আলী, ফতু বেগম, টিটুল মোল্যা, জাহাঙ্গীর মোল্যা, শিল্পী বেগম, সাকায়েত মোল্যা গং এর বাড়িতে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় দশটি বাড়ির টিউবওয়েল, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী, ধান, পাট, পিয়াজ, নগদ টাকা ও স্বর্ণঅলংকারসহ ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে য়ায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ সৈয়দ ফারুক আলীর স্ত্রী তহরিমা খানম বাদী হয়ে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে সৈয়দ ওমর আলী(৫৫), সৈয়দ রহমত আলী(২৮), মো. সাইদ শেখ(৫০)সহ মোট ৫৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বোয়ালমারী থানা ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মো. সাইদ শেখ ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, আসামীদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা নিজেরা এ সব ঘটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তিনি নিজে দাড়িয়ে থেকে ধান কাটায় সহযোগিতা করেছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে এম শামীম হাসান বলেন, আদালতে মামলার কপি পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।